আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্বী, আপনারাই দেখিয়ে দিলেন! (অমিত আহমেদ'স ‘গন্দম’ ফ্যাক্টর)

তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০০৮ এ নতুন লেখকদের প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে ‘গন্দম ’ খুব ভালো যাচ্ছে। এমনকি আমি যেমন আশা করেছিলাম তার চেয়েও ভালো! এ আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেবার জন্যই এই পোস্ট। কারণ আমার প্রথম উপন্যাস এর সাফল্যের সমান ভাগীদার আপনারা সবাই, আমার সহব্লগার বন্ধুরা। ‘গন্দম’ উপন্যাসের প্রারম্ভিক এই আমি এ কথা স্বীকার করে নিয়েছি। লিখেছিঃ ‘সামহোয়্যার ইন’ এবং ‘সচলায়তন’ ব্লগে গুটি গুটি পায়ে যে গল্পের সূচনা হয়েছিলো, এ বই প্রকাশের সাথে সে গল্পটি একটি পূর্নাঙ্গ পরিনতি পেলো।

ব্লগে ‘গন্দম’ লেখা শুরু করেছিলাম, খুব হালকা চালে। ইচ্ছে ছিলো এটি হবে একটি বড় গল্প, কয়েক পর্বেই সমাপ্য। কিন্তু কয়েকটি পর্ব প্রকাশের পর পরই ব্লগাড়ুদের অনুরোধ ও হুমকির (!) মুখে পড়ে সে পরিকল্পনা বদলাতে হলো, ঠিক হলো বড় গল্প নয়, ‘গন্দম’ হবে একটি পূর্নাঙ্গ উপন্যাস। সে সিদ্ধান্ত নেবার পর ‘গন্দম’ প্রকাশ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে, নতুন করে গল্পের ছক কেটে শুরু হয় রাত দিন অন্তর্জালে গবেষণা। ‘গন্দম’ উপন্যাসটিতে আমি দিন তারিখ উল্লেখ করে গল্প বলেছি।

কারণ আমি চেয়েছি আমাদের সময়ের তারুন্যের গল্প বলতে। চেষ্টা করেছি নতুন প্রজন্মের চোখে আমাদের সময়ের ঘটনা, চলতি গুজব, কিংবা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গল্পের সাথে সাথেই তুলে আনতে। সে জন্যই আলাদা ভাবে দিন আর তারিখের উল্লেখ, আর রাত দিন অন্তর্জালে গবেষণা। ছোটবেলায় একটা বদ অভ্যেস আমার ছিলো। বইয়ে পড়া যে কোনো তথ্য আমি চোখ বুঁজে বিশ্বাস করে ফেলতাম।

পরে সে বিশ্বাস ভেঙে যাবার পর আমি ঠিক করি আমার কোনো লেখায় আমি ভুল তথ্য দেবো না। তথ্যের নির্ভুলতা নিয়ে আমার বাড়াবাড়ি একটি উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। উপন্যাসের একটা জায়গায় আমি উল্লেখ করেছি কোলকাতায় খুব হাওয়া দিচ্ছে, বৃষ্টি হতে পারে। এমন একটি দিন খুঁজে বের করতে আমাকে পুরো একটা দিন ভারতের আবহাওয়ার রেকর্ড ঘাঁটতে হয়েছে। উপন্যাসটি লেখা হয়েছে ঢাকা ও কোলকাতার পটভূমিকায়।

দুই প্রাচীন শহরের এক দঙ্গল ছেলে মেয়ে এ উপন্যাসের পাত্র পাত্রী। তারুন্যের গল্প বলতে গিয়ে আমি গতানুগতিক ভাবে কেবল মধ্যবিত্তকে অবলম্বন করিনি। বরং চেষ্টা ছিলো সব শ্রেনীকে, তা সে একটু করে হলেও ফোকাস করা। ঢাকার অংশ আর কোলকাতার অংশ লেখা হয়েছে ভিন্ন ভঙ্গীতে। বিশেষ করে কোলকাতার ঘটনা পড়তে গিয়ে পাঠক ভারতীয় বাংলার একটা গন্ধ পেতে পারেন - এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃত।

আরেকটি বিষয় জানিয়ে দেয়া দরকার মনে করছি। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন ‘গন্দম’ সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা কি না? আমার জবাব ‘না’। উপন্যাসের তথ্য নির্ভুল থাকলেও চরিত্র গুলো সবই আমার কল্পনাপ্রসূত। জীবিত কিংবা মৃত কারো সাথে কোনো চরিত্রের মিল পাওয়া গেলে তা হলে তা হবে নেহায়তই কাকতালীয় ঘটনা। এ মুহুর্তে খুব বেশি করে মনে পড়ছে ‘সচলায়তন’ ও ‘সামহোয়্যার ইন’ এর সহব্লগারদের।

এত অসংখ্য ব্লগারদের উৎসাহ না পেলে ‘গন্দম’ থেমে যেতো সেই কবেই! কৃতজ্ঞতা প্রিয় আরিফ জেবতিক ভাইকে, লেখালেখির স্বেচ্ছা অবসর থেকে যিনি আমাকে টেনে হিঁচড়ে বের করেছেন। ধন্যবাদ সুহৃদ আনোয়ার সাদাত শিমুল, শিবলী সাদিক শোয়েব ও শ্রদ্ধেয় নজমুল আলবাব ভাইকে, যাঁদের সাহায্য না পেলে এই ‘গন্দম’কে আর দুই মলাটে আটকানো যেতো না। সব শেষে ধন্যবাদ দেবো জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার শামসুল আরেফিন দীপন ভাইকে। আমার প্রথম উপন্যাসের প্রকাশনার কাজটি যিনি পরম মমতার সাথে করেছেন। আপনাদের ‘গন্দম’ পাঠ শুভ হোক! প্রারম্ভিকে যাঁদের নাম আলাদা করে উল্লেখ করতে পারিনি, তাঁদের এখানে কৃতুজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।

নাম গুলো ক্রমানুসারে সাজানো নেইঃ আরিফ জেবতিক, নজমুল আলবাব, মাহবুব সুমন, হোসেইন, অমিত, সুমন চৌধুরী, সাদিক মোহাম্মদ আলম, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, বাকী বিল্লাহ, জ্বিনের বাদশা, কেমিকেল আলী, অলৌকিক হাসান, হাসান মোরশেদ, অচেনা বাঙালী, স্বরহীন, সন্ধ্যাবাতি, এই আমি মীরা, বিষাক্ত মানুষ, এস এম মাহবুব মুর্শেদ, আনোয়ার সাদাত শিমুল, থার্ডআই, চোর, ফাহা, দ্রোহী, রবিনহুড, নাতাশা হুসাইন, আলভী, শাওন, রেজওয়ান, রাগ ইমন, ফারহান দাউদ, মদনবাবু, পুতুল, রাশেদ, ৈকলাশ, না বলা কথা, উন্মনা রহমান, মুকুল, মিরাজ, আবদুর রাজ্জাক শিপন, রাহাত আহমেদ, তারার হাসি, হাসিব, চিটি, সুলতানা শিরীন সাজি, ধ্রূপদী, নরাধম, ফেলুদা, `হাসান, সমালোচনাকারী, সু-শান্ত, এস্কিমো, লোকালটক, পুতুল, মনের কথা, বকলম, েজবীন, মনিটর, নাস্তিকের ধর্মকথা, বিহংগ, হাসান মাসুদ, জল রঙ, তীরন্দাজ, পালর্ামেন্ট, শফিউল আলম ইমন, আকাশচুির, নির্বাসিত, মৈথুনানন্দ, রাশেদ , ইরতেজা, শয়তান, তুষার ০০৭, সামী মিয়াদাদ, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, সুলতানা শিরীন সাজি, সারওয়ারচৌধুরী, কালপুরুষ, ছায়ার আলো, মিছা কথা, বড় হুজুর কারো নাম যদি ভুলক্রমে বাদ পড়ে যায় তবে তার জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! অনেকেই আমার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের নাম এখানে প্রকাশ করাটা শোভন মনে হলো না। আশা রাখি আপনাদের ভালোবাসা, শুভেচ্ছা আমার সাথে থাকবে সবসময়। ধন্যবাদান্তে, অমিত আহমেদ ১) অনলাইনে গন্দম কিনতে ২) গন্দম এর ফেসবুক গ্রুপ ৩) গন্দম এর অর্কুট গ্রুপ ৪) অমিত আহমেদ এর ওয়েবসাইট ৫) কবি শেখ জলিল এর রিভিউ ৬) আনোয়ার সাদাত শিমুলের রিভিউ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.