ফ্রম দ্যা হার্ট অফ ডার্কনেস
নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নি:শ্বাস
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
জীবনের তৃষা বড়ই তীব্র। এই তৃষার ছলনায় পড়ে আরিল কিয়েকগার্দ বসত গড়েন "ইমপোভারিশড" বাংলামুলকে আর আমি বাংগাল আপাতভাবে বিছানা পাতি তাঁর দেশ নরওয়েতে।
শুধু কি একটু বেশি পয়সাকড়ি কিংবা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত জীবনের সন্ধানে!
না বোধহয়। এইসব প্রশ্নের উত্তর এতো সহজে দেওয়া যায়না।
এই নরওয়ে দেশটা প্রথম দেখায় আমার কেন জানি ভাল্লাগতেছেনা। চারিদিক সব বিশাল বিশাল সাদা সাদা মানুষ তার মাঝে কৃশ কালা এই আমি থই খুঁজে পাইনা। দেশটাকে কেমন জানি পরপর মনে হয়। সাদাদের মাঝে এশিয়ান চেহারা'র(থাই, চাইনিজ, ভারতীয়) কাউকে দেখলে আপন আপন লাগে।
এ এক অদ্ভুত ব্যাপার।
সেই ১০ বৎসর বয়সে প্রথম যখন গ্রাম থেকে শহুরে আসি, তখন নিজ গ্রাম ও আশেপাশের গ্রামের লোকদের খুঁজে ফিরতাম। এরপর ঢাকায় এসে কোথাও কোনভাবে যদি জানতাম অমুক লোকটা আমাদের বৃহত্তর অন্চলের, কেমন জানি আপন মনে হৈতো। মনে আছে, মালয়েশিয়ার এক ট্রেনিংয় সেন্টারে এক ভারতীয় চেহারার মেয়ে দেখে আমরা সবাই সোৎসাহে লাফ দিয়েছিলাম। হপ্তাহ ধরে চাইনিজ আর মালয় মেয়েদের দেখে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম!
কে জানে হয়তোবা পৃথিবীর বাইরে যদি কোন জগৎ আবিষ্কৃত হয়, সেইখানে সাদা-কালো নির্বিশেষে সবাইকে এক পৃথিবীর মানুষ হিসেবেই আপন মনে হবে।
["নরওয়ে" ভালো না লাগার আরেক কারন, অন্তত এই মুহূর্তে, কিচেন থেকে কোন হালার পুত মাইক্রো-ওভেন টা নিয়ে গেছে।
রান্নার করা উপায় নাই। অন্যদিকে বিয়াপক ক্ষুধা লাগছে]
[অনেকদিন লেখিনা। তাই আবোল-তাবোল, হাবি-জাবি, মাথায় যা আসলো, লিখে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।