এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
কাছের তাসমানিয়া দ্বীপ নিয়ে এটি কমনওয়েলথ অফ অস্ট্রেলিয়া গঠন করেছে। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর ও টরেস প্রণালি। পূর্বে প্রবাল সাগর এবং তাসমান সাগর। দক্ষিণে ব্যাস প্রণালি ও ভারত মহাসাগর।গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। এটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ধরে প্রায় ২০১০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এটি আসলে প্রায় ২৫০০ প্রাচীর ও অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপের সমষ্টি। কুইন্সল্যান্ডের তীরের কাছে অবস্থিত ফেয়ারফ্যাক্স দ্বীপ গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অংশ।
অস্ট্রেলিয়া ছয়টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়াও আছে দুটি টেরিটরি- অস্ট্রেলীয় রাজধানী টেরিটরি এবং উত্তর টেরিটরি। বহির্স্হ নির্ভরশীল অঞ্চলের মধ্যে আছে অ্যাশমোর ও কার্টিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলীয় অ্যান্টার্কটিকা, ক্রিসমাস দ্বীপ, কোকোস দ্বীপপুঞ্জ, কোরাল সি দ্বীপপুঞ্জ, হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং নরফোক দ্বীপ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বসতিস্থাপক ছিল এখানকার আদিবাসী জাতিগুলো। এরা প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার বছর আগে দেশটিতে অভিগমন করে।
১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে দ্বীপটি অজানা ছিল। ১৭৮৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট জ্যাকসনে প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ সৃষ্টি করা হয়। এটি ছিল ব্রিটিশ কয়েদিদের উপনিবেশ। এটিই পরবর্তীতে বড় হয়ে সিডনি শহরে পরিণত হয়। ১৯শ শতকজুড়ে অস্ট্রেলিয়া একগুচ্ছ ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে কাজ করত।
১৯০১ সালে এগুলো একত্র হয়ে স্বাধীন অস্ট্রেলিয়া গঠন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।