জনাব হেকিম বোঘদাদী তাইনের 'ইসলাম আর নারী-১' পোস্টে ভুংভাং ওয়াজ ফরমাইসেন। কোরআন শরীফের সুরা নিসা'র ৩২ নম্বর আয়াতের সাথে ৩৪ নম্বর আয়াতের মিল খাইতাসে না। তাইনে কইলেন 'সো এখানে একটা সার্কুলার আর্গুমেনটের জন্ম হয়'। তাইনেরে জিগাই, কোরআন শরীফ অর্থসহ বুইঝা পড়নের তরিকা তাইনের জানা আছে কি না?
খালি লাইন বাই লাইন অনুবাদ দেইক্যা কোরআন বুঝন যা না। আল্লাহতালা হেকমতের সাথে কথা কইসেন।
কোরআন বুঝনের লাইগা নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সোজা অনুবাদে খটকা লাগবো দেইক্যাই বিশেষজ্ঞের মতামত জানন লাগে। আল্লাহ কিছু বিষয় এক আয়াতে ইট্টু কইয়া অন্য সুরার অন্য আয়াতে বিশদভাবে কইসেন। কোরআন বুঝন লাগে হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়া। মোফাসসির বা ইমামগণের কথা থেইকাও বুঝন লাগে।
আপনে ৩৪ নম্বর আয়াতের উল্লেখ কইরা বউয়েরে 'মাইর' দেওনের কথা উল্লেখ করসেন। সরাসরি 'মাইর' শব্দখান কওন ঠিক হইল না। আবদুল্লাহ ইউসুফ সাবে তাইনের ইংরেজি তফসিরের মইদ্দে লেখসেন '(লাইটলি) ফিজিক্যাল কারেকশন মে বি এডমিনিসিটার্ড'। এই কথাডার পরেই তাইনে উল্লেখ করসেন, 'ইমাম শাফেয়ী রহঃ কনসিডার্স দিস ইনএ্যাডভাইজেবল, দো পারমিসিবল' আরো কইসেন , আয়াতের পরের অংশের বরাত দিয়া যে, হগল অথোরিটি একমত যে, কুনু ধরণের নিষ্ঠুরতা দেখান যাইব না। বনিবনা না অইলে দুনু পক্ষের পাবলিক ডাইক্যা বইয়া শান্তিমতে ফয়সালা করন।
(উল্লেখ করন দরকার, ল্যাটিন সমাজগুলাতেও এইরম ফয়সালা করনের বিধান আছে। )
পরের কথা অইলো, দুইন্নার বেবাক নারী পুরুষ হেকিম সাব আর হেকিম সাবের বউয়ের মতো না। তাইনে যদ্দুর দরদ দেখাইতাসেন নারী জাতির প্রতি তার থিকা লক্ষ কুটি গুণ বেশি দরদ আল্লাহতালার আছে মাইনসের লিগা। মানবজাতির স্বভাব সম্পর্কে আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন। কুন মাইনসের মতি গতি কখন কিরম হইব হেইডা বুইঝাই আল্লাহতালা কোরআনে আইন দিসেন হগলের লেইগা।
হের পরের কথা অইলো, দুইন্নাডার মইদ্দে মাইনসে, ধার্মিক অধার্মিক নির্বিশেষে, একটা সিস্টেম বানাইয়া চলতাসে। যে কুনু ধরণের শাসন ব্যবস্থার কথা আইলেই কেউ না কেউ নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব নির্ধারন কইরা দায়ভার নেওন লাগে। বস ডন পেরসিডেন্ট চেয়ারম্যান ডিরেক্টর ক্যাপটেন ম্যনেজার বানান লাগে। এই যে ৩৪ নম্বর আয়াতের শুরুতে আল্লাহ কইলেন, 'আর রেজালু ক্বাওয়মুনা আলা নিসা' মানে 'ম্যান আর দ্য প্রটেকটরস এ্যন্ড মেইনটেইনারস অব উমেন' অর্থাৎ পুরুষকে সংরক্ষক বানান হইসে নারীর উপর। অভিভাবকত্বের দায়িত্ব দেয়া হইসে।
কেল্লেইগা দিসে? ইট্টু চিন্তা কইরা দেখেন, মানবজাতির মইদ্দে কিছু ব্যতিক্রমী নারী পুরুষ ছাড়া বেশিরভাগ নারী পুরুষের মইদ্দে শারীরিক মানসিক শক্তি পুরুষের বেশি। কেউ হয়তো এইখানে কইবেন, পুরুষ শাসিত দুনিয়া নারীরে দুর্বল কইরা রাখসে আর কইতাসে। নাহ, এইডা একটা পাইকারী কথা। যেই সমাজে নারীগো দাবাইয়া রাখে হেই সমাজেও কিছু নারী বীরাঙ্গনাও অইয়া যায়। যেরা হয় তাগোরে তথাকথিত পুরুষতন্ত্র ক্যান দাবাইয়া রাখতে পারে না? পারে না হেরা ব্যতিক্রম দেইক্কা।
(তয় কথা এইডা ঠিক, এশিয়া আফ্রিকার দেশগুলানে বেক্কল মোল্লারা নারীগো অতিমাত্রায় দাবাইয়া রাখে যেইডা কোরআনের খেলাফ। ) অহনে কথা অইলো, ব্যতিক্রম দেইক্যা সার্বিক বিচার করলে তো অইব না। নারীগো পিরিয়ডের দুর্বলতা আছে। সন্তান ধারণকালের দুর্বলতা আছে। নারীর মইদ্দে বাই নেচার কমনীয়তা আছে।
ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ নারীর শরীরও পুরুষের তুলনায় নরম। পুরুষ বডি বিল্ডার আর নারী বডি বিল্ডারের মইদ্দেও পার্থক্য চোখে পড়ার মতন। বিশেষ কইরা গর্ভবতী মায়েগো প্রটেকশন জরুরী। আল্লাহতালা যে পুরুষেরে সংরক্ষক বানাইসেন, এইডা দিয়াও নারীরে সম্মানিত করসেন। কেমনে? ইসলামে দায়িত্বশীল হওন মানে হিটলার হওন না।
খাদেম হওন। এই সেন্সটা যদি হেকিম সাবে বুঝতাইন তাইলে আর কইতেন না সারকুলার আরগুমেন্টের কথা। কোরআনে নারীর প্রতি ভালোবাসা মমতা সম্মানের কথা বহু জাগায় কওয়া হইসে। মা বৈন বউয়ের মর্যাদা খোলাসা কইরা কওয়া আসে ইসলামে। একটা দুইটা আয়াতের ভুল তর্জমা কইরা অর্থ ধইরা চিল্লাফাল্লা করন অল্প বিদ্যা ভয়ংকরীর কাম।
আশা করতাসি ইমুন কাম ভবিষ্যতে আর করবাইন না যেই কাম করলে হেকিম সাবের ইজ্জতে দাগা লাগবো। আপনে একখান পুস্টু দিলেন, আপনের কিছু অন্ধ সমর্থক আইয়া আপনেরে বাহবা দিলো, আপনে মনে মনে প্রফুল্ল হইলেন, আপনের বদনখানি লাল হইল, চিত্ত বিনোদিত হইলো। কিন্তু আহা আপনে জানেন না, আপনের অজ্ঞতা দেইক্যা কত মাইনসে আফসুস করতাসে- হায়রে হেকিম সাব এক্কেবারে বরবাদ অইয়া গেলো!! ভুইলা যাইয়েন না, আল্লাহ হইলেন তিনি, যিনি আপনের চাইতে হাজারগুণ উত্তম বিজ্ঞানী দার্শনিক দুইন্নাতে পাঠান। সো আল্লাহর কথা নিয়া মশকরা কইরেন না আল্লাহর ওয়াস্তে।
আসল কথা অইলো ইতান লেখন আপনের কাম না।
আপনের কাম অইল 'রিপুর তাড়না' নামে পর্ণো চর্চা করন। হেইগুলান আপনের ঘুণমনা পাঠকেরা পাইলে হাতে আসমান লাগাল পাইসে মনে কইরা দম বন্ধ কইরা খাইতে থাকবাইন। আর আপনেরে নোবেল পেরাইজ দেওনের চেষ্টা করবাইন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।