যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
একটা নিদৃষ্ট প্রজাতির জীবপ্রানের খাদ্যের বিস্তৃত অভাব যা একটা অঞ্চলের অপুষ্টি, খাদ্যাভাব, মহামারী ও মৃত্যু সংঘটন করে থাকে তাকে দুর্ভীক্ষ বলে। নীরব দুর্ভিক্ষ এর প্রথম স্টেজকে বলা যায়। উইকিপিডিয়ায় প্রদত্ত দূর্ভীক্ষের এই আভিধানিক অর্থ থেকে বোঝা যায় খাদ্যাভাব দুর্ভিক্ষের অন্যতম একটা ফেনোমেনা - আর হিডেন হাঙ্গার/গোপন ক্ষুধা সেই নীরব দুর্ভিক্ষের কার্যফল।
দুর্ভিক্ষের সাথে খাদ্যভাব অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। এই খাদ্যাভাবকে হিডেন হাঙ্গার/গোপন ক্ষুধা বলা যায় তখনই যখন জীবপ্রান প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সংখ্যা অনিদৃষ্ট হতে থাকে।
দুর্ভিক্ষ শব্দের একটা সামাজিক অর্থব্যঞ্জনা নেতিবাচক দ্যোতনা তৈরী করে বলে এ শব্দ পরিত্যাজ্য হয়েছে সরকারের কাছে। এ সরকারের শাষণামালে জনগণ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বিষয়টা মনপুত হবার কোন কারণ নেই ডক্টরস ফোরাম হয়ে ওঠা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে। সুতরাং একটা ইংরেজী শব্দগুচ্ছ তৈরি করে বিষয়টার তাৎপর্য্য গুরুত্বহীণ করা হয়েছে। হিডেন হাঙ্গার তেমনি একটা আইওয়াশ; জনপ্রশাসন ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ নিরসনে স্রেফ একটা রাজনৈতিক চাল।
নীরব দুর্ভিক্ষে নিম্নআয়ের মানুষগুলোর ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়, খাদ্যাভাব স্পষ্ট হতে থাকে।
কিন্তু খাদ্যাভাব এখন তো চরমে - এ অবস্থাকে নীরব বা হিডেন ফেমাইন বা হাঙ্গার বলা যায় না। এটা স্পষ্টতই একটা দুর্ভিক্ষাবস্থা।
আকবর আলী খান উপদেষ্টা থাকলে তিনি হয়তো নীরব দুর্ভিক্ষকে শালিন করে হিডেন হাঙ্গারই বলতেন, যেটা বর্তমান খাদ্য উপদেষ্টা সাহস করে বলতে পারেন নি - এই যা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।