আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
আমার ছোট ভাই যখন ছোট ছিল, তখন তার ধারনা ছিল দুনিয়ার সব প্রানী তার নাম ধরে ডাকে। এমন কি চড়ুই পাখিও নাকি সিফাত সিফাত বলে ডাকে। সে আবার সেটা অনুকরন করে ডেকেও আমাদের কাছে প্রমান করতো। কোরবানীর সময় গরু বা খাসি আনার পর বাসায় আর ওর চেহারা দেখতাম না। সকাল বেলায় চলে যেত গরুর কাছে আর রাত্রে আসত।
কোরবানীর পর দেখতাম রৌদ্রে থেকে থেকে চেহাড়া একেবারে কালো হয়ে গেছে। ওর সামনে কবুতর আনার পর আর জবেহ করা যেত না। কান্নাকাটি শুরু করে দিত।
আব্বার হাঁসের মাংস খাবার খুব সখ। একদিন একটা হাঁস কিনে আনলেন।
হাঁসটা বারান্দায় রাখা হলো। খুবই ভদ্র পাখি। চুপচাপ বারান্দায় থাকল। সিফাত (তখন ৫ বছরের ছিল) দেখেই আব্বার মতলব বুঝতে পারল। বলল, এই হাঁস কাটা যাবে না।
ওকে থামানোর জন্য বলা হলো, বেশ তাই হবে। হাসটা কয়েকদিন রাখার চিন্তা-করা হলো। একটু পরে আমি হঠাৎ বেসিনের সামনে দেখলাম হাসের পায়খানা। আরে, এখানে এটা কি করে এলো। বুয়াকে দিয়ে পরিস্কার করানো হলো।
তারপর দেখা গেল বেডরুমের সামনে ময়লা। কি ব্যাপার হাঁস তো বারান্দায়, এখানে ময়লা করলো কি করে..। দেখা গেল হাসটা খুবই স্মার্ট, চুপচাপ ঘরে ঘরে ঘুরে, ময়লা করে আর কাউকে আসতে দেখলে নিশ্বব্দে আবার বারান্দায় পালিয়ে যায়..। একদিনে বাসার লোকের মাথা খারাপ করে দিল। এই যন্ত্রনায় সিফাতের কথা আর রাখা যায়নি।
আব্বার ইচ্ছাই পূরন করা হলো...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।