বৃষ্টিতে হাঁটতে ভাল লাগে আমার কারন কেউ দেখেনা দুচোখের জল ধুয়ে যায় বৃষ্টিধারায়
অবশেষে তাহারা এক হইলেন। দৃড় প্রত্যয়ে তারা ব্যক্ত করলেন অধিকারের কথা , রুখে দাড়াঁলেন সকল অন্যায় এর বিরুদ্ধে । ব্যক্তি নয় দল বড় ,দল নয় বরং দেশ বড় । এই মন্ত্রে তাহারা উজ্জীবিত হইয়া বীরদর্পে একত্র হইয়া ঘোষনা দিলেন সাম্যর আর মৈত্রীর । তাহাদের সগর্জনে দেশের অপামর অবাল বৃদ্ধ বনিতার ঘুম ভাংগিয়া গেল ,কিছু না বুঝিয়া অনেকেই প্রিয় নেতার আবেগময়ী ভাষণ শুনিয়া কাঁদিয়া দিলেন ।
প্রেস মালিকরা ধুলামাখা মেশিনের গায়ে তৈল মর্দনের আদেশ দিয়া অপেক্ষা করিতা লাগিলেন নতুন চাররঙা পোস্টারের ছাপাইবার আশায় । অবশেষে সোনালী দিন এই বুঝি এলো । আশায় সবাই যাইয়া ভীড় করিলেন প্রিয় নেতানেত্রীর বাসায়।
কিন্ত ন্যাম ফ্লাটের নেতাদের বাড়ীতে বাড়ীতে তখন ঝুলিতেছিল এক একটি বিরাট তালা । সকল দলের প্রিয়নেতারা জটলা পাকাঁইয়া ভীড় করিয়া দাড়াঁইয়া ,হতাশ দৃশ্টিতে তাকাইয়া আছে উচু অট্টালিকায় তাহাদের ফেলে আসা সুখী নীড়ের পানে।
এমন সময় এক উদোম গায়ের টোকাই না বুঝিয়া অনেক দিনের অভ্যাসে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলো "আমাদের দাবী মানতে হবে "।
বিভিন্ন দলের নেতারা একত্রে একসাথে দাড়াঁইয়া ছিলেন হঠাৎ এই চীৎকারে তাহারা সকলেই হতবিহ্বল হইয়া পড়িলেন । বয়োবৃদ্ধ নেতারা নিজ নিজ দলের পাতি নেতাদের সামরিক কায়দায় আলাদা করিবার বৃথা চেষ্টা করিলেন আলাদা প্লটফর্মে দলীয় মিছিল করিবার জন্য । কিন্ত স্হান সংকুলানের অভাবে তাহাদের সকল চেষ্টা বিফলে গেল। চেষ্টায় ক্ষান্ত দিয়া আবারও তাহারা সকলে অনেক উঁচুতে অট্টালিকার পানে তাকাইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিলেন।
এরপর হঠাৎ সকল নেতারা কি যেন ভাবিয়া একত্রে সগর্জনে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন "আমাদের দাবী মানতে হবে "।
জনগন অপার বিস্ময়ে তাকাইয়া দেখে আর ভাবিয়া কুল পায়না । কোন জাদুকাঠির ছোয়াঁয় তাহাদের সোনার বাংলায় আজ এই প্রথম একতার মিছিলে শামিল হইলেন তাহাদের প্রানপ্রিয় নেতারা ।
ন্যাম ফ্ল্যাট দখলে রাখতে সাবেক এমপিরা একজোট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।