কোমায় থাকা ব্লগ
আমি একটা মস্ত পালোয়ান। এ ধারণা দিনে দিনে আরো মজবুত হচ্ছে। শুয়ে শুয়ে এত বেশি বেশি হাতি ঘোড়া এমনকি বাঘ-ভাল্লুক মারছি যে, সেগুলোর হিসাব রাখতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি! গুদামঘর পূর্ণ হয়ে গেছে, আর রাখার জায়গা পাচ্ছিনা। তাই শিকার উতসব আপাতত বন্ধ। শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসলাম।
কারণ আর কিছুই না। মশার উতপাত। যতই হাতি-ঘোড়া মারিনা কেন, মশা মারতে আমার অতীত রেকর্ড মোটেও সমৃদ্ধ না। চোখের সামনে বোঁ-বোঁ আওয়াজ হওয়াতে সপাটে সেদিকে লক্ষ্য করে বিকট শব্দে তালি বাজালাম। উদ্দেশ্য ওই ক্ষুদাতিক্ষুদ্র জীবটির প্রাণহরণ! বিস্ফোরণ শেষে দেখি মশাটি বিছানার চাদরের উপর নিথর-নিশ্চল হয়ে পড়ে আছে! কিন্তু শরীরটাকে অক্ষতই মনে হচ্ছে।
চিমটি দিয়ে চ্যাংদোলা করে ওটাকে টেবিলের এককোণায় রাখলাম। রক্তচোষা-জীবাণুবাহক এই জীবটির উপর প্রাণঘাতি আক্রমন করতে পেরে খুবই করিতকর্মা মনে হচ্ছে নিজেকে! বারেবারে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে লাগলাম আমার সাফল্য-পালক এই নিশ্চল জীবকোষগুচ্ছকে!
হাতটা ধুয়ে আসলাম বাথরুম থেকে। এসে দেখি, ওমা! মশাটা স্ফিংস এর মত নবজন্ম লাভ করে টেবিল কভারের মসৃন রানওয়ে থেকে টেক-অফের প্রস্তুতি নিচ্ছে! চেষ্টা করলাম, রাজবন্দি পলায়ন ঠেকাতে, তবে ব্যর্থ হলাম আবারও!
ব্যাপারটা বোধগম্য হলো। বরাবরের মত আমি হাত চালিয়েও মশাটার টিকিটিও ছুঁতে পারিনি। তবে তালির বিকট শব্দে কানা তালা লেগে ওটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে! জ্ঞান ফিরতে কিছুক্ষণ সময় লেগেছে ওর! আমার অন্তরালে যাবার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছে।
তারপরই ডানা মেলে দিয়েছে আকাশে!
সাফল্যগুলো এভাবে ব্যর্থতায় পর্যবশিত হওয়া খুবই হতাশাজনক!
তাই হাতি-ঘোড়া-বাঘ-ভাল্লুক মারাতেই মনোনিবেশ করলাম আবার!
(দিস ইস আ রিপোস্ট ফ্রম মাই হোমপেজব্লগ। প্লিজ ভিজিট মাই লিঙ্ক!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।