আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিসম্পাত কাদের মোল্লাকে-



তিতাসের প্রক্তন কর্মচারি কাদের মোল্লাকে নিয়ে ধারাবাহিক নাটক চলছে এখন- কাদের মোল্লার ২১০০ কোটি টাকার সম্পদের বিবরনি আসছে- আসছে সে গ্রামের মানুষের কথা- নাটক দেখে মনে মনে শিউরে উঠছি- তবে হাস্যকর লাগছে কিছু বিষয়- আদতেই কি তিতাসের ২১০০ কোটি টাকা লুণ্ঠন করেছে কাদের মোল্লা? কাদের মোল্লা ১০ বছর আগেই তিতাস থেকে অব্যাহতি নিয়েছে- এমনটাই বলছে সাংবাদিক- অর্থ্যাৎ লুণ্ঠনের স্বর্ণ যুগে সে ছিলো না- তাহলে তার এই ২১০০ কোটি টাকার ভেতরে অন্তত কিছু অংশ নিজের চেষ্টায় উপার্জিত- আমাকে একটু হলেও ভাবতে হচ্ছে এই জায়গাটাতে- প্রথম আলোর অনুসন্ধানী রিপোর্টকে আমার সব সময়ই কিছুটা বানোয়াট মনে হয়- তারা এক্সক্লুসিভের নেশায় অনেক সময়ই এমন কিছু প্রকাশ করে ফেলে যা যথাযোগ্য যাচাই করে প্রকাশ করা প্রয়োজন ছিলো- কাদের মোল্লার বিষয়টাও এমনই কিছু এটা আমার অনুভব- সে দুর্নীতি পরায়ন নয় এমনটা আমি বলছি না মোটেও- তবে সে তিতাসের পয়সা মেরে ২১০০ কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছে এই বক্তব্যে আমার আপত্তি আছে- আমাদের কাদের মোল্লার দুর্ভাগ্য সে মোটেও সুশীল সমাজের নয়- তার পয়সার অভাবে ইন্টারমিডিয়েট দিতে না পারা অশিক্ষিত চরিত্র আমাকে লজ্জিত করে ফেলে- এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে কি হলো? তার চেয়ে কাদের মোল্লা হলে ভালো হতো- ২১০০ কোটি টাকার সম্পদ থাকতো- এ জায়গাটাতেই সবার আপত্তি মনে হয়-- প্রাথমিক মূলধনের টাকাটা সে গ্যাপ করেছিলো তিতাস থেকেই- একটা গার্মেন্টস দেওয়ার টাকা সে তিতাস থেকে হাতিয়েছে- তবে এর পরের অংশ কিন্তু তার নিজস্ব ব্যবসায়িক বুদ্ধির- তিতাসের রাজনৈতিক সংযোগ ব্যবহারের দায়ে যদি তাকে অভিযুক্ত করতে হয় তবে অভিযুক্ত করতে হবে বাংলাদেশের তাবত ব্যবসায়ীকে- রাজনৈতিক ক্ষমতা চর্চা আর রাজনৈতিক আনতির মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা ভোগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আসলে কেউই তেমন পিছিয়ে নেই- আমাদের মীর নাছির আর ফুরফুরার পীর সবাই এইখানেই ব্যবসা করছে- রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতার কিছু অংশ ব্যবহার করে টাইগার সিদ্দিকিও একটা কনস্ট্রাকশন ফার্ম বানিয়েছিলো- সে ফার্ম দিয়ে সে কোনো কাজ না করেই ৮ কোটি টাকা হাতিয়েছে উন্নয়ন বাজেটের- কিংবা প্রিয় ব্যবসায়ী সালমান এফ চৌধুরি কিংবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি- কিংবা এদের মতো আরও কেউ কেউ- তারা কেউ কি রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করে নি- রাজনৈতিক আনতিকে ব্যবহার করে আখের গুছিয়ে নেয় নি? আমাদের তথাকথিত সুশীলদের অনেকেই তো রাজনৈতিক নেতাদের পা চেটে গাড়ী করেছেন- উত্তরায় জমি বরাদ্দ পেয়েছেন= আমাদের প্রিয় সামরিক বাহিনীর মানুষেরাও জমি বরাদ্দ পান- আমরা যারা এসবের কেউ নই কিছু নই তাদের প্রাপ্তির খাতায় কি আসে? কেউ আসলে লজ্জিত হয় না- বরং পূঁজিবাদি মনোভাবে বলতে হয় যখন সব কিছু পণ্য তখন সেখানে লাভ খোঁজাই মঙ্গল- সেখানে আদর্শের বানী খুঁজে লাভ নেই- আমাদের কাদের মোল্লার জন্য আমরা একটু প্রতিবাদ করি- ব্যাটা ম্লেচ্ছ সুশীলদের তোয়াক্কা না করেই ২১০০ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে- মহান সাংবাদিক আমাদের জানিয়েছেন- আমরা সংঘবদ্ধ ঘৃণা প্রকাশ করি-

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।