আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌবনের দিনগুলি

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্নজনের নানা ধরনের লেখা পড়েছি। বাবার কাছে সাতত্রিশ বছর আগের ঢাবির বর্ণনা শুনেছি। তবে, সব কিছু ছাপিয়ে গেছে কবি বুদ্ধদেব বসুর স্মৃতিকথা “আমার যৌবন”। বুদ্ধদেব বসু ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হন। তার বই হতে কিছু অংশ সকল ব্লগারের জন্য তুলে ধরলাম।

----------------------------------------------------- কার্জন কল্পিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হিসেবে তৈরি হয়েছিল রমনা – অনেকের মুখে তখনও নাম ছিল নিউটাউন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমলে এখানেই অধিষ্ঠিত ছিল ঢাকা কলেজ, বঙ্গভঙ্গ ভেস্তে যাবার প্রায় দেড় দশক পরে, সেই পুরানো বিদ্যাপিঠকে কেন্দ্র করে স্থাপিত হলো নতুন এক বিশ্ববিদ্যালয় – নবনির্মিত অব্যবহৃত প্রাণপ্রাপ্ত হলো। রেল লাইন থেকে শহরের ভিত্তি প্রান্ত পর্যন্ত এর ব্যাপ্তি; উত্তর অংশটি সরকারী কেষ্টবিষ্টুদের বাসভূমি, মধ্যিখানে আছে বিলেতি ব্যসন ঘোড়াদৌড়ের মাঠ, গলফ্‌ খেলার মাঠ, আছে ঢাকার নাগরিকদের পক্ষে অপ্রবেশ্য ঢাকা ক্লাব,.. আর আছে কানন বেষ্টিত উন্নতচূড়া একটি কালী মন্দির। কিন্তু, দক্ষিণ অংশটি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারভুক্ত; যেখানে ছাত্র ও অধ্যাপক ছাড়া ভিড় দেখা যায় শুধু শীতে ও বর্ষায় শনিবারগুলোর অপরাহ্নে যখন জুয়াড়ি এবং বেশ্যায় বোঝাই খড়খড়ি তোলা ঘোড়ার গাড়ি ছোটে অনবরত রেসকোর্সের দিকে শান্ত রমনাকে মর্দিত করে, কলেজ ফেরত আমাদের চোখে মুখে কর্কশ ধুলো ছিটিয়ে দিয়ে। আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ অন্তরঙ্গ ক্যাম্পাসটিতে ঐ একটি বই অপলাপ ছিল না।

ভেতরে বাইরে জামকালো এক ব্যাপার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নিখিল বাংলার একমাত্র উদ্যান-নগরে পনেরো-কুড়িটি অট্টালিকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে তার কলেজ বাড়ি, ল্যাবরেটরি, ছাত্রাবাস – ফাঁকে ফাঁকে সবুজ মাঠ বিস্তীর্ণ। ইংলন্ডদেশীয় পল্লী কুটিরের মতো ঢালু ছাদের এক একটি দোতালা বাড়ি-নয়নহরণ, বাগান সম্পন্ন: সেখানে কর্মস্থলের অতি সন্নিকটে বাস করেন আমাদের প্রধান অধ্যাপকেরা; অন্যদের জন্যেও নীলখেতে ব্যবস্থা অতি সুন্দর। স্থাপত্যের কোন একঘেয়েমি নেই, সরণি ও উদ্যান রচনায় নয়া দিল্লির জ্যামিতিক দুঃস্বপ্ন স্থান পায়নি। বিজ্ঞান ভবনগুলি আরক্তিম ও তুর্কি শৈলীতে অলংকৃত।

অন্যান্য বিভাগ স্থান পেয়েছে একটি বহুপক্ষযুক্ত দীর্ঘকার সাদা দোতালার একতালায়- সরকারী সেক্রেটারিয়েট হবার জন্য তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। সর্বত্র প্রচুর স্থান, ঘেঁষাঘেষি ঠেলাঠেলির কোন কথাই উঠে না। ভিতরকার ব্যবস্থাপনাও উচ্চাঙ্গের। ঘরে ঘরে বিরাজ করছেন, নানা নামাংকিত কর্তৃবৃন্দঃ ডীন, প্রভোস্ট, প্রক্টর এবং বিভাগীয় শীর্ষস্থানীয়েরা-ক্বচিৎ-দৃষ্ট, ক্বচিৎ-শ্রুত ও ক্বচিৎ-কথিত উপাচার্য মহোদয়ের কথা ছেড়েই দিচ্ছি। এঁদের কোনজনের সঙ্গে বিদ্যার্থী ঠিক কোন সূত্রে যুক্ত হয়ে আছে, তা সমঝে নিতে নতুন ভর্তির বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়।

আক্ষরিক অর্থে আবাসিক নয়-কিন্তু গড়ন কিছুটা সেই ছাঁচের; যে সব ছাত্র স্বগৃহবাসী শহরের নানা অঞ্চল থেকে সাইকেল চালিয়ে কলেজে আসে, তাদের সংলগ্ন থাকতে হয় কোন না কোন হল অথবা হোস্টেলে – তাদের প্রাচীরাতিরিক্ত ক্রিয়াকর্মের সেটাই হল ঘটনাস্থল। সেখানে আছে গ্রন্থাগার, রঙ্গালয় ও ক্রিয়াঙ্গন; অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক-সভা, সঙ্গীত-প্রতিযোগিতা, বার্ষিক ভোজ ও আরো অনেক সময়োচিত অধিবেশন; সেখানকার নাট্যাভিনয় দেখতে নগরবাসী সোৎসাহে সমবেত হন। ক্লাস ফুরানো মাত্র কলেজে সঙ্গে সম্পর্ক চুকলো, এমন এখানে হতেই পারে না-কেননা প্রায়ই আমাদের ফিরে আসতে হয় কোনা-না-কোন সান্ধ্য অনুষ্ঠানে – মনোজ্ঞ না হোক অন্ততপক্ষে কৌতুহলজনক। আর যেহেতু ছাত্ররাই এই অনুষ্ঠান গুলোর আয়োজন ও প্রযোজক এবং মাস্টারমশাইরাও কেউ-না-কেউ উপস্থিত থাকেন ও অংশও নেন মাঝে মাঝে, তাই ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে একটি পারিবারিক সান্নিধ্যবোধ অনুভূত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাসমহলেও মনোরঞ্জনী উপাচার ছিল।

মনে পড়ে ছাত্রে কমনরুমচিত্রে প্রথম ঢুকে আমি চমকে গিয়েছিলাম, আমাদেরকে বিশ্রামের জন্য এই ব্যবস্থা তা প্রায় বিশ্বাস করতে পারিনি। ঘরটি দুই কামরায় বিভক্ত, আয়তনে বিশাল ও আসবাবপত্রে ঋদ্ধিশালী। প্রধান কক্ষটিতে সারি সারি আরাম কেদারা সাজানো, টেবিলে টেবিলে ছড়িয়ে আছে সব সম্ভ্রান্ত বাংলা মাসিক ও পাঞ্চ থেকে রিভিউ অব রিভিউজ পর্যন্ত রং-বেরঙের লন্ডলি চালান- দুই ক্লাসের মধ্যবর্তী পঞ্চান্ন মিনিটি চমৎকার কেটে যায় সেগুলো উলটে পালটে। আর যারা ভিন্ন ধরনের বিনোদনপিয়াসী তাদের জন্য আছে দেয়াল ঘেঁষে তাসের টেবিল দাবার ছক, ছোট কামরায় পিংপঙের সরঞ্জাম। ছেলেরা আড্ডা, গল্প, সিগারেট চালায় যথেচ্ছ, কর্তৃপক্ষ এতটাই সুবিবেচক যে, যথেষ্ট সংখ্যক ছাইদান যুগিয়েছেন; যৌবনকন্ঠের কলরোল ঠেকাবার জন্য ভিতরদিকের দরজাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এই কমনরুমে বসেই আমি প্রথম পড়েছিলাম, ‘প্রবাসী’র পৃষ্ঠায় ধারাবাহিক ‘শেষের কবিতা’ আর ‘বিচিত্রা’য় ‘তিনপুরুষ’ , দুকিস্তি পরে রবীন্দ্রনাথ যার নাম বদলে যোগাযোগ রাখলেন, ‘যুনিভার্সিটি জার্নাল’-এর কার্যালয়ে, ইংলন্ডজাত উঁচকপালে ও আধা-উঁচকপালে পত্রিকাও চেখেছিলাম। তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দ্বিতীয় রঁদেভু আদিত্যের দোকানটি বড়ো দরিদ্র। কম্পাউন্ডের এক প্রান্তে টিনের চালওয়ালা দর্মার ঘর, ভিতরে মলিনবর্ণ টেবিলের পাশে লম্বা ন্যাড়া টুল পাতা: এখানেই আমরা ক্ষুৎপিপাসা নিরবারণ করে থাকি, যেহেতু সারা তল্লাটে দ্বিতীয় কোন চা ঘর নেই। আদিত্যের ভোজ্যতালিকা অতি সীমিত, কোনো কোনদিন তার স্বহস্তে প্রস্তুত মিস্টান্ন ছাড়া আর কিছুই সে দিতে পারে না চায়ের সাথে-কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না আমাদের, গদ্য-পদ্য সমস্ত খাদ্যই আমাদের কাছে উপাদেয় ও সুপাচ্য, সেগুলোর রাসায়নিক গুনাগুন নিয়ে চিন্তিত হবার মতো দুর্দিন তখনও বহুদূর। আমরা জুটি সেখানে বন্ধুর দল- টুনু (কবি ও অধ্যাপক অজিত কুমার দত্ত), অমল (পরে অধ্যাপক অমলেন্দু বসু), পরিমল (ধনবিজ্ঞানী), ছোট পরিমল রায় (ঢাকা ও দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক), আরো অনেকে-ছুটির ঘন্টায় বা কখনো ক্লাস পালিয়ে, বসি গোল হয়ে।

ঘন সবুজ ঘাসের উপর ঘনিষ্ট, ফরমায়েশের পর ফরমাশ ছাড়ি আদিত্যকে, অনেকখানি মাঠ পেরিয়ে আমাদের কলহাস্য ধ্বনিত হয় এক ক্লাস ঘরে, যেখানে চারু বন্দোপাধ্যায় কবিকংকন পড়াচ্ছেন। দাম দেবার জন্য পকেট হাৎড়াবার প্রয়োজন নেই, ‘লিখে রেখ’ বলাই যথেষ্ট। আমাদের পাঠাভ্যাস সংক্রান্ত-ক্রিয়াকর্ম চলে সুনিয়মিত ও স্বচ্ছন্দ: মৌলিক শৃংখলার যেটুকু দাবি তা আমাদের পক্ষে কখনই পীড়াদায়ক হয়ে উঠে না। আমাদের সাবালকত্ব এখানে স্বীকৃত, আমাদের স্বাধীনতা বহুদূর পর্যন্ত অবাধ। পরীক্ষার খাতায় নিজস্ব মতের ঘোষণা, মাস্টারমশায়ের অনুমোদিত ভাষ্যের প্রতিবাদ; লাইব্রেরীর অন্দরমহলে ঢুকে যথেচ্ছ বিহার – এসব আমাদের অধিকারভুক্ত; আমাদের সহজ অনুভূতিগুলো অসম্মানিত হয় না, আমাদের ব্যক্তিত্ব বিকশিত হবার সুযোগ পায়।

সাহিত্য বিভাগে দ্বৈতীয়িক গ্রন্থের ব্যবহার অল্প; কোনো প্রথিতযশা সমালোচক কি বলেছেন, তার চেয়ে অনেক জরুরি হল লেখকের সাথে অন্তরতা। আবহাওয়াটি সত্যি উদার, কিন্তু এর একটি ব্যতিক্রম উল্লেখযোগ্য। একমুঠো ছাত্রীও আছেন আমাদের সঙ্গে- আছেন এবং অনেক বিষয়ে নেই। যেমন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, পৃথকৃত ও সুরক্ষিত এক অতি সুকুশর উপবংশ, তারা অবকাশের প্রতিটি মিনিট যাপন করেন তাদের পর্দায়িত বিশ্রাম-কক্ষে, অধ্যাপকদের নেতৃত্ব ছাড়া সেখান থেকে নিস্ক্রান্ত হন না। প্রতিটি ঘন্টা শুরুতে এবং শেষে করিডোরগুলো বিভিন্নমুখি মিছিলে ভরে যায়, মহিলাগুলোকে পশ্চাৎবর্তীকরে চলেছেন এক একজন অধ্যাপক, পুনশ্চ নির্বিঘ্নে পৌছে দিচ্ছেন তাদের কমনরুমের দোরগোড়া পর্যন্ত।

ক্লাসে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা আলাদা, আমাদের বেঞ্চিগুলো থেকে দূরে বসানো চেয়ারে, সেখানে তারা চক্ষু : নত রাখেন পুঁথির উপর, কোন প্রশ্ন করেন না অধ্যাপককে, পাঠ্য বিষয়ে হাসির কথা থাকলেও তাদের গাম্ভীর্যে টোল পড়ে না। এমন নয় যে, করিডোর বা ক্লাসের মধ্যে কোন দৃষ্ট ভ্রমর কখনো ছুটে আসে না আমাদের দিকে কিন্তু দর্শন পেরিয়ে শ্রবনে তারা কখনোই প্রায় ধরা দেন না, শুধু মূক শ্রোতার ভূমিকা নেন নাট্যাভিনয় বক্তৃতা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চার বছরে আমি প্রকাশ্যে ছাত্রী কন্ঠ শুনেছিলাম একবার মাত্র- শুধু মেয়েদেরই জন্য আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায়: ছাত্রছাত্রীর মধ্যবর্তী এই স্বচ্ছ দেয়ালটিকে একেবারে নীরান্ধ্র ভাবলে কিন্তু ভুল হবে: বেয়ারার হাতে চিরকূট পাঠিয়ে ‘লেডিজ’ কমনরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে, কোন বাসন্তীদের বা অমিতা চন্দর সঙ্গে দুচার মিনিট কিছু অর্থহীন কথা বলা এবং শোনা যায় না তা নয়- কোন কোন বদ্ধপরিকর ছাত্র তা করেও থাকে- কিন্তু দেখে মনে হয় উভয়পক্ষই অপ্রতিভ স্বাচ্ছন্দরহিত, আলাপ ঠিক জমছে না অথবা একে আলাপ বলাটাই ভুল। ব্যাপারটা খুব কৌতুক শোনাবে আজকের দিনে, কারো কারো পক্ষে অকল্পনীয়। কিন্তু প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগেকার বাঙালি সমাজে, হাজার খানেক নবযুবার মধ্যে পনেরো কুড়িটি বিদ্যার্থিনী তরুণী নিয়ে এই ব্যবস্থাই স্বাভাবিক ও সংগত ছিল তা মানতে হবে।

। .. সেই সময়কার কথা ভাবলে আমি নিজেকে দেখতে পাই রমনার একটা রাস্তায়, যা চলে গেছে পুরনো পল্টনের মোড় থেকে সোজা পশ্চিমের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহদ্বার পর্যন্ত এক মাইল। ... পাঁচ মিনিট পরে সুন্দরের মধ্যে সব থেকে সুন্দর সেই তথাকথিত চামারিয়া হাউস (বর্তমান সিরডাপ হাউস); সেখান থেক বেরিয়ে এলেন পাঁচটি অথবা সাতটি সহপাঠিনী, আমি চলার গতি শ্লথ করে দিলাম যাতে অন্তত: পেছন থেকে তাদের নিরীক্ষণ করা যায়। সৈনিক অথবা খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীদের মতো শ্রেণীবদ্ধ হয়ে হাঁটছেন তারা সমতলে পা ফেলে ফেলে, মাথা আঁচলে ঢাকা, চওড়া পাড়ের সাদা সাদা শাড়ি পরনে, যৌবন সুলভ চঞ্চলতার কোনো লক্ষণ নেই, আর পা ফেলে এমন ঢিম লয়ে, যে একটু পরেই তাদের অতিক্রম না করে আমার উপায় থাকে না। পথে পথে আরো অনেক চেনামুখ, কখনো দেখি বিজ্ঞান বিখ্যাত সত্যেন্দ্রনাথ বসু চলেছেন মন্থরচনে – হাতে গোল্ড ফ্লেকের টিন, জামা বোতামহারা, চুল উশকোখুশকো, ছাঁটা চুল।

চোখে সোনার চশমা, গিলে করা চুড়িদার পাঞ্জাবিতে সুপ্রশাধিত যেই যান বিরল পথেও অতি সতর্ক সাইকেল চালিয়ে আস্তে আমাকে ছাড়িয়ে যান ডক্টর সে সংস্কৃত বাংলার অধ্যাপক সুলীল কুমার। বা হয়তো দেখা যায় –জগন্নাথ হলের দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ঢুকলেন ইতিহাস বিশারদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, যুবকদের চাইতেও দ্রুত এবং বলিষ্ঠ তার পদক্ষেপ অথবা, আমি যখন কলেজের গাড়ি বারান্দায় ঠিক তখুনি সাইকেল থেকে নামেন আমাদের ইংরেজী বিভাগের সত্যেন্দ্রনাথ রায়, সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যার তুল্য লাজুক অধ্যাপক আর নেই- আমাকে দেখে ইষৎ লাল হন তিনি, মৃদু কেশে নরম আওয়াজে বলেন, “এই যে বুদ্ধ ভালো আছ?’ আমি করিডোর দিয়ে যেতে যেতে শুনি ঘন্টার শব্দ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.