কোমায় থাকা ব্লগ
কয়েকদিন বেশ নাস্তার ম্যানেজারী করলাম অফিসে!
সপ্তাহওয়ারী ম্যানেজমেন্ট নাস্তার টাকা ধরিয়ে দেয় আর আমাদের ভিতরই একজন সেটার সঠিক বন্টন করে!
জানুয়ারী মাসে দ্বায়িত্বটা ছিলো আমার।
কিন্তু বার্ড-ফ্লু এর ভয়ে মুরগী ও ডিমজাত নাস্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের হিড়িক! নাস্তার আইটেমের ভেরিয়েশনের অবশ্যম্ভাবী সংকোচন! আমার নিজের অবশ্য ডিম-মুরগীতে আপত্তি ছিলোনা।
কিন্তু জামাল ভাই বলেন, “বার্ড-ফ্লু তে মরতে চাইনা! এই রোগে মরলে আর মানসন্মান আর থাকবেনা! গ্রেভইয়ার্ডে আমার এপিটাফে থাকবে-- এইখানে ‘মুরগী-হৃদয়’ জামাল শুয়ে আছেন যিনি মুরগি রোগেই ইন্তেকাল ফরমাইয়াছিলেন! ”
তার দাবী যৌক্তিক! মেনে নিয়ে আমি বলি, “তাহলে আপনার জন্য টাইগার-ফ্লু তে মরার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হত! আই আম সরি, সে ব্যবস্থা আপনার জন্য আপাতত করতে পারছিনা! বাকিদের পুডিং খেতে প্রবলেম নেই। আপনার জন্য কি ইন্তেজাম করবো? সমমূল্যে আপনার জন্য গোটা আষ্টেক সিংগাড়া হয়! আনাবো?”
জামাল ভাইয়ের জবাবের আগেই আশিক ফোঁড়ন কাটে, “অন্য পশুপাখির ফ্লুতে মইরা আর কি হইবো? তার চেয়ে নিজের নামের ফ্লু-তেই মরেন। কাউ-ফ্লু’ রোগে মৃত্যু!”
***
“এখানে কি ‘স্বামী মারা থাকেন?”
“জি?!” :O
“বলছি, এখানে কি ‘স্বামী মারা বেগম’ নামে কেউ থাকেন?”
“নাহ! এইরকম অদ্ভুত নামে এখানে কেউ থাকেনা”।
পোস্টম্যানের এই রকম অদ্ভুত ইনকোয়ারীতে আশ্চর্য হওয়া অতীব প্রয়োজনীয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে বাঞ্চনীয়!
আমাদের অফিসের পিয়নের ও চোয়াল ঝুলে গিয়েছিলো আশংকাজনকভাবে!
“কিন্তু খামের গায়ে যে লেখা আছে, স্বামী মারা বেগম, সামি ইনজিনিয়ারিং; সেক্টর ৬ রোড... উত্তরা”, পোস্টম্যান নিজের মতাদর্শে অটুট।
“দেখি?!” অফিস-স্টাফ কিছুটা মোলায়েম।
পোস্টম্যান খামটা এগিয়ে দেয়...
সেখানে জাজ্বল্যমান... SHAMI-MARA-BEGUM!
“দেখছেন? স্পষ্ট লেখা ‘স্বামী মারা বেগম’!” আত্মবিশ্বাসের চূড়ামনি ডাক-ভাই!
শেষে চিফ-ইঞ্জিনিয়ারের শরণাপন্ন হতেই হলো ...
তিনি শুধু হাইফেনটার ক্রমবিচ্যুতি ঘটালেন... “SHAMIM-ARA-BEGUM!”
আইভি আপার কেতাবী নাম “শামীম আরা বেগম!”
বাকি ঘটনা বুঝিয়ে বলতে হবে আর?
***
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।