যেখানেই থাকো......ভালো থেকো!!!!!
পূর্ব প্রকাশিতের পর (আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্ ডে-০১ , আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্ ডে-০২, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্ ডে-০৩, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্ ডে-০৪ )
প্রিয়া, আমরা আমাদের ভালবাসার কারণে ধীরে ধীরে একে অপরের সত্ত্বায় এমন ভাবে মিশে গেলাম যে আমদের মাঝে আর কোন দূরত্ব রইল না। হয়ে উঠলাম এক দেহ, এক প্রাণ। আর এমন একটি সময়ে আমি তোমার কাছে চাইলাম আমার ভালবাসার কাঙ্খিত উপহার। তোমার কি সেই মূহুর্তগুলো মনে আছে!! আমায় উপহার দেয়ার অব্যবহিত পরে তুমি লিখেছিলে, “২ জুন দাদার বাসায় থাকাকালীন সময়ে তোমাকে তোমার আকাঙ্খিত উপহার দেয়া পরও আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরেছি তোমার কোন ইচ্ছা অপূরণ রয়ে গেছে। কিন্তু তুমি কি চাচ্ছ সেটা না বললে আমি বুঝি কি করে।
সেজন্যই আমি তোমাকে এসে ফোনে জিজ্ঞাস করেছিলাম তুমি Satified কিনা। এখন আবার চিঠিতে লিখ তোমার স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে চেয়েছিলে, তোমার সে ইচ্ছাটা সময়ের স্বল্পতার জন্য হয়ে উঠেনি। তোমার ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি জেনে আমার খারাপ লাগল। দাদা কি ভেবে এসব বলে আমি বুঝিনা। তুমি ঐ দিন আসার পূর্বে বার বার আমাকে বুঝাচ্ছে যে তোমার সাথে এরকম দেখা করার সুযোগ সব সময় হবেনা।
তাই যখন তুমি আসছ তখন যেন দু’জনে মিলে সময়টা কাজে লাগাই। আমি ওর কথাগুলো কানে তুলিনা, কিন্তু তোমার চিঠি পড়ে দাদার ঐ কথাগুলোর গুরুত্ব একটু অনুধাবন করতে পারলাম। তাই তোমাকে বলি যখন আমার সাথে তোমার দেখা হওয়ার সুযোগ হবে তখন তুমি তোমার সব ইচ্ছা পূরণ করে নিও নিঃসঙ্কোচে।
মনে আছে তোমার, প্রথম যে দিন তোমার সাথে দাদার বাসায় দেখা করি তখন আমার মধ্যে একটু জড়তা ছিল, তোমায় সে কথা মনে হয় একদিন ফোনে বলেছিলাম। কিন্তু ঐদিন দাদার বাসায় যখন তোমার পাশ ঘেঁষে তোমাকে স্বশরীর ছুঁয়ে বসলাম আমার মধ্যে একটু জড়তা ছিলনা।
যখন তোমার উপহার দিতে হঠাৎ করেই প্রস্তুত হলাম, মনে হল যেন এটা তোমার প্রাপ্য, তো দিয়ে আমি মুক্ত হলাম। আমার সকল আবেগ, আদর, ভালবাসা সব তোমার জন্যই যেন তুলে রেখেছিলাম। আমার স্পর্শ তোমাকে যেমন আবেগাপ্লুত করেছে তেমনি আবেগাপ্লুত করেছে আমাকে, রিকসায় বসে তোমার কথা তপার জন্য ভাববার অবকাশ পাইনি। বাসায় এসে মনে হয়েছে তোমার ছোঁয়া থাকতে থাকতেই বিছানায় যেন যাই। একান্ত নিজের মতো করে তোমার পরশ অনুভব করি।
তাই তাড়াতাড়ি করে খেয়ে, নামাজ পড়েই বিছানায় যাই। কি যে এক আবেশ আমাকে জড়িয়ে রেখেছিলো তোমাকে বুঝাতে পারবো না। ”
মাঝে মাঝে আমরা দু’জন দু’জনকে স্বপ্নে দেখতাম নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এরকম একটা স্বপ্নের বর্ণনা দিয়ে তুমি লিখেছিলে, “কাল রাতে স্বপ্নে দেখেছি, পারিবারিকভাবেই সবার সম্মতিক্রমে তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ের দিন আব্বুরা সবাই তোমাদের অপেক্ষা করছেন, কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা তোমরা আর আসনি।
তারপরেই আম্মার ডাকে ঘুম ভাঙলো। ৮টায় ক্লাস ছিলো। তাই আম্মা ডেকেছেন। মাস তিনেক আগে এরকমই স্বপ্নে দেখেছিলাম তুমি আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করছো, বিয়ে হচ্ছে বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে। তিথি বিয়েতে গিয়েছিলো, এসে বলল ..জ..ন ভাই খুব ধুমধাম করে বিয়ে করছে, তোকে দাওয়াত দেয়নি? স্বপ্নে তোমার বিয়ে নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, কারণ তুমি আমাকে বলেছ তারপর আমাকে বিয়ে করবে-আর তাতেই আমি খুশী।
চিন্তা কর আমি তোমাকে কতটুকু ভালবাসি; বিয়ে করেছো জেনেও সেই বিবাহিত তোমাকে বিয়ে করার জন্য কেমন অস্থির হয়েছি। ”কিন্তু সময়ের আবর্তে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে এবং যাচ্ছে। আমার জন্য তোমার সেই পূর্বেকার আবেগ আর বর্তমান নেই। এখন তুমি অনেক সমঝদার হয়েছো। তুমি বাস্তববাদী হয়েছো এবং তোমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন।
আমি তোমার বর্তমান চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানাই। এবং এজন্য বলছি সময় থাকতে নিজের বুঝ বুঝে নাও এবং আমাকে ভুলে যাও।
(চলবে.....)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।