আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফ রক্স

নি:সঙ্গ নাবিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের উপর হতাশ মানুষের অভাব নাই সমাজে। এরপরেও আগ্রহী-অনাগ্রহী মিলে কম মানুষ এজীবনে প্রবেশ করেনা। সমাজে এ পেশার একধরণের সম্মানজনক অবস্হান থাকাও এর পেছনে আরেকটা কারণ। কতিপয় অভিভাবকও রয়েছেন যারা চান তাদের সন্তান একটা নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রকৌশল,চিকিৎসাবিদ্যা বা শিক্ষকতায় প্রবেশ করুক। আসলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া উচিৎ তারই যার বিভিন্ন সফটওয়্যারের খুটিনাটি কোড বা হার্ডওয়্যারের কলকব্জা অথবা যন্ত্রপাতি ইত্যাদি নিয়া গুতাগুতির খুঁতখুতে স্বভাব আছে।

নাহলে এপেশায় আসাটা উচিৎ না কেননা তা হতাশার কারণ হতে পারে। এব্লগেই আছে এধরণের কিছু পোস্ট। একজন তার পোস্টে লিখলেন: মেডিকেলের এক ভাইয়া ওইদিন পার্ট নিয়া বলল উনি নাকি এক সপ্তাহ বই ধরেন না :O আমি আর কি বলব :S ভার্সিটিতে ৩ সেমিস্টার শেষ এখনো একটা বই কিনলাম না :S দেড় বছর আগে ৫ টা (!!!) খাতা কিনেছি এখনো শেষ করতে পারি নাই কালকে ম্যাডাম আবার সবার খাতা দেখতে চাইছে । যারা খাতায় লিখছে তারা নাকি ৫ মার্ক পাবে !!!! এত কষ্ট না কইরা আমারে আরো ৫ মার্ক কম দিবেন বললেই হইত :O Click This Link আরেকজনতো জানালেন চরমভাবে হতাশ হওয়ার কথা। বুয়েটে ক্লাস, ক্লাস চলাকালীন সময়, আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ সময়, এমন সময়ও পার করে ফেললাম চার চারটি বার।

বরাবরই মনে হয় বুয়েটে পাশ করার জন্য আমি যে পরিশ্রম করতেসি, অন্য কোথাও এমন করলে ৪.০০ না হোক, অন্তত ৩.৫০ এর উপরে পাইতাম। যাইহোক সত্যি মিথ্যে জানিনা, এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আসল প্রসঙ্গে আসি, পরীক্ষা। ক্লাস তো শেষ হল, এখন শুরু হল বহু প্রতীক্ষিত পি এল। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই সময়টারই অপেক্ষা করতেছিলাম বহুদিন ধরে।

এবার টার্ম এর শুরু থেকেই ভেবে রেখেছি, "অনেক তো হল, আর না। এইবার টার্ম ফাইনাল এর আগে অনেক পড়াশুনা করবো। " পি এল শুরু হবার আগের দিন পর্যন্ত আমি এই বিষয়টাতে খুব সিরিয়াস ছিলাম। কিন্তু যেদিন থেকে পি এল শুরু হল সেদিন থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেলাম। এখন পর্যন্ত কিছু পড়িনি।

আগামী শনিবার আমার পরীক্ষা, এখন পর্যন্ত পাশ নম্বর তোলার মত সামর্থ্য তৈরি করতে পারিনি। পড়াশুনা না করে করে সময় পার করতেছি। হয়তো বরাবরের মত এইবারও পাশ করার জন্য শেষ রাতের পড়াশুনার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এভাবেই তো চলতেছে! মাঝে মাঝে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়, নিজের কাছে অপরাধী মনে হয়। কেন আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা? আমি কি পারিনা অন্য সবার মত ভাল রেজাল্ট করতে? আমি জানি আমার সেই সামর্থ্য এক সময় ছিল।

তাহলে এখন কেন নেই? এজন্য কি আমিই সম্পূর্ণরূপে দায়ী??? নাকি আমি এইরকম একটা জায়গায় পড়াশুনা করারই উপযুক্ত না??? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কি এখানে কোনই দায় নেই??? এখন আমি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজি, অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করিনা, নিজেই নিজের কাছে এসব প্রশ্ন করি, কোন উত্তর না পেয়ে হতাশ হই, কিছুক্ষণ মন খারাপ করে থাকি, কিছুক্ষণ পর আবার আগের অবস্থানে চলে আসি। কাউকে বুঝতে দেইনা আমার মনেও দুঃখ আছে, সবার সাথে ভাল থাকার অভিনয় করি, সুখী মানুষের অভিনয় করি। জানিনা কতদিন এ অভিনয় করতে পারব আর কতদিনই বা এটা করতে হবে। যদি কোনদিন নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়, সেদিন সব কিছু ছেড়ে দিয়ে অজানায় হারিয়ে যাব, সবার থেকে অনেক দূরে, অন্য কোন দেশে!!! Click This Link ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফে অবশ্য একটা ব্যাপার আছে সেমিস্টার পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে আর তা হল পুরা সেমিস্টার ঘুরাঘুরি কর আর পরীক্ষার আগের রাতে পড় আর পরীক্ষার দিন নকল কর। তা তুমি যত মেধা দিয়া পরীক্ষা দিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে টেকো না কেন ধূর্ত নকলবাজীর একটা গুণ থাকতে হবে!!!ফেসবুকে একটা ছবি পাইলাম এ সংক্রান্ত।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.