আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন টিউনাদের জন্য টপটিউনারা আদর্শ এবং [ফ্রিওয়্যার] উইনমেন্ড ফোল্ডার হিডেন :: অত্যন্ত নিরাপদ হিডেন সফটওয়্যার

প্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি। কেমন আছেন আপনারা? অনেকদিন পর টিউন করতে মন চাইল। আগের মত আর সময় হয়ে ওঠে না টিউন করার।
আমার মত টপটিউনাররাও কিন্তু এই সময়ের কারণে আগের মত টিউন করতে পারে না। কিন্তু আমি আজকাল বেশ কিছু টিউনার টেকটিউনসে দেখি যারা টপটিউনারদের টিউন না করার জন্য টেকটিউসকে দায়ী করে।

যা মোটেও ঠিক নয়। টপটিউনারা টেকটিউনসের সম্পদ তাদের অবদান টেকটিউনসে সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীর কোন প্ল্যারফরমেই কেউ চিরস্থায়ী থাকে না তাদের অবদান থেকে যায় সারা জীবন। টপটিউনার তালিকায় যারা আছেন তাঁরা প্রায় ৩ বছর ধরে টেকটিউনসে ব্লগিং করছেন। তাদের ব্যস্ততাই তাদের ব্লগিং থেকে বিরত রেখেছে।

কিন্তু কোন টপটিউনারই টেকটিউনসকে কখনই টিউন করা নিয়ে অভিযোগ করেনি। কিন্তু কিছু ব্যক্তি আছে যারা হয়ত এসব বিষয় না বুঝেই টেকটিউনসের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত আর এ নিয়ে রাজনীতি করতে তৎপর।
টেকটিউনস টপটিউনারদের তৈরিও করে না তাদেরকে বাধাও দেয় না। একজন টিউনারকে পূর্ণ একটি প্ল্যাটফরম করে দিয়েছে টেকটিউনস। একজন টিউনার তার নিজ মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে টপটিউন হয়।

টেকটিউনসে টপটিউনারদের অতন্ত্য সম্মানের সাথে দেখা হয় যা দেশের অন্য কোন ব্লগিং প্লাটফরমে নেই। তাই এই সম্মানে আপনি নিজেও ভুষিত হতে পারেন। টপটিউনারা আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা তাদের অনুসরণ করব।
তাই নতুন টিউনারদের প্রতি আমার আহবান টপটিউনারদের পথ অনুসরণ করুন। তারা টেকটিউনসের আদর্শ।

কোন টপটিউনারই কোন কালেই টেকটিউনসের প্রতি অভিযোগ করেনি। কিছু ব্যক্তি যারা টপটিউনারের মর্ম বোঝে না এটা তাঁদের কাজ। টপটিউনারদের আদর্শ অনুসরণ করুন। ভাল মানের টিউন লিখুন।
যাহোক টপটিউনারদের নিয়ে আমার অনুভুতি আপনাদের জানাতে মন চাইল তাই বললাম।

এবার আসি আজকের টিউনে। ফ্রিওয়্যার এর ভক্ত আমি আর জটিল সব ফ্রিওয়্যারের খবর পাবেন আমার কাছ থেকে। আজকে জানাচ্ছি সেরকমই কিছু।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ফাইল-ফোল্ডার হাইড করে থাকি। এর জন্য আমরা সাধারণত টুলস থেকে ফোল্ডার অপশনে গিয়ে ফাইল বা ফোল্ডার হাইড করে থাকি, তবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।



এছাড়া আমরা অনেকেই বিভিন্ন সফটওয়্যাও ব্যবহার করে থাকি ফাইল বা ফোল্ডার হাইড করার জন্য। আজকে আমি এরকমই একটি সফটওয়্যার নিয়েই টিউন করব। উইনমেড ফোল্ডার হিডেন নামের এই সফটওয়্যারটি (1.57এমবি) ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। প্রথমে এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। ইন্সটল হয়ে গেলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে,এবং পাসওয়ার্ড কনফার্ম করতে হবে এবং প্রতিবার চালুর সময় এখানে পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে।

এথেকেই বোঝা যায় এটি ব্যবহার করা কত নিরাপদ। পাসওয়ার্ড চাইলে পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে পারবেন।

পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর সফটওয়্যারটি চালু হবে। এরপর যে ডায়ালগ বক্স আসবে এর ডান দিকে রয়েছে Hide folder এবং এর নিচে Hide files অপশন রয়েছে । যদি কেউ ফোল্ডার হাইড করতে চায় তাহলে Hide folder এই অপশনে ক্লিক করবে আর কেউ যদি ফাইল হাইড করতে চায় তাহলে Hide files এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ক্লিক করার পর একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল বা ফোলার সিলেক্ট করে ok দিলেই ফাইল বা ফোল্ডার হাইড হয়ে যাবে,কত সহজ তাই না!!

হ্যা এর মাধ্যমে হাইড করাও সহজ এবং আনহাইড করাও সহজ। সফটওয়্যারটি পুণরায় চালু করলে হাইড করা ফাইল বা ফোল্ডার দেখা যাবে। সেখানে একটি বক্স থাকে যেখানে টিক দিয়ে Unhide অপশন থেকে unhide করে বের হয়ে গেলেই সব কাজ শেষ। এপর যদি আবার হাইড করতে চাই তাহলে Set to hide দিলেই হাইড হয়ে যাবে।

এভাবে আপনি যা হাইড করবেন তা সবই ঐ ডায়ালগ বক্সে শো করবে,আপনি চাইলে তা ডায়ালগ বক্স থেকে রিমুভ করে দিতে পারেন।

রিমুভ করার অপশনটি একদম নিচে পাওয়া যাবে।

এই সফটওয়্যারটি অত্যন্ত নিরাপদ কারণ এটি চালু করার আগেই পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হয়। এই সফটওয়্যারে আরেকটি অপশন পাওয়া যাবে তা হল Our Products-এখানে এই সফটওয়্যার কম্পানীর অন্যান্য সফটওয়্যার,ফ্রিওয়্যার সম্পর্কে জানা যাবে এবং ডাউনলোডও করা যাবে।

আর এর উপরে মিনিমাইজের পাশে পাঁচটি কালার অপশন রয়েছে এর মাধ্যমে আপনি এর স্কিনের কালার পরিবর্তন করতে পারবেন।

সফটওয়্য্যারটি ব্যবহার করে দেখুন নিশ্চয়ই ভাল লাগবে।


সোর্স: http://www.techtunes.com.bd

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.