"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
সীমা তার ক্লাসমেট হাসনাতের সাথে প্রেম করার আগে পড়াশোনার ব্যাপারে অনেক সিরিয়াস ছিল পড়াশুনা ও পড়াশুনা বিষয়ক ব্যাপারে। তার বয়ফ্রেন্ড হাসনাতের রেজাল্টসহ আন্যান্য performance থেকে বোঝা যায় ছেলেটার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। তাই সীমা তার নিজের পড়াশুনার ব্যাপারে উদাসীন।
চৈতিকে তার এক পরিচিত জিজ্ঞেস করল, অনার্স শেষে মাস্টার্স করবা নাকি এমবিএ নাকি চাকরি? চৈতি বলল, সে জানে না সে কি করবে। যেহেতু তার ক্লাসমেটদের মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাই তার বাসায় তার বিয়ের ব্যাপারে বেশ চাপ আছে।
সে চাকরি করবে না, তবে সে মাস্টার্স খুলনায় করবে নাকি ঢাকায় করবে এটা নির্ভর করছে, তার বিয়ের পর তার শ্বশুর বাড়ির উপর। যদিও ওর বিয়ের কোন ঠিকঠিকানা নাই এখনও!
প্রায়ই মেয়েদের দেখা যায় মোবাইলে কেউ ডিসটার্ব করলে অন্য ছেলে যেমন ভাই, বন্ধু বা অন্য কোন ছেলেকে দিয়ে মোবাইলে যে ডিসটার্ব করে তাকে গালি দেয়ায়। গালি দেয়ার কি দরকার আমি খুজে পাই না। কাউকে যদি মোবাইলে কথা বলার সুযোগই না দেয়া হয় তাহলে সে এক দুইবার ফোন করে আর করবে না, এটাই স্বাভাবিক। নিজের সমস্যা নিজেরই সমাধান করা উচিত, এখানে ছেলেদের টেনে আনার কি দরকার তা আমার বোধগম্য হয় না।
আর এমন তো কখনও দেখি না যে কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে বলছে, “আমাকে ডিস্টার্ব করে, গালি দে। "
আজকে টিভিতে খবরে দেখলাম নারী দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির কথা। এর মধ্যে সম্পত্তিতে সমান হিসাব, নারী উন্নয়ন খাতে অধিক বরাদ্দ, সমঅধিকার অন্যতম ছিল। আমি বুঝি না এই সব নারী দিবস নিয়ে কাদুনী গাওয়ার কি আছে (যদিও আমিও এখন কাদুনীই গাইছি)।
আমি এখন পর্যন্ত কোন মেয়েকেই দেখি নি যে সমঅধিকারের কথা না বলে থাকে কিন্তু যখন প্রয়োগের সময় আসে তখন ঠিকই বলে, মেয়ে হিসেবে আমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, আরে ছেলেরা তো এইসব পারে, ও ছেলে তাই ও কাজটা ভাল বা তাড়াতাড়ি করতে পারবে, কিংবা তুমি ভাল কাজ পারো একটা মেয়ে হিসেবে!
মেয়েরাই তাদের মন মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে চায় না বা পারে না কিন্তু সমঅধিকার চায় আবার।
আমার দাদী আজ থেকে ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু এখনও তার কথা আমি শুনি দূরের কিংবা গ্রামের অন্যান্য লোকজনের কাছে। সেই আমলে উনি একজন অশিক্ষিত মানুষ যে শুধু নিজের নামটাই লিখতে পারতেন, নিজেকে একজন পুরুষদের সমপর্যায়ের এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের থেকেও উপরে নিয়ে গিয়েছিলেন.....সেখানে এখনও সমঅধিকার নিয়ে কথা শুনতে ভাল লাগে না।
একটা দিন নারী দিবস আর বছরের বাকী দিনগুলো কি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস!
আমার স্বল্প জ্ঞানে মনে হয়, প্রত্যেকটা দিনই প্রত্যেকের নিজের কাছে বিশেষ দিন, হয়তো খারাপ হয়তো বা ভাল। আর ক্যানক্যান না করে আগে তো আমরা নারীরা নিজেদের মানসিকতা তৈরি করি “আমরা পুরুষদের সমপর্যায়ের”।
আমার কাছে এইসব দাবীদাবার অর্থ মনে হয় আমরা বাড়তি সুযোগ চাইছি, তাহলে আর সমঅধিকার কার কই হল!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।