ইমরোজ
ছাগলের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে বাসার বারান্দায়। এক তালা বাসার বারান্দায় অতিশয় সুন্দর একটা ছাগল বাঁধা দেখে আমি তো অবাক। এই জিনিস এখানে কী করছে? আমার বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন।
তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারলাম, রাজাকারের দাড়ির সাথে সাদৃশপূর্ণ দাড়িয়াল এই ছাগলের এখানে আগমনের একমাত্র কারণ সামনে কুরবানীর ঈদ! মহা আনন্দ আর ধুমধাম পড়ে গেল বাসায়। মানে আমিই আনন্দে অস্থির।
সেই ছাগলের সাথে খেলি, ওর কাধে চড়ে ঘোড়ার সাধ নেবার চেষ্টা করি। আরও অনেক কিছুই করি। ছাগল প্রতিবাদ করে, ম্যা ম্যা করে। কিন্তু সে তো কিছুই করতে পারে না। এমন কী দড়ি খুলা থাকলেও সমস্যা করে না।
দড়ি খুলে গেলে সে এদিক ওদিক তাকায় আর ম্যা ম্যা করে, কিন্তু কোথাও যায় না।
এমন খেলা খেলতে খেলতে হঠাৎই ছাগলের উপর রাগ হলো। কেন এক লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে তার অবস্থা টাইট করে ফেললাম। আমি তো অবাক সে কিছুই বলে না। একবার ম্যাও করে না! শুধুই জাবর কাটে।
কিন্তু এই রাজাকার সাদৃশ বস্তুটি পরে বুঝলাম, আসলে একটা ফাঁকা কলস। যে মাংস হয়েছিল, তাও কম আর সুস্বাধুও না। ছাগলের বুদ্ধি তখন স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ঈদের ঠিক আগের দিন বারান্দায় ছিলেন না। খুজতে খুজতে আমরা তো হয়রান।
সারা পাড়া খুজা হয়ে গেছে, অথচ ছাগলের দেখা নাই। কোথায় খুজি কোথায় খুজি?
শেষটায় ফোন (পুলিশকে) করতে ঢুকলাম বেডরুমে। তখনই চিৎকার। তিনি বিছানায় বসে বসে বালিশের কাভার চাবাচ্ছেন। অতিশয় উপাদেয় খাদ্য বটে।
এটাকে তার ঘাস ভাবার কারণ আমি আজও বের করতে পারলাম না। যাহোক,
হার্মলেস এই জন্তুটিকে পরের দিন বিসমিল্লাহ করে দেওয়া হইলো।
গল্পের সারমর্ম হইলো গিয়া, ছাগলদের কুরবানী করতে হয়। আর এরা অতিশয় সাধারণ প্রানী। এদের ইচ্ছা মত লাথি গুতা মারা যায়।
কিন্তু মনে রাখবেন এরা কিছুই করতে পারে না। কোন বিশেষ সালেও এদের কোন সাফলতা নাই। এমনকি ছাগল নিজের দেশ (পাকিস্তান) এও নিষ্ক্রীয়। তাদের ছাড়াই লোকে নির্বাচন করে ফেলে, আর তারা থাকে জাবর কাটায় ব্যাস্ত।
আর সময়মত এদের কুরবানী করাই ভালো।
দেশে তো আর মানুষের চেয়ে ছাগলের সংখ্যা বেশী হতে পারে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।