মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী...
দ্রষ্টব্যঃ এই ঘটনা ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি পোস্টের পটভূমিতে রচিত।
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ ইন্টারনেটেও বিভিন্ন পোস্টে জনসাধারণের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল, ল্যাব এইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের ভিতরকার দুরবস্থার কথা। তেমনই এক মর্মস্পর্শী এক ঘটনার কথা ওয়ার্ডপ্রেসে লিখেছেন মাসুম পি. মোহাম্মদ নামের একজন যার বাবা ল্যাব এইড দুর্নীতির জন্য ও অযত্ন-অবহেলার ফলস্বরূপ সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছেন (প্রাণ হারিয়েছেন)।
প্রতিবেদনটি পড়বার আগে অনুগ্রহ করে ইউটিউবে প্রকাশিত View this link এই ভিডিও ক্লিপটি একবার দেখুন।
ভিডিও ক্লিপটিতে প্রদর্শিত রুগীই হচ্ছেন জনাব মাসুম সাহেবের গত হয়ে যাওয়া পিতা, এ. কে. এম ফজলুল হক।
তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন ল্যাবএইডের প্রফেসর ড. চক্রবর্তী, প্রফেসর ড. মতিউর রহমান এবং প্রফেসর ড. আলী হোসেন। লেখকের (মাসুম পি. মোহাম্মদ) ভাষ্যমতে, এই তিনজন কখনোই প্রফেসর ছিলেন না! ব্যবসার উদ্দেশ্যেই তাঁরা নামের আগে এই টাইটেল জুড়েছেন। (এছাড়া আর কি কারণ হতে পারে?)
ল্যাবএইডের উপর ভরসা করে জনাব মাসুম সাহেব তাঁর পিতাকে ল্যাবএইডে ট্রিটমেন্টের জন্য সিসিইউ এর ৮ নং বেডে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু, উনার বাবার সার্জারীর পর ডাক্তার এবং নার্সগণ কোনরূপ পরিচ্ছন্নতা ছাড়াই উনার বাবাকে রক্তমাখা শরীরেই ছেড়ে অন্য নতুন রোগী ভর্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পুরাতন রোগীর প্রতি ল্যাবএইড কর্মীদের তেমন কোন যত্ন নেই, এমন মন্তব্য ল্যাবএইডে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন অনেকেরই।
নিজের বাবার বিছানার এই অপরিচ্ছন্নতা দেখে জনাব মাসুম সাহেব জোরে জোরে বিছানা পরিষ্কারের জন্য ল্যাবএইড কর্মীদেরকে অনুরোধ করেন। কিন্তু, ফলস্বরূপ ল্যাবএইডের জি.এম মি. এমরান চৌধুরীর হাতে চড় খেতে হয় অসহায় মাসুম সাহেবকে।
মাসুম সাহেব তাঁর পোস্টে বলছেন, তাঁর পিতার চিকিৎসা বাবদ (!) পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা তিনি ল্যাবএইডকে বিল দিয়েছেন। কিন্তু, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন, বিনিময়ে তাঁর অসহায় বাবা প্রপার কেয়ারনেস পাননি।
মাসুম সাহেব তাঁর পোস্টের শেষের দিকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষের প্রতি ধিক্কার জানান এবং জনসাধারণকে আহ্বান করেন যেন কেউ হৃদরোগের কোন চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইডের সরণাপন্ন না হয়।
সবশেষে ল্যাব এইডের কিছু কর্মকর্তার ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে মাসুম সাহেব ভিজিটরদের আহ্বান করছেন, এই আর্টিক্যালের একটি সিসি (কার্বন কপি) যেন সেইসব ল্যাবএইড কর্মকর্তাদের ইমেইলে পৌঁছে দেন, যাঁরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে।
View this linkওয়ার্ডপ্রেস প্রকাশ
তৃতীয়মাত্রা
প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ল্যাব এইড হাসপাতালের ভিতরে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এখনই বন্ধ করতে হবে। সেইসব টাকার লোভী মানুষদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, মানুষের জীবন নিয়ে খেলার ফলাফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
ব্লগারদের কাছে প্রশ্নঃ
ওয়ার্ডপ্রেসে প্রকাশিত, এছাড়াও পত্রপত্রিকার তথ্যাবলীকে যদি সত্য বলে ধরে নেয়া হয়, তাহলে ল্যাব এইডের ভিতরে চলছে মারাত্নক অপরাধ।
যার চরম মাশূল দিতে হয়েছে এ.কে.এম ফজলূল হক সাহেবকে।
এমতাবস্থায়, ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ (যথাযথ কর্তৃপক্ষের)?
বিবেকের কাছে প্রশ্নঃ
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের কি করণীয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।