শুধুই দেখি...
একদিন ক্লাশ শেষে ফার্মগেট থেকে মহাখালিতে আসতেছি।
বিজয় সরণির সিগনালে আটকা।
দেখি এক পোলায় চা খাইতাছে আর হাতের সিগারেট টানতেছে।
এত্তো সুখ কইরা খাইতাসে দেইখা খুবই হিংসাও লাগতেছে ভালোও লাগতেছে?!
ওই থার্ড ইয়ারে থাকা অবস্থায় সিগারেট খাইবার ডিসিশান নিলাম...।
***
[[এক্সট্রা]]
কেনো নয় সিগারেট?!
পৃথিবীতে মানুষ দুই প্রকার।
স্মোকার ও নন-স্মোকার।
এই জিনিসটার বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। অসম্ভব ভয়াবহ রকমের ভয়ংকর সব মেডিকেল সাইন্স প্রুভড যুক্তি।
আছে আধুনিক! আছে দুনিয়ার সব সংঘ-সংস্থা, WHO, জাতিসংঘ।
BUT এইটার পক্ষে নাকি কোনো যুক্তিই নাই....!?!?!
তাইলে চলেন পইরা দেখি কিছু যুক্তি টোকান যায় নাকি.....
প্রথমে বইলা রাখি, এইটার সাইকোলজিক্যাল আনন্দটা ফিজিক্যাল আনন্দের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
নিজেরে এক্সপ্রেস করার ইচ্ছা থাকলে সিগারেটই তো তাহার সমাধান দিচ্ছে!
এইটা রেস্ট বা বিরতি হিসেবে কাজ করতে পারে।
সিগারেট খাইলে মনে হয় যেনো কোনো বন্ধুর পাশেই আছি। চা খাইলেও সেইম কেস হইতে পারে। আসলে উষ্ণতাটাই নিঃসংগতার অনুভূতি ঘুচাইতে সাহায্য করে। সো নিঃসংগতার পারফেক্ট Antidote হইতেছে সিগারেট|
এইটা সোশ্যাল ব্যারিয়ার ভেদকারক, বন্ধু তৈরিতে সহায়ক।
যেমন, চেনেন না জানেন না এমন যে কোনো সোশ্যাল স্ট্যাটাসের কারো কাছ থেকে আপনি অনায়াসেই লাইটারটা চাইতে পারেন।
চিন্তা কইরা দেখেন স্কুল-কলেজ লাইফের সিগারেটের পার্টনার বন্ধুরাই কিন্তু সবচে' বেশি ক্লোজ-কাছাকাছি। তারাই হচ্ছে বেস্ট ফ্রেন্ড।
এইটা চারপাশে Smokescreen তৈরি করে সবরকম Distraction থেকে মুক্তি দেয় এবং এতে কইরা Concentrate করতে সুবিধা হয়। এইটা মনোযোগ কেন্দ্রিভূত করতে সহায়তা করে মানে It gives focal point for our attention!
স্মোকাররা একমত না হইয়া পারবেন না যে, এইটার একটা রিদম আছে, অনেকটা মিউজিকের মতো, যা রিল্যাক্স নামক অনুভূতি জাগ্রত করতে সহায়তা করে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।