কেএসআমীন ব্লগ
গত শুক্রবার হঠাৎ করেই ঢাকার বনানীতে অবস্থিত "বনানী বিদ্যানিকেতনে" যাওয়া হয় এক বিশেষ প্রয়োজনে। এটি মূলত একটি হাই স্কুল। আগে নাম শুনলেও ওদিকে যাওয়া হয়নি। মোটামুটি ধারণা ছিল যে এটা একটি ছোটখাট স্কুলই হবে। কিন্তু যাওয়ার পর আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।
বিশাল এলাকা নিয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও পরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা এই স্কুলটি। তিনদিকে তিন/চারতলা বিল্ডিং, মাঝখানে ফুটবল খেলার সমান মাঠ। মাঠের চারপাশ সবুজ বনানীতে ঘেরা। বনানীর মত দামী এলাকায় এতবড় স্কুল ভাবাই যায় না। আর্কিটেকচারাল দিক দিয়েও স্কুল বিল্ডিংগুলো চমৎকার এবং দেখার মত।
বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা শহরে আমি আগে এরকম সুন্দর, পরিকল্পিত ও বৃহৎ ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিদ্যাপীঠ দেখিনি।
কিন্তু স্কুল থেকে বের হওয়ার সময়ই চোখে পড়ল এক এক করে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং অন্যটির নাম মনে করতে পারছি না।
বলা বাহুল্য, এই ইউনিভার্সিটি গুলো ৩/৪ রুমের ২/৩টি ফ্লাটবাড়ির মধ্যেই অবস্থিত। একবার আমার এক বন্ধু বলেছিল যে, সে এক ৩ রুমের ভার্সিটির সন্ধান পেয়েছে।
তো গিয়ে দেখে, একরুমে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় বসে আছেন। আরেক রুমে ২/৩টি কম্পিউটারে কয়েকজন গেম খেলছে। রুমের বাইরে লেখা আছে "কম্পিউটার ল্যাবরেটরী"। ৩য় রুমটিতে ক্লাস নেয়া হয়। আমার ধারণা ঐ ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই ধরণেরই হবে...
একটি আদর্শ মানের (বা সাইজের) স্কুল থেকে বেরিয়ে ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ৩/৪ রুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রবেশ করে তবে সে অভিজ্ঞতাটি কেমন হবে? কোন নীতিমালায় এগুলো লাইসেন্স পেল আর সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসায় নেমেছে? এগুলো দেখার কি কেউ নেই? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কি কোনই নীতিমালা এদেশে নেই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।