অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই আমার সোনা'র বাংলা নামক রবীন্দ্র সংগীতটা'র 'ক্ষ' ব্যান্ড ভার্সন শুনলাম এবং বর্জন করলাম সাথে সবাইকে বর্জনের আহ্বান জানাই।
গানটা নিয়া আপত্তি করতাম না, কারন, গানটা, শ্রুতিমধুর হইছে। কম্পোজিশনও ভাল। পরিষ্কার টোন এবং স্মুদ মিউজিক।
'আমার সোনার বাংলা' গানটা নিয়া এক্সপেরিমেন্টের বিষয়েও কিছু বলার নাই, কারন ওরা আমাদের জাতীয় সংগীত নিয়া কিছু করে নাই, ১৯০৫ সালে লেখা ঠাকুর বাবু'র গান থেকে নিয়া করছে।
কিন্তু সমস্যা একটা আছে, সেটা হইলো এই গানে তবলা বাজাইতেছে হাস্সান মহিয়েদ্দেন নামের এক পাকি, এই পাপিস্তানি'র উপস্থিতির কারনেই গানটা'রে নিয়া একদল বিদেশী'র করা এক্সপেরিমেন্টটা মেনে নিতে পারতেছি না !!!
গানটা আমি উদারচিত্তে শুনতেছিলাম, কিন্তু যখনই পাকিটারে দেখলাম তখনই মনে হইলো কে যেন একটা উপহাসের হাসি দিয়ে গেল!!!
বাংলাদেশী মেয়ে সোহিনি আলম, যিনি ব্যান্ডটার ভোকাল এবং একমাত্র বাংগালী, তার এটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল যে একজন পাকি'রে সাথে নিয়া বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যাবহৃত গানটির উপর যে কোন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট পুরো বিষয়টার ভিন্ন অর্থ সৃষ্টি করবে! এবং করছে।
অন্য কোন বাংলাদেশী ব্যান্ড এই গান নিয়ে নিরিক্ষা করুক। আমার কোন অভিযোগ থাকবে না।
একদল ব্রিটিশ ও সাথে একজন পাকি'র সংশ্লিষ্টতায় আমার জাতীয় সঙ্গীতের উপর যেকোন ধরনের এক্সপেরিমেন্টই আমার কাছে বিকৃতিসম! কারন, এরা কখনোই আমাদের দেশের প্রতি, ভাষা ও সংস্কৃতি'র প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না, তাই এখন এদেরই হাতে আমার দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যাবহার হওয়া গানে যে কোন ধরনের পরিবর্তনের পেছনে ভাল কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করি না।
এদের হাতে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তন নিঃসন্দেহে অপমানজনক!
তাই, সবশেষে গানটা আমি কোনভাবেই গ্রহন করতে পারলাম না এবং আশা করি কেউই গ্রহন করবেন না।
( আগের বারের পোস্ট প্রথম পাতা থেকে গায়েব, সাম্প্রতিক মন্তব্যেও দেখা যায় না!!! নিশ্চয়ই এটা কারিগরী ত্রুটি, তাই আবার পোস্ট দিলাম। এবার নিশ্চয়ই জায়গামত থাকবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।