কবিতা সংকলন
স্বপ্ন ছোঁয়া আকাশ হৃদয়
******************
রচনা এম, জি আর , মাসুদ রানা
কবি / সম্পাদক / গবেষক
কাব্য কথা
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
পাঠক আমার কবিতা সেই শৈশব থেকে
যাই শব্দের ব্যঞ্জনা সাজিয়ে কাব্য এঁকে
হৃদয়ের গহন থেকে শব্দ চয়ন দিলাম উপহার
কবিতা ও গানে প্রানেরে সেথা খুজি নজরে সবার
যে হৃদয় ক্ষমা ও মহতের
সত্য ও মননে জগতে সুন্দর
তারি তরে উৎসর্গ
নিঃস্বার্থে ফলাই সম্প্রীতির আসর
যদি লাগে ভাল হব ধন্য
শুভেচ্ছা সবার অন্তরে
আমার এ মাতৃভাষার ফুল ফুটে
ভোরের সুদ্ধতায় প্রতিটি প্রহরে
**********************************
কবিতা মালা
************
স্বপ্ন ছোঁয়া আকাশে হ্রদয়
সুন্দর স্বপ্ন খুজা আকাশের সিমানায়
আর যদি থাকে ছুয়া যায়
দূর থেকে দূর
উদিতে সেই ভোর ওড়াই মুটু মুটু ভাললাগা ধুয়াশায়
হারাবে ঐ আকাশ থেকে আকাশে
সাজিয়ে মন পবনের রথ
মেঘমল্লিকার স্নিগ্ধ মোহ দেবে স্পর্শ
যেতে নাহি মানা পাওয়ার বাকি ঐটুকূ পথ
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
লেখক বলেছেন: বিপ্লবী চেতনা
অগ্নিঝরা সে কথা
বিপ্লবী চেতনার অনির্বাণ শিখা
জ্বলবে দ্বিগুণ বহুগুনে
অন্যায়ের ছিন্ন মুলে রক্ত লেখা
দূর হোক যুলুমের
নব এক ভো্র চাই হৃদয়ে বাংলার
মিথ্যা যালিম ধংশ হোক
জয় আসুক মেহনতি জনতার ।
সরলতা
: যারা নির্ভীক সুন্দর সত্য পথের যাত্রি
আল্লাহর রহমত ঝরে তাদের পরে দিবা রাত্রি
অন্যায় অসত্যর বিরুদ্ধে যাদের নড়ে মুখ
ন্যায়ের পতাকা তাদের নিকট সাহসে বাধে বুক
মানবের তরে যাদের প্রান নিবেদিত জগতে
অহংকার মিথ্যা লোভ পায় ধলে সরল পথে
তারাই মানুষ বিধাতার সেরা বান্ধা সব সময়ে
বুঝবে সে সত্য হও অগ্রসর অকুতভয়ে ।
: বিভ্রান্ত পথিক
সূর্যাস্তের সময় এ কথা মালা
কার অপেক্ষায় তাকিয়ে হে বন্ধু
খুজে নিও তারে আবার নতুন সকাল বেলা ।
যে পথ টারে আজি হারিয়ে খুজা
এই যে সেই লগন বয়ে যায়
যে লগন হবে স্মৃতির মিনারে সেই দিনের বুঝা ।
অনেক হল তবে চল সম্মুখ পানে
ভুল করে ছুটা কি অভিপ্রায়ে ঘুধুলি বেলায়
ফিরে যাও পথিক যদি তাও নাহি থাকে মনে ।
জনতার অধিকার
এসব পুরনো অপলিপ্সা ধন্ধ
গৃহযুদ্ধের শিকার
লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল
ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত ছিল রুখতে স্বাধীনতা বাংলার ।
এরাই বানায় ইরাক , আফগান কঙ্গু
লুটে নিতে সম্পদ অধিকার
হে গনতান্ত্রিক শক্তি
সাবধান এখনই দরকার এক হওয়ার ।
সবাই হও সবার আপন
ভেঙে দাও সাম্রাজ্য বাদি যুলুমের অন্ধ সঞ্চালন
বৈরি মনোভাব উগ্র ধর্মান্ধতা
করে পরিহার
এস হয়ে ফিরায়ে আনি
শান্তির নিশান ওরায়ে
বাংলার মুক্তি জনতার ।
রক্তাক্ত বাংলা
বিচিত্র জীবন সংগ্রামী বাংলার বুকে
অজেয় যারা তারি স্বপ্ন ছায়া মেখে
পড়ে রয় মা আর মাটির মায়ায়
ধন্য জীবন সুদ্ধ স্বার্থকথায় ।
খুব অন্তরে দাগ কেটে গেল
হে প্রিয়জন
৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত চিৎকারে
আজও গুমরে কাদে এ মাটি সাক্ষি নিরব লগন ।
: কবিদের প্রতি ফেলনা
কবি বানানোর কোন সাবজেক্ট নেই জগতে
সেটা বিধাতার সেরা দান যা প্রকাশমান মতামতে
কবিদের লেখার ব্যঞ্জনা কোথেকে আসে
তারি দর্শন অসীম খোদার দেওয়া জ্ঞান কাব্য হয়ে ভাসে ।
জগতের যত প্রেম যত যাতনা যত ইতিহাস
কবির চেতনায় ফুল ফুটে ভাষা বারমাস ।
তবে তারে ঘষে মেঝে সুন্দর কাব্য কাননে
সাজাতে তারাই সফল হয় অনেক সাধনার গুনে ।
সাহিত্য
সাহিত্যই বিজ্ঞান সাহিত্যই ধর্ম
সাহিত্য গড়ে তুলে সুসভ্য সমাজ
বিশ্ব বিদ্যাশালায় যুগে যুগে কবিরা
লিখে গেছে বাস্তব ইতিহাস আর ভাষার কারুকাজ
থাকবে অমর অজেয় তারা
পাঠকের অন্তরে
বিদ্যার যত আলো দিয়ে গেল জ্বেলে
প্রতিটি মনের মুকুরে ।
স্বাধীনতার অধিকার
দেশের সব মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা
আজ ভুলুট্তিত কেন , কার ধৃষ্টতা
এরা নব্য মদদ পোস্ট দালাল ন্যায় বিদ্বেষী
সাম্রাজ্যবাদি স্বার্থান্বেষী সন্ত্রাসী ।
এদের রুখতে হবে এক্ষুনি
নয়ত কেউ নিরাপদ নয় জানি
এখনই আওয়াজ তুলা চাই
জাগ এই দুর্দিনে রুখ মিথ্যাচার
অন্যায় অসত্যর মন্ত্র করে পরিহার
অন্ধ যালিম যুলুমের চাই অবসান
স্বাধীনতা পদ ধলে আর কত অপমান ।
আর কত খুন হবে রক্ত লুলুপে
এক্ষনি চল সবাই প্রতিবাদি হয়ে বিক্ষুভে ।
তাইত আগুন জ্বলে মানবতায়
শুধরাতে হবে এ রক্ত ঋণ
নিষ্পিষ্ট অসহায় জাতী মরে ধুকে ধুকে
হয়ে অপ্রতিরোধ্য জনতা ভারী ক্ষ্রুদ্ধ
কবে আসবে মানবতার মুক্তির দিন ?
জাগ্রত মনে
আজি বজ্র নিনাদ
তবে চলবে
অগ্নি রোষে এ প্রতিবাদ ।
গনতন্ত্র মুক্তি পাক
মুক্তি পাক জনতা
ভোরের সুদ্ধতায়
ফিরে আসুক স্বাধীনতা ।
ধিক পশু নর
মা বোন বলি
এস বিবেক বান
এদের পায়ে ধলি
নষ্ট বিবেকের অনিষ্ট কাজ
এরা স্বাধীনতা খর্ব করে
ভাঙ্গে সমাজ
আইন কি এদের খেলার পন্য
নিরব কেন প্রশাসন
অন্ধ ক্ষমতায়ন
যাক ছিন্নমুলে
প্রতিরোধ গড়ি এক হয়ে এস
আলোর মিছিলে
: প্রান সখি গান
কারবা পানে চাইয়া আমায় বুল
প্রান সখিরে
মনেতে কি এই ভাবনা ছিল
তোমা কথা হইলে স্মরণ বুকে বাড়ে জ্বালা
মন কারিয়া ভাসাই দিলায় জীবনেরও ভেলা
আমার সাধের জীবন অকারন ও উদাস ও বানাইল ঐ
রাঙ্গা হাসি মৃদু পরশ মনে শিহরনও জাগে
সেই বিনাশি মধুর লগন ভাসে অনুরাগে
প্রতি প্রহর তোমা ছবি গাথা দিলে রইল ঐ
সেই অভিমান স্পন্দন ও টান আজও কানে কানে বাজে
দেখলে জুড়ায় মন প্রান কভু রাঙ্গা লাজে
ভরা সাজে তোমায় খুজে হৃদয়য় তাই পন্থ চাইয়া রইল ঐ
বাংলা মায়ের ভাষা একুশের স্মরণে
এম ,জি , আর , মাসুদ রানা
ফাগুন আসে রাঙা হয়ে
বাংলা মায়ের হৃদয় পানে
বাংলা ভাষার বোল ফুটে
বাঁশের বাঁশী পাখির গানে ।
বাউল সাধক বাংলা ভাষায়
সুরে সুরে মন মাতায়
কবির চেতনা এই ভাষাতে
কত রঙ্গিন কাব্য সাজায় ।
এই ভাষারও ধবনি তুলে
হাল ধরে মাটে চাষা
ছন্দ তালে মাঝির বৈঠা
নদীর বুকে ফুটায় ভাষা ।
এই ভাষা ছালাম রফিক , শফিউর
ঝব্বার , বরকতের রক্তে লেখা
আজ বিশ্ব বুকে বাংলা ভাষার
ফুটে বুলি মধু মাখা ।
ফুলে ফুলে ভ্রমর অলি
এই ভাষারই বার্তা আনে
তাইতো স্মৃতির মিনার সাজাই
বাংলা মায়ের প্রানে প্রানে ।
দেশপ্রেম
দেশ মাতাকে ভালবেসে
যাদের হৃদয় জুড়ায়
ধন্য তাদের জন্ম সখা
আসুক পুন্য নেমে বাংলায়
তাই যদি হয় প্রতিটি নাগরিকের
জাগরনে চেতনার ফসল
ধন্য হবে জন্ম সার্থক
বাড়বে বীর বাঙ্গালীর বুকে বল ।
ধন্য ধন্য সেই যে অতি
যে দেশকে ভাল বেসে
মাতৃভূমির মুক্তি আনে
জীবন দিয়ে হেসে ।
দূর হোক চামুণ্ডারা
যারা দেশের করে ক্ষতি
দেশ প্রেম ঈমানের অংশ
আনে জাতীর মুক্তি
বখাটে
ভাল কিছু কাজ কারও চোখে রঙ
আর উশ্রিংখল বাজ দের সঙ
একি মেনে নেওয়া যায়
শুধুই বাধা
কবে তবে এদের মন খানি
না জানি সাদা ।
অন্যর চোখে যে ভাললাগা
সেই তো ধন্য
যে রঙ মনে
কভু অনুক্ষনে
রাখে ধরে অধরাকে
করে নিজ প্রানে গন্য ।
ভাল থাক ধন্যবাদ জানাই
আমার নিকে খুজ রাখার অভিপ্রায়
হে দূর দেশের বন্ধু প্রিয়
সময়ে মিলবে কিছু স্মৃতি হারানোর বেদনায় ।
মেয়ে তুমি
মেয়ে তুমি কারে খূজ
অবুঝ নয়নে
যারে এত চিনিবারে
তাকাও যতনে ।
চোখের ভাষায় যদি হায়
হৃদয়ে হারিয়ে যাই
এস তবে ভাল বাসার
ফসল ফলাই ।
হায়রে সখি খুল আখি
হৃদয় আয়নাতে দেখি তাই সারাবেলা
প্রিয় হে মনের মত কারে সঙ্গ দিলা ঐ
নিয়ে চোখে বিস্ময়
জাগালে অসময়
প্রান বন্ধু ভারি রঙ্গিলা
কি অভিমানে
দেখা হয়না অনুক্ষনে
আমায় দিয়া ফাকি কাঁটাও একেলা ।
অন্ধমনে ভাব জাগাইয়া
দিলে প্রেম শিখা জ্বালাইয়া
কেন তুমি কর লুকুচুরি খেলা ।
এই যদি হয় মনের কথা
আর দিওনা দুঃখ ব্যথা
ভাড়বে তত দিগুন জ্বালা
ভাবুকে কয় হায়রে সখি
এস নয়ন ভরে দেখি
তুই বিহনে যে আর কাটেনা বেলা ।
অনুকাব্য
নজরুল কয় গুরু টাকুর
মুসলমানের লেবাস
কেউ কি দেখাইছিল মুগুর ।
রবি কয় নজরুল
করিয়াছ ভুল
দাড়ি মুছ না রাখিয়া
রাখিয়াছ চুল ।
জসিমুদ্দিন হাসি কহে
উলটু বাতাস
কেন বহে
সুকুমার কয় সলাজে
কবিদের সবি সাজে
যুগ যুগ লাগে কাজে ।
ভাষাবিদ ডঃ শহিদুল্লাহ কয়
সব ভাষা এক
জানলে পরিচয় ।
বিদ্যাসাগর কয়
শেষ নাই
যা পাই
সবি আমার কাব্য হয় ।
আমি কই
সব ফাও
চল এ যুগের বাও ।
স্মৃতি ময় কথা যত
থাকে হৃদয়ে
অনন্ত জলসায়
ভাবনা ধরে আবার বেদনায় যায় মিলিয়ে ?
টুকাই
: তাত্ত্বিক কথা আজিকায় ফুটে
লুটেরা চাটুকারের মাথা লুটে
কেন তবে কষ্ট এদের গাঁয়ে
টাকার কুমির বুঝেনা এরা ক্যামনে বাঁচে ক্ষয়ে ।
রাস্তার ছেলে নাই ঘর ছাদ
ক্ষিদের জ্বালায় কভু বাড়ায় দুহাত
সুযুগে করে বসে চুরি কিছু খাবার উচ্ছিষ্ট
তায় খেয়ে ছেড়া ছালা কাপড় পড়ে থাকে সন্তুষ্ট ।
দিনে কাটে মুটে কুলি
রাতে নেড়ি কুকুর আর আধার হয় সাথি
কি করে জ্বলে হায় তাদের জীবনের বাতি ।
: ক্ষমতার গন্ধ
বন্ধু বলেছেন: কেন যে সত্য থাকেনা চাপা
যুগ যুগ ধরে বেরুয় গন্ধ
নহে সেটা মন্দ
ক্ষমতা পেলেই এরা হিংস্র ক্ষ্যপা
এইসব নরাধম
জনগণের যম ।
আর যত সুবিধা ভোগী
দিয়ে যায় বাহ বা
দেশ যাক রসাতলে
ক্ষমতাই তাগ বাবা ।
: মায়ের মমতা
মায়ের সাথে নাই তুলনা
জগতের সব হার
তারি আপন ছোট্ট ভুবন
কি যে চমৎকার ।
শিশুবেলার আচল তলে
টাই দিত মমতা খুলে
ঘুম পারাত মধু বুলে
এমন স্নেহের পরশ কোথা মিলে।
সব ভুলে তাই মা এর ডাকে
যেতাম ছুটে কভু
জননীর পায়ে সন্তানের স্বর্গ
তাই তো মিলায় প্রভু ।
স্বপ্ন হারিয়ে খুজি
: রাত জাগা ক্ষন
ভুলায় এ মন
খুজে পাবে তারে
দেখ কুয়াশার লগন ।
ধুয়াশা ভাসে
হৃদয় কুহরে
ভেজা তাই নিদ্রা
নিরাশার চাদরে ।
অন্ধকারে স্বপন
বাড়ায় শিখা
যেই ধরিবারে
মিলায় দেখা ।
ঘাস হয় ফুল হয়
সঙ্গ সাজে
আবার হারাই সবি
আঁখির পাতা বুঝে ।
: নজরে সখি
: রহস্যময় কাব্য কথা
আজি সাজায়ে
কার পানে রয়
সখি তাকায়ে ।
ছুঁই নি যে ক্ষন
সেথা মিশে তনুমন
অজান্তেই রও
সখি হাত বাড়িয়ে ।
যে কথা না বলা
তাই কহ এবেলা
ভুলে যাই
তবুও উদয় থাক এ নজরে ।
সন্ত্রাস ও ক্ষমতা
: চিহ্নিত সন্ত্রাসী মস্ত বড় উপাধি
মন্ত্রি এমপি হয় কভু বন্ধু
আর কার বুকের সাহস
তার সামনে কথা কস , হিংস্র সিন্ধু ।
ওরা সময়ে পিয়ে রক্ত নদী
ধুক ধুক কাপে বুক একদিন লাগাল পায় যদি ।
ছায়া দেয় রাজনৈতিক শক্তি
কাল টাকা , ক্ষমতা আর সন্ত্রাস
উভয়েরে তারা সময়ে করে ভক্তি ।
এজন্য আইন তাদের পায়না খুজে
লম্বা হাত বাড়ায় সুযোগ বুঝে ।
বাসনার অন্তরালে
আসলে যেখানে যেমন
পরিবেশে গড়ে উটে সাফল্য জীবন
খুজে পায় অনেকেই উজ্জ্বল ভুবন
আবার অনেকেই স্বপ্ন হারায় করে প্রহসন ।
সব চেতনায় যদি টিক
নিজ মুল বাসনা
সেথায় মিলে ফল
রয় সাফল্য কামনা ।
শিতের মেহমান
শিতের বুড়ি ঝেঁকে আসে
পড়ে ঝিলমিল কুয়াশার চাদর
এই দিনে কি কেউ পেয়েছ
তার কাঁপন লাগা আদর ।
নিত্য থাকে ঐ মেহমান
লুকায় দিনের বেলা
একটু তাপে লাজে মরে
কয় বিদায়ের পালা ।
সব খানে অনায়াসে
চুপি চুপি মিশে
কি মোর জ্বালা
শিতের বুড়ি এত্ত ভালবাসে ।
মেয়ে কাব্য
মেয়েরা আকাশ
মেয়েরা বাতাস
আর খেলার তাস
মন ভুলানো আঁশ
আর কাব্য ছবি
মধু প্রেমের হবি
নিত্য চাদের আলো
মিশুক মন হয় ভালো ।
আর গুধুলির রঙ
অভিমানি সঙ
মেঘের স্থির চিত্র
নিরব ক্ষনের মিত্র
আর দুষ্টুমি ছায়া
জোনাক জ্বলা রাতি
চিত্রালি স্বপ্ন রাজ্য
ভাবুক মনের সাথি
সেবকের সুদ্ধ চিত্ত
মানুষ মানুষের জন্য
নিবেদিত প্রান
হবে জগতে অনন্য
সেবক মন হোক ধন্য
সমাজে যারা আজ বড় অবহেলিত
সুবিধা বঞ্চিত
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
নেই দানা অন্ন সঞ্চিত ।
নিঃস্বদের পাশে যারা দ্বারায়
অধিকার ফিরায় নেই ক্লেশ ধান্ধা
দিয়ে সেবা অপরের স্বার্থ খুজেনা
তারাই বিধাতার ন্যায় বান্ধা
এমন খাঁটি হৃদয় সহসা
যদি মিলে আজিকায়
শুদ্ধতায় নত শির
রাখ চিত্ত তারি পায় ।
মৃত্যু কাব্য
হে মানব মৃত্যুর স্বাদ
নহে বিষাদ
মরনের আগে দেখ
একবার মরে
তাদের জীবন ধন্য সর্ব সত্ত্বায়
দুনিয়া ও আখেরাতের তরে ।
যার নিকট থেকে
সাজানো জীবন
যার দয়ার
উপহার রাঙ্গা এ ভুবন
তার লাগি মোর অন্তর
দিবাযামি কোরবান
তারি ছত্র ছায়ায় যদি বাচা মরা
তারি অনুগ্রহে কেন তব রাখ দুর্বল ঈমান ।
সব ভুলে তার খেয়ালে
মজে দেখ একবার
মৃত্যুর মত তারে পাবে দিলে
যখন বুঝিবে সে ছাড়া মোর সাথি কেহ নাই আর ।
বন্ধু সংঘ
আসলেই জীবনটা নহে অবহেলা
এজন্য পরিবেশে থাকে মানান সই
নিতে হয় তাই সটীক দিক নির্দেশ
ভাল বন্ধু ভাল মন
দুষ্টের পাল্লায় জীবন ভিসময়
তাই পথ চিনে লই
একটু ভুলে অবাক হেয়ালে
যদি পড়ে মন কুমন্ত্রে
নেশা আর ভাজে ভাবনায়
ধংশ আসবে নেমে জীবন যরযন্ত্রে ।
শুভ ভাবনা শুভ বুদ্ধি
তায় মগজে রাখি সঞ্চয়
ভাল পথে চলি মোর
নহে জীবনের ক্ষয় ।
স্বাধীনতা কাঁদে মায়ের বক্ষে
: চিরতার মত তিতা
শব্দের ব্যঞ্জনা
মায়ের বুক চিরে
কেমন অধিকারে রক্ষিত রয় কি স্বাধীনতা ।
আজ শুধু শকুনের নখরের দাগ
খুবলে নিতে গাঁ হতে মাংসের ভাগ
চিৎকার করে সদ্যজাত শিশু
মাতৃ জটর চিঁরে
বিনাশের দাবানলে সব পুড়ে ছাই
আমাদের বাঁচার হবে কি উপায়
দুর্গন্ধে নিস্পাপ নিঃশ্বাসে বিষের তিব্র দহন
কেমন করে নব অন্বেষণে হেরিব ভুবন ।
হে নিষ্কণ্টক অক্ষি হিংশ্র পলক
কত কর নেত্র রুষে
ঝঞ্জা পুষে
তোমাদের লোভী দৃষ্টি বিনাশ করে
নিমিসে সহজ সরল যত সখ
কি বিচ্ছিরি মন
অন্ধ মোহে চুষে খাও ক্ষনে
দুর্বলের সব চাওয়া পাওয়া
যারা দিল পৌছায়ে তোমায়
কত যাতনায়
আজি তাদেরি ভুলে মিথ্যা ছলে
বসে থাক সায়রে সিং হাসনে ।
ধিক্কার আজি সেথা
এই কি স্বাধীনতা ?
শুন্যতা বড় বেশি , উটে হাহাকার মায়ের বক্ষে
তবে কই সুসন্তান " করবে তারে রক্ষে ।
লক্ষ্য
জীবনের সুভাগ্য টা
যদি যায় জুটে
সাধনা আর সাফল্য আসে
থাকলে এক মঞ্চে উটে ।
লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য
যদি এক থাকে
আসবে পূর্ণ তা
জীবনের বাকে ।
: বিধাতার দয়া যদি
কারও প্রতি থাকে নিরবধি
উথলে উটে সময়ে
তার দয়ার নদী ।
মন ছুয়ে গেল
এমন কাহিনী
তাই যেন বিধাতারে
আরও ভাল করে চিনি ।
আমার গ্রাম
: মনের মাঝে আঁকা
ছোট্ট গ্রাম খানি
কত যাদু মাখা
মমতা বহে তায় নিত্যদিনি ।
মেটু পথ বাঁকা
পাশে বহে নদী
মাঠ পানে সবুজ ফসল
বনে সাজে বৃক্ষ তাই নিরবধি ।
মৌ প্রজাপতি ওড়ে গুঞ্জনে
ফুলে ফুলে আমোদিত সুভাস ছড়ায়
ঝাকে ঝাকে পাখিরা
দূর দিগন্তে লুকায়
ছায়াময় মধু ভরা
এই মোদের গ্রাম
বাংলার বুকে কত আল্পনায়
মিশে রয় নাম ।
:
রাখবে কি মনে
: শুন মোর কথা
ভাবি নিরালায়
এমন প্রতিভা রয় লুকিয়ে
স্বপ্নে হুমায়ুন আমারে কাঁদায় ।
তার মত লিখি কত
মন আলো করে
কি লাভ কাব্য সাজায়ে
হুট করে যদি যাই মরে ।
আর ভাবি যার পানে
হৃদয় উজার করে
সে কি আমায় মনে
রাখবে ধরে ।
: বাহারি মনের
গহনে দাগ
নদী বয়ে যায়
জাগে সাধ
খুব সুন্দর কথা
এই তো হয়
আসলেই স্মৃতিরা
বাস্তবে রূপ ধরে কথা কয় ।
মনের গহন থেকে
উটে আসে স্বপ্নরা
ছড়িয়ে দেয় জীবনের অস্পরা
তাই বারে বার বড় দেয় নাড়া ।
: অনন্য সুন্দর যাদের প্রতিভা
তারাই মাতিয়ে রাখে
লোক সভা ।
জাগায় চেতনা
অদ্ভুদ খেয়ালে
সাড়া দিয়ে চলে
সময়ের তালে ।
মা
: মায়ের মন
কত যে আপন
বুঝে সময়ে সন্তান
যখন কাঁদায় ভুবন
অজান্তে
নিজেকে মেলে ধরার প্রয়াসে
সব ভুলে থাকি হায়
ভালবেসে ।
যদি জানতুম অগ্রে না বাড়াতাম পা
সে যে বড় সর্বনেশে ।
হায় হায় তবুও উদাসি মন
ছুটে তার আঁশে ।
অজানায় , আশংকায়
সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে ।
জমাট অন্ধকার আর অসীম শুন্যতাও
সহসা রয় পাশে।
তার ছবি এঁকে এঁকে
কোন লগন
পূর্ণ হয় অজান্তেই এসে ।
মন
: সুন্দর মুখ মন ছুয়ে যায়
ভাল লাগা তাই জাগে বিস্ময়
প্রকৃতির ডাক
করে ঘর ছাড়া
আবেশে হারায় লগ্ন
জুড়ায় অন্তরা ।
তাই অবসয়ে এমনি
যাই ছুটে
ভাললাগায় মনের সূর্য উটে ।
মাকড়সা
: হায় মাকড়শা
দড়ির সুতুয়
বাধি রাখ নিরাশারে
ডাণ্ডা গুতুয় ।
শহীদ স্মরণে
জাতীর শক্তি বীরত্বে মিশে
তোমরা ফুটালে বাংলার হাসি
ধাবমান সময়
দেখিল বিজয়
তোমাদের দূর্বার বুকের তাজা
রক্তে ভাসি ।
শিল্পির প্রতিভা
: মরমি শিল্পির অমর কথা
আসলেই এরা বাংলার কিংবদন্তী
সব সময়ে
ভাল লাগে তাদের গানের মূর্ছনা
জলসাগরে আর হৃদয়ে
জাগায় আনন্দ নিরবধি ।
নিরব প্রিয়
: আমার নিরব রত্ন
করে অতি যত্ন
রাখি ধরে
হে প্রিয় রহস্য
দেখি যে সহাস্য
গভীর অন্তরে ।
যবনিকা ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।