মুলত বদরাগী পালোয়ান কুকুরটি আমাকে ধাওয়া করেছিলো
তার প্রভুভক্তির কারণেই,তার প্রভুকে সে সৎ বলে অন্ধবিশ্বাস রাখে,
বাগানের একটা বিরাট অংশ হলো তার প্রবেশদ্বার,
কিন্তু লালিম ডালিম,অথবা রঙীন পেপে আমার দৃস্টি উর্দ্ধমুখী করে রাখে,
আমি কোনো প্রবেশপথ খুঁজে পাইনা,
ফলত: ধাওয়া করে তেড়ে আসা সারমেয় আমার পশ্চাদ্দেশে সভ্যতার আচড় রেখে যায়।
ফুটপাথ ধরে হাটলে একথা লক্ষ্যণীয় যে শরীরে কোনো গাড়ীর উঠে পড়ার কথা নয়।
তাই যদি কেউ দেয়ালের বা ছাদের কার্নিশে উদাস হয়ে হাটে,
তাহলে উদ্বেগ বাড়ে আমার নয়,অন্যদের!
ভালো করে ডানবাম দেখে রাস্তা পার হবার নিয়ম,
তবুও সেই নিয়মও খাটেনি আমার বেলায় যখন
রাত্রিতে একটি গাড়ীর হেডলাইটের হাইবিমে আমার চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
আমি দাড়িয়ে পড়ি বললে ভুল হয়ে যায়,
আমার পা ধরে রাখে মানবিক দুর্বলতা,
গাড়ীটি আমার শরীরের এক ইন্চি দুরত্বে হার্ডব্রেক করে থেমে যায়।
আমি নিরাপদ দুরত্বে সরে যাবার সময় দেখি,
ফুটপাথে কেউ একটি চাকার গভীর দাগ দেয়া কুকুরের মৃতদেহ
মেইনরোড থেকে সরিয়ে রেখেছে।
আমার হাত পশ্চাদ্দেশের ক্ষতের উপর চলে যায় অটোমেটিক্যালি।
একটা পতিতার সাথে আমি যখন সংগমে লিপ্ত ছিলাম
সে আমাকে তার স্তন আর ঠোট ধরতে দেয়নি,
সে বলে:এইসব সকলি প্রেমিকের জন্য।
আমি কি তবে প্রেমিক নই?
পেছনের ক্ষত আবার ব্যাথা করে ওঠে,
আমার হাত পশ্চাদ্দেশের ক্ষতের উপর চলে যায় অটোমেটিক্যালি।
একটি ফলের দোকানের আশেপাশে আমি এখন করছি ঘুরঘুর,
পৃথিবীর লোভনীয় পসরা সকল সাজিয়েছে ফলের রুপে,
কেউ কেউ দেখেও না দেখার ভাণ করছে,
আমার প্রবণতা কি তাও আমি জানিনা,
আমার একরোখা বদদৃস্টি দেখে কার যেন সন্দেহ ঘনীভূত হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।