আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘৃনা করি জিন্নাহকে

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেবো না ভুলিতে - E-mail ID: aznabi_aznabi@yahoo.com

একজন সাধারন মুসলমান হিসেবে জিন্নহকে ঘৃনা করি - জিন্নাহর দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে দুটি পৃথক রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হয়। তার আধিপত্ব্য ও একক নেতৃত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যেই তিনি দ্বি-জাতিতত্ত্বের ঘোষণা দেন। দেশ বিভাগের সময় একবারও ভাবলেন না ভারতের বাকি অংশে বসবাসরত ৪ কোটি মুসলমানের ভাগ্যে কি হবে? যাদের অধিকাংশ মুসলিম লীগ করতেন এবং জিন্নাহকে তাদের নেতা মানতেন। মদ্যপ বেনামাজি জিন্নাহ কি আসলেই মুসলমানদের নেতা ছিলেন? একজন সাধারন বাঙ্গালি হিসেবে জিন্নাহকে ঘৃনা করি - তারই উত্থাপিত ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের Independent States শব্দটিকে ১৯৪৬ সালে Independent State বানিয়ে দেন। অর্থাৎ মুসলমান প্রধান এলাকা নিয়ে আলাদা রাষ্ট্রসমূহ গঠনের পরিবর্তে মুসলমান প্রধান এলাকা নিয়ে একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের কথা ঘোষণা দেন।

এটা তার একক নেতৃত্ব বজায় রাখার নির্লজ্জ স্পর্ধা। কারণ জিন্নাহ বাংলার সম্পদ এবং নেতৃত্বের লোভ সংবরণ করতে পারেন নি। তিনি আরো বুঝতে পারেন যে, অখন্ড বাংলা (পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলা) তার একক নেতৃত্বের অন্তরায়। তাই তিনি অখন্ড বাংলার দাবিকে সমর্থন না করে তীব্র বিরোধিতা করেন। একটি বারের জন্যও ভাবলেন না দুই বাংলার মানুষের ভাগ্যের কথা- ভবিষ্যতের কথা।

তিনি শুধু পাকিস্তানের জাতির পিতা হবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রইলেন। তার এবং তার অনুসারীদের কুচক্রে ১৯৪৬ সালে সৃষ্টি হয় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা। হিন্দুরা হত্যা করে মুসলমানদের, মুসলমানরা হত্যা করে হিন্দুদের। এ হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত অপরাধী ভারতের কতিপয় হিন্দুনেতা এবং মুসলমানদের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে তিনি এবং তার অনুসারীরা। জিন্নাহ কেন অখন্ড বাংলার দাবীকে নস্যাৎ করে দিলেন? পরিশেষে বলতে চাই রাষ্ট্রভাষা নিয়ে জিন্নাহর মনোভাব এবং ঘটনাসমূহ জিন্নাহকে পৌঁছে দিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃনিত ব্যক্তির পর্যায়ে।

তাই জিন্নাহকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.