আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে তথ্য বিভ্রাট বা অন্য কোন সমস্যা ? সমাধানে যা করনীয়.... (পর্ব-০১)

আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের অনেকগুলো জন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বা সরকারী প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা ও সু-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মতো সাধারণ ও নিরীহ মানুষদের অনেক ক্ষেত্রে জন দূর্ভোগ, ভোগান্তি ও নানা ধরণের সমস্যা মাথা পেতে নিতে হয়। জনকল্যান বা জনবান্ধব মানসিকতার চেয়ে আত্মোন্নয়ন ও দুই নম্বরী ধান্ধার কারণে মূলত এই সমস্যা। হাজারো উদাহরনের মাঝে ন্যাশনাল/ভোটার আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র) ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে তথ্য বিভ্রাট বা অন্য কোন সমস্যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ জাতীয় সমস্যায় আমার মতো অনেকেই পড়ে আছেন বা পড়তে পারেন।

বেশ কয়েক বছর আগে থেকে বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এম আর পি) বাধ্যতামূলক করে। যদিও সরকার এই সিদ্ধান্ত অনেক বিলম্বে নিয়েছে। বর্হিবিশ্বের অনাস্থা ও শ্রমিক ফেরত পাঠানোর মতো ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রীয় কর্তারা তরিৎ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অথচ আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক অনুন্নত দেশও আমাদের বহু বছর আগে থেকেই এম আর পি ব্যবহার করে আসছে। যাই হোক! সরকার প্রাথমিক সময়ে যাদেরকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এম আর পি) প্রদান করেছে আমার জানা মতে তারা যথেষ্ঠ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।

আমি নিজেও সেই ভোক্তভোগীদের একজন। বিষয়টি হচ্ছে পাসপোর্টে তথ্য প্রদান নিয়ে । সাধারণত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের একটি পেজে পাসপোর্ট হোল্ডারের ছবি ও স্বাক্ষরসহ নাম, সারনেম, জন্মস্থান ও তারিখ , ইস্যুস্থান ও তারিখ, এক্সপার ডেট ইত্যাদি তথ্য থাকে। অন্য আরেকটি স্বতন্ত্র পেজে পাসপোর্ট হোল্ডারের ফুলনেম, পিতা ও মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নং ইত্যাদি ডাটা কম্পিউটারাইজড প্রিন্ট আকারে থাকতে হয়। প্রাথমিক সময়ে এম আর পি গ্রহণকারীদের পাসপোর্টে উপরোক্ত প্রথম পেজটি ঠিকভাবে থাকলেও দ্বিতীয় পেজটির তথ্য সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিল।

যার কারণে অনেক দূতাবাসের বক্তব্য অনুযায়ী এ সকল পাসপোর্ট অসম্পূর্ণ। এ ধরণের পাসপোর্ট নিয়ে অনেককেই বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বা হচ্ছে। কোন কোন এম্বেসী এ ধরণের অসম্পূর্ণ পাসপোর্টের কারণে ভিসা প্রদান করেনা। কিছুদিন আগে আমার এক বড় ভাইকে ইন্ডিয়ান হাই কমিশন অফিস ভিসা প্রদান করেনি একই সমস্যার কারণে। আমার কাছে এই সমস্যাটিকে আগে মামুলি মনে হয়েছিল।

কিন্তু সেদিন গুলশানে এক ফরেনারের (সম্ভবত কানাডিয়ান) পাসপোর্ট এবং শ্রীলংকান আমার এক বন্ধুর পাসপোর্ট দেখে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি। সমাধানে যা করনীয়...........। যাদের পাসপোর্টে এ ধরণের সমস্যা রয়েছে তারা সমস্যার সমাধান করতে পারেন খুব সহজেই। নতুন তথ্য সংযোজনের জন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে নিকটতম পাসপোর্ট অফিসে। ঢাকাবাসীরা আগারগাঁয়ের হেড অফিসের ৩ তলায় ৩৩৩ নং রুমে যোগাযোগ করতে পারেন।

তথ্য সংযোজনের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে পাসপোর্টসহ জমা দিলে বিনামূল্যে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত পাসপোর্ট । সকালে জমা দিলে বিকেলেই হাতে পাবেন সংশোধিত পাসপোর্ট। আর দুপুরের পরে জমা দিলে পরবর্তী কার্যদিবসে ডেলিভারী দেওয়া হয়। আপনাকে প্রতারক বা দালাল চক্র থেকে খুব সাবধান থাকতে হবে। বুঝেনই তো ..... সরকারী অফিস.... বিশেষ প্রাণীর ঘেউ ঘেউ আওয়াজ কানে এসে যেতেও পারে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.