৪২) আমার শব্দরা আমায় ডাকে
নিজের ছায়ার সাথে দীর্ঘ সময়
ঘুরে বেড়ালাম আজ।
একলা হ'বার জন্য পথে নামা
অনেক দুর হেঁটে আসা পথ।
সারি সারি গাছগুলো পাতাহীন
অথচ বেঁচে থাকার গৌরবে
বাতাসের সাথে কথা বলে যায়
শীর্ণ ডালপালাগুলো।
দুরে মন্ট্রিয়েল রোডের কোনার
কবরস্হানটার পাশ দিয়ে হেঁটে যাই।
কত নাম।
পাথরে খোদাই করা ফলকে
জন্ম এবং মত্যুর তারিখ।
মানুষ কেমন করে শুধু পাথরের ফলকে
খোদাই করা নাম হয়ে যায়।
পাথরের নীচে,মাটির নীচে
কোথায় যে মিশে যায় মানুষেরা।
আত্মাটা মুক্ত হয়ে আকাশ থেকে দুরে
আরো বহু দুরে কোথায় যে চলে যায় কে জানে।
সন্মোহনের মত পার হই এই সব পথ।
দুরে গির্জার ঘন্টা বাজে ঢং ঢং করে।
প্রার্থণার জন্য সমবেত মানুষেরা
চোখ নত করে থাকে।
আমি হেঁটে যাই একদম সামনে।
মরিয়ম এর মূর্তিটা চোখে পড়ে।
কোলে শিশু পুত্র ঈসা।
মাতৃত্বের অদ্ভুত উপমা এক।
দু'চোখ মেলে থাকি।
বিনত হই শ্রদ্ধায়।
পৃথিবীর তাবৎ মায়ের ব্যণ্জনামাখা মুখ।
মরিয়ম এবং শিশু পুত্রের পরম নৈকট্য দেখি।
আমার নিজস্বতায় সুখের উপমা হয়ে
বাড়তে থাকে রোদেলা সকাল।
বেঁচে থাকার গর্বে যতই হাটতে থাকি
মৃত্যুর ছায়ারা ক্রমশঃ খেলা করে আশে পাশে।
চলে যাবার কোন সময় থাকে না।
সময় চলে এলে শুধু চলে যাওয়া।
পিছে ফেলে যাওয়া প্রিয় মানুষদের কান্না,আর্তনাদ
কিছুই ফেরাতে পারেনা আর।
তখন তো শুধু যেতে থাকা।
এক আকাশ থেকে অন্য আকাশ
কতদুর সেই পথ কে জানে!
সে কথা ভাবলে
ক্লান্তির পাখীরা উড়ে চলে ভীন পথ ধরে
চুপি চুপি কথা কয় ঘাসফুল।
সেই ঘাসফুল!
যার জন্য আমার শব্দরা নিয়তঃ আমায় ডাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।