মানুষ হবার প্রচেষ্টায় কিছু দিন আগে এক বন্ধুকে নিয়ে ল্যাব এইড গেছিলাম চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে দায়িত্ব প্রাপ্ত বাক্তিগন তাকে চিকিৎসা না করে প্রথমে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিল। বন্ধুর অবস্থা কিছুতেই ভর্তি করানোর মত গুরতর ছিল না। ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা করতে তারা যখন নারাজ তখন পিজি তে নিয়ে এসে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই।
আপনি শুধুমাত্র পেটের ব্যাথা নিয়ে তাদের কাছে যাবেন, তারা আপনাকে সর্বনিম্ন ৭ দিন ভর্তি করে বেডে অব্জারভেশনে রাখবে।
আর এই ৭ দিনের মধ্যে আপনার পেটের যত রকমের টেস্ট আছে সব করিয়ে রিলিজ দেবার সময় একটা ১ লাখ টাঁকার বিল ধরিয়ে দিয়ে বলবে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
এবিষয়ে মাসুমের একটা লেখা আমি কোড করছি। ল্যাবএইডের উপর ভরসা করে জনাব মাসুম সাহেব তাঁর পিতাকে ল্যাবএইডে ট্রিটমেন্টের জন্য সিসিইউ এর ৮ নং বেডে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন ল্যাবএইডের প্রফেসর ড. চক্রবর্তী, প্রফেসর ড. মতিউর রহমান এবং প্রফেসর ড. আলী হোসেন। লেখকের (মাসুম পি. মোহাম্মদ) ভাষ্যমতে, এই তিনজন কখনোই প্রফেসর ছিলেন না! ব্যবসার উদ্দেশ্যেই তাঁরা নামের আগে এই টাইটেল জুড়েছেন। মাসুমের বাবার সার্জারীর পর ডাক্তার এবং নার্সগণ কোনরূপ পরিচ্ছন্নতা ছাড়াই উনার বাবাকে রক্তমাখা শরীরেই ছেড়ে অন্য নতুন রোগী ভর্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
পুরাতন রোগীর প্রতি ল্যাবএইড কর্মীদের তেমন কোন যত্ন নেই, এমন মন্তব্য ল্যাবএইডে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন অনেকেরই।
নিজের বাবার বিছানার এই অপরিচ্ছন্নতা দেখে জনাব মাসুম সাহেব জোরে জোরে বিছানা পরিষ্কারের জন্য ল্যাবএইড কর্মীদেরকে অনুরোধ করেন। কিন্তু, ফলস্বরূপ ল্যাবএইডের জি.এম মি. এমরান চৌধুরীর হাতে চড় খেতে হয় অসহায় মাসুম সাহেবকে। মাসুম সাহেব তাঁর পোস্টে বলছেন, তাঁর পিতার চিকিৎসা বাবদ (!) পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা তিনি ল্যাবএইডকে বিল দিয়েছেন। কিন্তু, পাঁচ হাজার টাঁকার সেবাও তিনি পাননি।
মাসুম সাহেব তাঁর পোস্টের শেষের দিকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষের প্রতি ধিক্কার জানান এবং জনসাধারণকে আহ্বান করেন যেন কেউ কোন চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইডের সরণাপন্ন না হয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ল্যাব এইডের মালিক ডঃ শামীম, যিনি “ল্যাব এইড ফার্মেসী ও প্যাথলজি” থেকে আজকের এই ল্যাব এইড বানিয়েছেন, যিনি প্রথম দেশে ডাক্তারগনকে “কমিশন” দেওয়ার প্রথা চালু করেন বিভিন্ন “প্যাথলজিক্যাল টেস্ট” সুপারিসের জন্য-আর এভাবেই চালু হল “প্যাথলজিক্যাল মেডিসিন, মৃত্যু ঘটল ক্লিনিক্যাল মেডিসিন” এর । তিনি তার বিল্ডিং এর ছাদে একটি “অবকাশ কেন্দ্র” খুলেছেন যেখানে “দিন-রাত” ডাক পড়ে কম বয়সী সুদর্শনা “নার্স” দের যারা দেখতে মডেলের মত কিন্তু একটি “ইনজেকশনও” ঠিকমত দিতে পারে না । এটা নিয়ে ওনার স্ত্রী মুখ খুলেছিল এবং অনেক কাহিনীও হয়েছে।
ল্যাব এইডে লাইভ সাপোর্টে বা ইনটেনসিভ কেয়ারে যাদের রুগী থাকে তাদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে রুগী মারা যাবার ১/২ দিন পর তাদের জানানো হয়। অই ২ দিনের টাকা তারা বেশী নেয়। শুধু ল্যাব এইড নয়, এরকম অভিযোগ বাংলাদেশের বেশীরভাগ বড় বড় হাস্পাতালের সম্পর্কে পাওয়া যায়। আর এই নব্য প্রতারণায় আমাদের মত মানুষের প্রতারিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।