আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৬

যেখানেই থাকো......ভালো থেকো!!!!!

পূর্ব প্রকাশিতের পর (আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০১ , আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০২, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৩, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৪, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৫) একটা সময় আমার দেয়া তুচ্ছ জিনিসও তোমার কাছে অতীব মূল্যবান ছিলো। আমার চিঠি তোমার কাছে এতটাই মূল্যবান ছিল যে ছিড়ে ফেলতে বললে তুমি তা করতে না। আমার এরকম একটা অনুরোধের প্রত্যুত্তরে তুমি লিখেছিলে, “তুমি বলেছিলে চিঠিটা ছিড়ে ফেলতে। কিন্তু আমার উদ্দেশ্যে তুমি এতো সুন্দর করে চিঠি লিখেছো তা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ছিড়তে পারিনি। তাই আমার এ চিঠি আমি তোমার কাছেই ‘আমানত’ হিসেবে রেখে দিলাম।

দেখো, আবার আমানতের খেয়ানত করোনা। ” না আমি তোমার আমানতের খেয়ানত করিনি। সেই চিঠিটি সহ তোমার উদ্দেশ্যে আমার লিখা অনেক চিঠিই আমার কাছে পড়ে রয়েছে, সযতনে আমি সেগুলি তুলি রেখেছি এবং মাঝে মাঝে সেগুলি পড়ে স্মৃতির সাগরে ডুব দেই। আর চিঠিগুলি সংগ্রহে রাখার আরেকটি উদ্দেশ্য হল, সময়কে চিঠির মাধ্যমে ধরে রাখা। ২৩ জুনের পরবর্তী সময়ে আমি আমার মনের দুঃখ, ক্ষোভ উজাড় করে তোমার কাছে কয়েকখানা চিঠি লিখেছিলাম।

কিন্তু আমার সে চিঠিগুলি তুমি ছিড়ে ফেলেছো। যা আমাকে দুঃখ দিয়েছে। কারণ সে চিঠি গুলিতে ফুটে উঠেছিলো আমার তখনকার মানসিক চিত্র। কিন্তু সে চিঠি তোমার পছন্দ হয়নি বলেই তুমি ছিড়ে ফেলেছো, এমনটিই আমার ধারণা। তাই এখন আমি কম্পিউটারের আশ্রয় নিয়েছি যাতে তোমায় লিখা চিঠির একটি কপি অন্তত আমার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে জমা থাকে।

আমাদের দেখা করার সুযোগ ছিল সীমিত। কিন্তু তথাপি দাদাকে বিরক্ত করে আমরা অনেকবার দেখা করেছিলাম, আর আমাদের দেখা করার মাঝে ধীরে ধীরে আমাদের আকাঙ্খিত উপহারগুলো জায়গা করে নিতে লাগলো বেশী সময় জুড়ে। উপহার যে শুধু আমি পেতাম তা নয়, আমিও তোমাকে উপহারে উপহারে রাঙিয়ে দিতাম। আর সেটা ছিল সেই মুহুর্তে দু’জনেরই কাঙ্খিত প্রাপ্তি। আর সেটা বুঝা যায় তোমার পরবর্তী লিখা থেকে, “কালকের দিনটির জন্য তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

সত্যি বলতে কি, মিঠুর বাসায় এভাবে আসতে রাজী হওয়াকে তুমি কিভাবে নিচ্ছ সে ভেবে আমি খুব শঙ্কিত ছিলাম। তোমার সাথে পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত দেখা হচ্ছে না ভেবে মনটাও খারাপ ছিল। কিন্তু তুমি যখন আমাকে ক্রমাগত আদর করতে লাগলে,কি এক অপূর্ব ভাল লাগায় মনটা ছেয়ে গেল। তোমাকে কত কিছু বলব ভেবেছিলাম, কিন্তু তখন তোমার আদরের আমি এতোই কাঙাল ছিলাম যে কিছুই বলতে ইচ্ছা করল না। ” আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, আজ যখন আমি তোমাকে তোমার সেই পুরোনো দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তুমি মনে মনে সেই দিনগুলোর জন্য পরিতাপ করছো এই ভেবে যে তখন যা কিছু ঘটেছে, তা না ঘটলেই ভাল ছিল।

কারণ তুমি অনেক বদলে গেছ, তোমার চিন্তাভাবনাও অনেক বদলে গেছে। যদি তুমি পারতে, তবে তুমি তোমার জীবন থেকে সেই দিনগুলো মুছে দিতে বলেই আমার বদ্ধমূল ধারণা। আমাদের সে উপহারগুলো ধরনটা কেমন ছিল মনে আছে কি তোমার? তুমি লিখেছিলে, “শুনো প্রিয়, এবার তোমায় আমার ভালবাসার কথা বলি। তোমার যেমন একটি স্বপ্ন ছিল আমার স্কন্ধে চুমু দ্বারা চুমায়িত করা, আমারও তেমন একটি ইচ্ছে ছিল তোমার গলায় মুখ গুঁজে থাকা। সেদিন তুমি যখন আমাকে হাত দিয়ে প্রথমে জড়িয়ে ধরলে তখনই আমি মনে মনে ঠিক করলাম আমার সেই ইচ্ছেটা পূরণ করে নিব।

যখন তোমাকে জড়িয়ে ধরে তোমার গলায় মুখ গুঁজলাম, তখন মনে মনে আল্লাহর কাছে বললাম তিনি যেন সারাজীবন এভাবে আমাকে মুখ গুঁজে থাকতে পারার ভাগ্য দেন। নিজেকে হয়তো সংযত করতে পারতাম। কিন্তু; প্রিয় আমি যে সে চেষ্টা করিনি। এখনও আমি রাতে ঘুমুতে যাবার সময়/ঘুম ভাঙার পরে মনে মনে কল্পনা করি আমার প্রিয়কে জড়িয়ে ধরে তার গলায় মুখ গুঁজে আমি শুয়ে আছি। সে ভাবনাটা আমাকে কি পরিমাণ আন্দোলিত করে তা হয়তো তোমাকে কোনদিনও বুঝাতে পারবো না।

” হ্যাঁ তুমি কেমন আন্দোলিত হতে তা আমি ঠিকই বুঝতাম। কেননা আমিও যে একই রোগের রোগী ছিলাম। কিন্তু আজ এই মুহুর্তে খুব জানতে ইচ্ছে করছে বিগত ৮ মাসে কখনও কি তুমি ঘুমুতে যাবার সময় কিংবা ঘুম ভাঙার পরে মনে মনে এই ধরনের কল্পনা করেছো? আমি খুব স্পষ্ট ভাবেই জানি যে, এর উত্তর হচ্ছে ‘না’। কেননা তোমার চিন্তাভাবনা এখন অনেকটা রক্ষণশীল। আগে যা যা কিছু ঘটেছে, তার জন্য তুমি মনঃপীড়ায় ভুগছ বলেই আমার ধারণা।

(চলবে......)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।