জীবনে সুখের মূল কথা হল - এই পৃথিবীর কেউ বা কোন কিছুই তোমার জন্য নয়।
এর আগেও অনেকদিন রাতের অন্ধকারে স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন তাদের উর্বর মস্তিস্কজাত চিন্তা ভাবনা নিয়ে দেশকে অসন্মান করে পোস্ট দিয়েছে। যতক্ষন পর্যন্ত রাজাকাররা পোস্ট না সরাতো, ফ্লাডিং চলত। ভোরের দিকে শয়তাদের দোসরগুলো পোস্টগুলো মুছে ফেলত। এছাড়াও হাজার বার নানা স্বাধীনতাবিরোধীদের পোস্ট এবং মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও কাজ হয়নি।
অনেকেরই ফ্লাডিং নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, থাকাটাই স্বাভাবিক। গালিগালাজ না করেও বিরোধীতা করা যায়, আমি নিজেও গালিগালাজ না করে বিরোধীতার পক্ষে।
কিন্তু ঐ ঘটনার পর অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। এক স্বাধীনতাবিরোধীর বিতর্কিত পোস্টের প্রতিবাদ করার জন্য অনেকেই ব্যান হয়েছেন। অথচ স্বাধীনতাবিরোধীরা আছে বহাল তবিয়তেই।
নিচে বুড়া শাহরীয়ারের পোস্টে অভিযাত্রী'র কমেন্ট দেখুন:
"অভিযাত্রী বলেছেন: বুড়া ভাই করতে দেন অদের ১৪টা আর আমার ১টা কি মজা
০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪৩
লেখক বলেছেন: হা হা হা!!!! ঠিক আচে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:২৭
comment by: অভিযাত্রী বলেছেন: কি কন বুড়া ভাই আরেকটু নাচামু নাকি আইজকার মত মাফ কইরা দিমু?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫০
comment by: অাওরঙ্গজেব বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিছু কি বোঝা যায় এ থেকে যে এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা ছিল?
এই ঘটনায় এমন কিছু ব্লগারদের ব্যান করা হল, যারা কোনদিন গালিগালাজ করেননি। আমার প্রশ্ন হল - ঐ অবস্থায় ফ্লাডিং ছাড়া আর কিছু কি করার ছিল? উত্তরটা "না"
ব্যাখ্যা হল -
সাধারন ব্লগাররা যারা গালিগালাজ করেন না, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করেন তারা দেখছেন -
হাজার বার হাজারও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করার পরও সেগুলো মোছা হয়নি, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সেই সব পোস্ট এবং তাদের নিকগুলিকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
তাদের হাজারও প্রতিবাদের পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি কখনও। একজন ব্লগার হিসেবে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি কখনই চাইব না যে ব্লগ ভরে যাক দেশের চেতনাবিরোধী পোস্টে, সেই অবস্থায় অনেকেই গালিগালাজ করেন, অনেকেই ফ্লাডিং করেন।
আমি এই ফ্লাডিং কে সমর্থন করি, করব, দরকার হলে আমি নিজেও ফ্লাডিং করব।
ফ্লাডিং ছাড়া আর কি করা যেত, আমাকে কি একটু বুঝিয়ে বলবেন আরিল?
কর্তৃপক্ষ কারন অনুসন্ধান না করে মানুষ, বিমা, শিপন, মুকুল, সামী মিয়াদাদের মত ব্লগারদের ব্যান করেছেন। শুধু তাই না, হাজারও প্রতিবাদের পরও তারা তাদের খোঁড়া যুক্তি নিয়ে কথা বলছেন এবং ভাল ভাল পোস্ট গুলো প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। অমি রহমান পিয়াল, জয়িতার যুক্তিসংগত পোস্টগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে, রাগিব ভাইয়ের কমেন্ট ডিলিট করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশকে গালি দেয়া অপার্থিবের পোস্ট (Click This Link) ঠিকই প্রথম পাতায় ছিল, জামাতের প্রেস রিলিজ সহ হাজারো ফালতু পোস্ট প্রথম পাতায় ছিল।
ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বিরোধীদের প্লাটফরম হয়ে উঠছে সা হো ই। এই দেশে থেকে এই দেশের মাটিতে থেকে এই দেশবিরোধী কথা বলা হচ্ছে এবং সা হো ই এর কর্তা ব্যক্তিরা তাদের সহায়তা করছেন, এটি কল্পনা করতেও কষ্ট হয়।
আরিল মনে হয় জানেন না, তার দেশ সেই হাতে গোনা কয়েকটি দেশের অন্যতমা, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধের তাদের সংসদে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে বিল পাশ করেছিল।
তাই বন্ধ করুন বাংলাদেশবিরোধীদের সাপোর্ট করা।
সা হো ই ভয় পাওয়া শুরু করেছে, কি তাদের সেই ভয়ের কারন? কি কারনে এমন ডিকটেটরদের মত আচরণ করছে? পোস্ট সরিয়ে দিলেই কি সব গন্ডগোল মিটে যাবে?
বাংগালীরা সহনশীল মানে এই নয় যে, সব অন্যায় সহ্য করবে।
এ এমন এক জাতি যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে যেকোন কঠিন সময়ে। আর এ জাতি যখন জাগে, তখন কি হয় তার স্বাক্ষী ইতিহাস।
সাবধান - স্বাধীনতাবিরোধীরা আর তাদের দোসররা।
গত ১০ মাসে প্রথম যেদিন তাড়াতাড়ি রাতে ঘুমাতে গেলাম, সেদিনই ঘটল এমন একটি ঘটনা- জীবনের বড় আফসোসগুলোর একটি ছিল জন্মাইনি মুক্তিযুদ্ধের সময়, আজ আরেকটি যোগ হল।
লাল সেলাম - সামী মিয়াদাদ, মুকুল, বিষাক্ত মানুষ, মানুষ, শিপন, নেই মানুষ, নরাধম সহ সকল দেশপ্রমিক ব্লগারদের।
এদের নিঃশর্ত আনব্যান চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।