নবী দুলালি জগত জননী মা ফাতেমা ফাতেমা রা হইতে বর্ণিত ।
*************
নবী পাক সা এর নিকট জিব্রাইল আ মানুষের বেশে আসতেন
আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি নিয়ে ।
একদিন মা ফাতেমা কে জিব্রাইল আ জিজ্ঞাস করে নবীজীর কথা ।
ফাতেমা রা কাকা ডাকলে
জিব্রাইল আ অখুশি হয়ে জিজ্ঞাসে তোমার আব্বাজান কি আমার চাইতে বয়সে বড় ।
তৎক্ষণাৎ নবীজী উপস্থিত হলে ফাতেমা যথার্থ জানতে চাইলে নবীজী জিব্রাইল আ কে প্রশ্ন করলেন হে দুত তোমার বয়স কত ।
ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমি জানিনা তবে পূর্ব আকাশে একটা তারকা উদয় হইত ৭০ হাজার বছর পর পর এরূপ আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি ।
নবীজী বললেন এখন কি দেখ ,
জিব্রাইল আ নবীজীর মুখ পানে চাইলেন এবং দেখলেন সেই তারকার উজ্জ্বল প্রদিপ্ত নুর জগতের মাঝে চমকিত এবং তার রউশনার সারা জাহান আলোকিত ।
চিৎকার দিয়ে উটে দুত হে আল্লাহর রাছুল বেয়াদবি মাফ হয়
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চই সেই তারকাই আপনি ।
ইয়া রাছুলুল্লাহ ৭০ হাজার বছর পর পর দেখতাম এই বিশাল সময়ের ফাকে আপনি কোথায় থাকতেন ।
আল্লাহর ক্ষুত্রতি আরশে মহল্লায় ।
কি করতেন
উম্মতের গোনাহ মাফে আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটাইতাম
আর উম্মতের নাজাতে বাসনা জানাইতাম হে আল্লাহ আমার
উম্মত কে মাফ কর ।
আল্লাহ কি উত্তর দিতেন
হে আমার প্রিয় হাবিব মাথা তুলেন আরশের সিং হাসন কম্পিত
আমি অঙ্গীকার নিলাম অবশ্যই সর্ব প্রথম আপনার উম্মত কে
জান্নাতে দাখিল করা হবে ।
দুনিয়ায় এসে দয়াল নবীজী কেদেছেন
এখন কাঁদেন শুইয়া মদিনায়
তিনি সকল যাতনা সহ্য করে বলতেন হে আল্লাহ এরা অবুঝ
এরা পাপি মাফ কর হেদায়েত দাও
আর আমার শাফায়াতের রহমতে ইসলামের রোশনায় ।
হাদিস সংকলন থেকে
ন: ইসলামী বিষয়ে ভুল ব্যক্ষা হারাম ।
***********
আরবি ইল্ম শব্দ অর্থ জ্ঞানি
আলেম ইলম থেকে বিশেষিত যিনি জ্ঞানের অধিকারী
এখন মাওলা আল্লাহর নাম
অর্থ প্রভু
মাওলানা অর্থ যিনি আল্লাহর মহত্ত্বে গুণান্বিত ।
তাই বলে আল্লাহ্ নয় ।
নবীজীর নামের পূর্বেও মাওলানা ব্যবহার করা হয় এতএব অর্থ গ্রামার
না বুঝে করলে ঈমান এর ক্ষতি ।
সকল আউলিয়া কেরাম এবং অধ্যবধি জ্ঞানি গুনিদের নামের আগে
শব্দটি মর্যাদার সহিত ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।
শব্দটি ভুল ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণে আলেম গন কে কাফের বলার জন্য
আলেম দের এ ব্যক্ষা দিয়ে ১৫০০ বছরের মধ্য কি উপযুক্ত লোক
লোক ছিলনা কাফের প্রমান করার জন্য ।
প্লিজ ভুল ব্যাখ্যা ইসলাম সমাজ এবং মানুষের ক্ষতি ।
হাদিস সংকলন তিরমিজি ও মুসলিম শরিফ দেখুন
আর আল্লাহর রাছুল হায়াতুন্নবি বা জিন্দা নবী
কোরআনে প্রমান
আব্দুল কাদির জিলানি রা এর স্বহস্তে লেখা কিতাব তালেবুন গুনিয়াত পড়ুন তার সম্পর্কে ভুল ভাঙবে ।
আর নবিজিকে জানতে কবি গোলাম মস্তুফা রচিত বিখ্যাত বিশ্বনবী পড়ুন ।
আল্লাহর ক্ষুদ্রতি সমাধান
বাহ্যিক ভাবে আমরা তার ৬৩ বছরের জিন্দেগিকে দেখি আসলে তা নয়
এটাই মানুষের বিবেকের জন্য মহা জিজ্ঞাসা আসলেই তিনি
আল্লাহর ক্ষুদ্রতি রহস্য ।
হাদিস
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন , আলামান কানা নাবিয়াও অয়া আদাম বা মায়ে অয়াত্তিন ।
নবীজী বলেন সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং আদম যখন কাদা মাটি মিশ্রিত মূর্তি তখনি আমি আল্লাহর রাছুল ।
ইবনে মাজাহ
কোরআন আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিব কুমুল্লা ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম
আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্ব প্রথম আমার রাছুলের পায়রবি কর তার অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের মাফ করিয়া দিব ।
সুরা ইম্রান ।
ঈশা আ এবং শীষ আ কে আল্লাহ জিন্দা আকাশে উটিয়ে নিয়েছিলেন সেটা আল্লাহর ক্ষুত্রত
তেমনি আল্লাহর রাছুল সাধারন মানুষের ন্যায় মানবের বেশে মানবের সাথে মিশে জিন্দেগি কাটায়ে আবার মানুষের ন্যায় পরজগতে বা পর্দার আড়াল হন সেটাও আল্লাহর রহস্য ।
আসলে তিনি মানুষ নন তিনি আল্লাহর নুর
নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম একদিন হাস্য চ্ছলে নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে পেছিয়ে আগলে রাখতে চাইলে ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে , মা আয়েশা অবাক হলেন জানতে চাইলে দায়াল নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ।
শুধু তাই নয় নবীজী আধার রাতে বের হলে সমস্ত জগত তার নুরে আলোকিত হত ।
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম বলেন আমি ঘরে সুই বা ক্ষুত্র জিনিস হারিয়ে ফেললে নবিজি কে ডেকে ঘরে নিয়ে আসতাম
এবং হারানো জিনিস ত্বরিতে তার নুরের ঝলকে খুজে পাইতাম
হাদিস
আয়শা রা হইতে বর্ণীত
নবীজীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা মাঝে মধ্য ময়লা হয়ে গেলে
তিনি তা জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতেন কিছুক্ষন পর দেখা যেত
তা দুধের মত ছাফ হয়ে যেত , বলুন ছুবহানাল্লাহ ।
অথচ দুনিয়ার সব মানুষ যা ব্যবহার করে আগুনে সেই সব নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।
নবীজী সয়ং আল্লাহর জাতি নুর , আর আল্লাহর নুর আগুনের চাইতে কোটি
কোটি গুনে গুনান্নিত ।
আগুন কে জ্বালালে দেখা যায় তাপ অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে ধরে রাখার সাধ্য যেমন কারও নাই
তেমনি আল্লাহর রাছুল সা জাগতিক রহস্য কে ইমানের দ্বারা পুস্পটিতিকরা মুমিনদের জন্য মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ । শুধু তাই নয় আল্লাহর অলি বা তার বন্ধুগণও তেমনি ।
ধন্যবাদ
ঈমান নাশক কুফুরি এদের অন্তর থেকে দূর হোক
জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান
নবীজী বলেন লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয়
এরা তাই করে
হেদায়েত যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর রহমত আসে
নবীজীর পক্ষ থেকে
হজরত আলি রা হইতে বর্ণীত নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য ৭২ দল হবে
এক দল বাদে বাকি সব জাহান্নামি ।
সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা সেই মুক্তি প্রাপ্ত দল
কোনটি
আহলে ছুন্নাতয়াল অনুসারি । যারা আমার ছুন্নত কে মানে কোরআন মানে এবং আমার উত্তম সাহাবাদের জীবন অনুস্মরণ করে তারাই
মুক্তি প্রাপ্ত । হাদিস বোখারি শরিফ
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন এবং ভ্রান্তি হইতে ধুকাবাজি হইতে
ভাল পথে চলার রহমত দিন । আমিন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।