যারা যুদ্বাপরাধি, রাজাকার, ইত্যাদি নিয়ে দিবারাত্রি ঘুম হারাম করছেন, তাদের কাছে ২টি প্রশ্নঃ
১. বিগত ৩৭ বছরে বাংলাদেশে কাংখিত উন্নতি না হওয়ার পেছনে সেই তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী/রাজাকারদের কি আদৌ কোন ভূমিকা ছিল? কিংবা দেশের অর্থনৈতিক অবনতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সামাজিক অস্থিরতা আর নৈতিক অবক্ষয়ের মত বিষয় গুলোর পেছনে তাদের হাত ছিল এর কোন প্রমান আছে? কিংবা বিগত ৩৭ বছরে তাদের কোন কর্মকান্ড দেশের স্বাধিনতা সার্বভৌমত্ব বিরুদ্ধ ছিল তার কোন প্রমাণ মিলে? (সেই ব্স্তা পঁচা ঢালাও অপপ্রচার বা মন্তব্য নয়, যদি কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে তাহলে পেশ করুন)।
২. আর যদি সেই তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী/রাজাকারদের বিচারের জন্য যে ঢোল পিটানো হচ্ছে, তা হলে তো হলোই, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা গেলে তো গেলোই; কিন্তু ধরুন তা কোন কারনে করা হলোনা বা করা গেলোনা, তাতে কি তারা আমাদের কাংখিত উন্নয়ন লাভের পেছনে অন্তরায় সৃষ্টির কারন হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?
আসলে এইসব হট্রোগোলের পেছনের ব্যপার টা বোধ করি অনেক্ই বুঝেন, আবার অনেকে বুঝেও না বুঝার ভান করেন; আর তা হচ্ছে - বর্তমান নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুদক এর হাতে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সনামধন্য দেশ বরেণ্য নেতানেত্রীগণ যখন নানান জগণ্য দুর্নীতি আর অপরাধের কারনে ধরা পড়ে এখন কেউ সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন আর কেউ বা এখনো ওয়েটিং লিস্টে আছেন, সেই তখন তথাকথিত জামাত রাজাকারদের কারো বিরূদ্ধেই সেই রকম কোন না অভিযোগ বা আটকাদেশ আসছে, কিংবা অভিযোগ আসলে ও তা ধোপে টিকছেনা, তখন অন্যদের তো মাথা খারাপ হওয়ারই কথা। আর তাই জনগনের দৃষ্টিকে অন্য দিকে ফেরানোর উদ্দেশ্যে জামাতিদের পেছনে লেগেছে। কিন্তু আমরা সাধারণ জনগন কি এতই বোকা যে এত সহজ সমীকরণ টা বুঝিনা!
বেশি চালাক সাইজোনা, তোমাগো মনের খবর মোরা জানি জানি ............
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।