কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।
ঐ সময় রাশিয়ায় এক নতুন জীবনাদর্শের আবেদন অনূভুত হতে থাকে প্লাখনভের মাধ্যমে। সে সময় মার্কসের ধ্যান ধারনা সেখানে ব্যাপক প্রচারিত হয়। ঐ সময় চিরন্তন সাম্যবাদী ইসলামের প্রকৃত রুপটি যদি কোন মর্দে মুজাহিদ সত্যিকার অর্থে রাশিয়ার নিগৃহিত নিষ্পেশিত জনগনেরনিকট তুলে ধরতেন তাহলে আজ রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রিক বিপ্লব না হয়ে ইসলামের সুষ্ঠ ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠীত হত। পরের ঘটনাবলীতে এটাই প্রতিয়ামন হয়।
ভারতের বিখ্যাত মনীষি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী বলেন,আমরা রাশিয়ায় অবস্থানকালে লেলিলের সাথে সাক্ষাৎ হলে পরে কথা প্রসঙ্গে তার কাছে কুরানের নিন্মোক্ত আয়াতের বিশ্লেষন করি।
হে নবী,আপনার কাছে লোকেরা এসে জিঙ্গাসা করে যে,তারা আল্লাহর পথে কি ব্যয় করবে। আপনি বলে দিন প্রয়জনাতিরিক্ত সবকিছু বিলিয়ে দাও। (২:২১৯)
লেলিন তখন অত্যন্ত উচ্ছশিত কন্ঠে বলে উঠলেন আরো আগে যদি কোরানের এমন সুষ্ঠ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতাম ,তা হলে আমাদের কম্যুনিজম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কোন প্রয়োজন ছিলনা।
বই:পুঁজিবাদ,সমাজতন্ত্র ও ইসলাম।
হাজার ও রক্তের বন্যা বইয়ে অনেক আশার পিদিম জ্বালিয়ে ,শ্রমিক শ্রেনীর রাজত্ব কায়েম করার আবেগময় বানী শুনিয়ে লাখো মানুষের কবরের উপর শ্রমিকদের কাল্পনিক যে স্বপ্নরাজ্যগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়,তা সত্যিই কি মেহনতিদের তথা সর্বহারাদের সকল সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান করতে পেরেছে?অন্য কথায় সমাজতন্ত্র দাবীর বেড়াজালে নয়,বাস্তবিকভাবেই কি পুঁজিবাদি স্বৈরাচারের ফলে যে আধুনিক শ্রমিক শ্রেনির উদ্ভব হয়,এদের সমস্যার কোন ন্যায়ানুগ ও কার্যাউপযোগী সমাধান বের করতে পেরেছে?
দুনিয়াবাসীর আজ চরম জিঙ্গাসা কঠিন প্রশ্ন।
আমরা যদি একটি পর্যবেক্ষনশীল মনন নিয়ে সমাজতন্ত্রিক দেশগুলোর কার্যদারা পর্যালচনা করি,তবে আমাদের গভীরভাবে হতাস হতে হয়।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে এ যাবত বস্তুতান্ত্রিক যত আন্দোলন হয়েছে,যতগুলো বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে,সবগুলিতেই কতিপয় মুষ্টিমেয় লোক নিজেদের স্বার্থসিদ্বির নিমিত্তে সাধারন সর্বহারাদের আশা দিয়ে ,তাদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।