দ্য ওয়ে আই ফিল ইট...
আমরা কিন্তু এভাবেই গেঁথেছি জীবনের গান
তোমার কাছে শব্দ অনেক, আমার অল্প কিছু
কিছু শব্দ থাকলো বাতাস আর পুরনো বৃক্ষদের
এত যে শব্দ-খেলা, কেউ তবু নিঃশব্দেরই পরম জাতক
সকাল-দুপুর কষ্ট কিংবা বিষাদের দরজা গ'লে
নিঃশব্দেই আসে ওরা, কেউ আসে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাসে
ওরা যে কারা, ওরা যে কারা, বুঝিনা কিছুই
সারাক্ষণ ভীষণ নরম, কান্না-মুখর হয়ে থাকা
তাতে ঘ্রাণ বাড়ে বাতাসে খানিক, পঙক্তি বাড়ে কবিতায়
স্বপ্নের প্রাণ বাড়ে কিনা, বলতে পারেনা কেউ...
এইসব ভেবে ভেবে অবাক হতে হয় ভীষণ
তাহলে জীবন হলো মৃত্যুর মন্থর প্রতীক্ষা
বিভ্রমে বন্দী আমরা এভাবেই গুনে যায়
অজস্র অন্তিম পাতা, হলুদ, বৃক্ষচ্যুত
বয়সের পাতারাও ঝরে, নিঃশব্দ নিরুদ্দেশে
চিহ্ন তার জমে থাকে বয়সী চোখের কোণে
চিহ্ন জমে স্মৃতিভ্রষ্ট মগজের অলিতে গলিতে
বিভ্রান্ত আগন্তুকের মতো পথ হাঁটি আমরা
ভীষণ কোন লালচে বিকেলে হঠাৎ থমকে যাই
আদিম পুরনো কোন বটের আলিঙ্গনে
কেউ গভীর শুঁকে নেয় মাটির মাতাল রস
ঘাসের মখমল স্বাদে গহীন ঘুমিয়ে পড়ে কেউ
জাগার সময় তাদের কোনদিন হয়না যেন আর
পাখীরা গোপনে দেখে ওদের প্রশস্ত ললাট,
স্বপ্ন-ভেজা চোখ আর বঙ্কিম ঠোঁটে আঁকা রহস্য অপার
তবু অবাক হতেই চায়না যেন ওরা, কেন যে!
ঘুমন্ত জাতকদের স্বপ্নকাতর আকাশ চষে চষে
প্রশস্ত ডানায় একদিন তারপর উড়ে যায় দূরে
খুঁজে ফেরে তুমুল নীলের দেশ, মেঘের কুসুম
কান্না-ভেজানো কোন সবুজ অ্যামাজন কিংবা
জমাট জঙলা ছেঁড়া উন্মাদ ঝাঁঝাঁল বাতাস...
এভাবেই আমরা বাঁচি, অথবা চলে বাঁচার বিধান
নিয়ন জ্বললে ভীষণ নিভে যায় গহীন পুরনো কেউ
জারুল-জামরুল বন আলগোছে কেটে নেয়া গেছে
সেখানে এখন রঙিন প্রাসাদ, ছক কাটা এভিন্যু-স্ট্রিটস
অগভীর লেকের পাড়ে লালচে ইটের সড়ক
সেখানে একাকি হাঁটা যায়, সকালে এবং সন্ধ্যায়
অথবা শুধুই হয়তো বিলাস বিলাস খেলা
এভাবেই চলে মহাকাল, অথবা ঘন্টা কয়েক মাত্র
একদিন অতঃপর রাজপথ, মেঠোপথ, প্রপিতামহ
শ্বেতবস্ত্র, উইল, মিছিল, ফিনাইল, লোবান হয়ে
থিকথিকে অন্ধকারে নির্জন জোনাকির সখ্য হয়ে থাকা...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।