কালবৈশাখীর কবি ঝরাপাতার কাব্য কভু বলেনিতো মুক্তির কথন বিবর্তনের পথ ধরে, অনেকটা দূর হেঁটে এসেছি মিথ্যে-বেসাতির ঘ্রাণ ছড়ানো; এ কাব্যবৃক্ষের কীর্তন,আমি গাই কি করে? ও যে ঝরে পড়ার কাব্য,ঝরে যাওয়াদের কাব্য,ঝরাপাতার কাব্য ৷৷ আমি বিপ্লবের কবি,বিপ্লবীদের কবি,উত্তপ্ত রণাঙ্গণের কবি আমি স্লোগানের অগ্রভাগে বিস্ফোরিত বারুদের উল্কাপিণ্ড বিদ্রোহের ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাই সাম্রাজ্যবাদের দোসরদের মহাপ্রলয়ের কবি আমি,আমি কবি কালবৈশাখীর ৷৷ ঝড়ের দাপটে পালংকতলে আশ্রয় খোঁজার দলে আমি নই কিংবা ঝড়ের দিনে আম কুড়িয়ে-মুখ রাঙিয়ে গল্প করার কথাও বলবোনা আমি কালবৈশাখী হাওয়ায় কান পেতে শুনতে পাই-জেগে উঠার আহ্বান জড়তার খোলস ভেঙ্গে সমাজ গড়ার ডাক,দুর্বিনীত তাণ্ডবে দেখতে পাই- অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ৷৷ ঝড়ো হাওয়ায় দেহখানি পেতে দেই আমি নামের সত্তাটাকে উড়াই;অস্তিত্ব রক্ষার দীক্ষা নেব বলে কালবৈশাখী মানে-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে,শোষণের বিরুদ্ধে,শাসকের বিরুদ্ধে নয়া বিপ্লবের ডাক,নয়া সমরের ডাক ।। পান্তা-ইলিশের একদিনের বাঙাল বাবুরা- মাঝির যাতনা বোঝেন? পদ্মার কষ্ট বোঝেন? কপালের তিলক আর টিপটাই কি স্বদেশপ্রেমের সাক্ষ্য? বর্ষবরণ ?? নাকি কামনা-বাসনার ষোলকলা পূরণ ??? ভাবাবেগের কি অদ্ভুত রাগসঙ্গীত,প্রগতির নামে অসভ্যতার রঙ্গমঞ্চ জাতীয় চেতনার নিরেট নির্বাসন,মূল্যবোধের অবক্ষয় স্বাধীনতা-সংস্কৃতির বস্ত্রহরণের -এ এক অবাধ নিমন্ত্রন।। আমার বিবেক, আমার দর্শন নিয়ত বলে-দীক্ষা নাও কালবৈশাখী বজ্র হওয়ার শিকল-তালা-বন্দিশালা চূর্ণ করার,কালবোশেখী আঘাত হানার তাই তো ঝরাপাতার কাব্য লিখিনা, আমি মুক্তির তরে হতে চাই, মানবের তরে হতে চাই,মানবতার তরে হতে চাই, আমি কালবৈশাখীর কবি ।। ২৬/০৩/২০১২
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।