আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
গণতন্ত্র হত্যার জন্য বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের নামে আর্ন্তজাতিক আদালতে, জাপান প্রবাসী এক লোক কতৃক মামলা হয়েছে। খুবই ভাল, কোন নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের গণতন্ত্র টিকে থাকা সত্যিই অসম্ভব। কিন্তু সন্মানিত বগ্লাররা, একটু ভাবুন, গন মানুষকে কষ্ট দেয়া সেই ক্রমাগত অবরোধ, পল্টনের মোড়ে জামায়াত আওয়ামীলিগের ধস্তাধস্তিতে কতগুলো তরুন প্রানের বলি, নারায়ানগঞ্জে পুলিশের উপর হত্যার বিভস্ত চিত্র। একুশে আগষ্টের হামলা, শিক্ষক ও ছাত্রদের দাবীতে রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি ভাঙ্গচুর, দোকানলুট এগুলো কি গণতন্ত্রের দাবীদার। এরা কি গণতন্ত্রের উৎস।
এরা কি গণতন্ত্রের ফলাফল। ক্ষমতার টানাহেচড়ায় দেশমাতৃ নামের অবলা নারীর ইজ্জত নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা এদেশের দলীয় ব্যানারে হয়, তার নাম যদি গণতন্ত্র হয়, তবে অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকারই ভাল। গণত্ন্ত্র এর নামে আমলারা দিনের পর দিন যে দলীয় ব্যানারের নেমপ্লেট নিয়ে দেশের বারটা বাজিয়ে নিজেরা একটা-দুইটায় পৌছে গেছেন, তাদের টাকার আর বিত্তের পাহাড় যদি গণতন্ত্র হয়, তবে আর কি বা বলার আছে।
এসবের মানে গণতন্ত্র চায় না, আর যদি এরপরও কিছু লোক গণত্ন্ত্র চায়, বুঝতে হবে তারা এসব চোর-বাটপারদের দালাল, না হলে নিতান্তই নির্বোধ। কারন দলীয় খোসামদ যদি গণতন্ত্র হয়, তবে এ গণতন্ত্র-র চেয়ে কঠিন বর্মীয় জান্তা সরকারই ভাল, তারা সরাসরি মানুষকে হত্যা করে, তিলে তিলে ক্ষয় করে একটি জাতিকে নিঃশেষ করে দেয় না।
ভাই হয়ে ভাইয়ের লাশে মাতাল নৃত্য করে না। অবরোধ আন্দোলনের নামে মানুষকে বিপদে ফেলে না।
বেশি লিখলে মাফ করবেন, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, এসব কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে লিখছি। আর কিছু ফালতু লোকের দালালী দেখে মেজাজ চড়ে যাওয়ায় লিখছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।