আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন বছর...কাজের চাপ...নেই অটো ছুটি

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

বড়ই দুষ্কের কথা। নতুন ক্যালেন্ডার খুলে দেখি অটো ভ্যাকেশন মাত্র ১/২ দিন। গত বছর সেটা প্রায় ১০/১২ দিনের ছিলো। অফিস মোটামুটি ফাঁকাই।

এখনো ছুটির আমেজে আছে লোকজন। বছরের দ্বিতীয় দিন আমাকে প্রজেক্টের তারিখ দিয়ে বসিয়ে দিয়েছে। একটা আস্ত কন্ট্রোল ডিভাইস এনহান্স করতে হবে। একজনের কাছে গেলাম তো বেটা অনেকগুলো প্রবলেম ধরিয়ে দিলো। সলভ করতে গিয়ে দেখি আরেকজনের সাহায্য নিতে হবে।

তখন উনি ছুটিতে। সফটওয়্যার + ফার্মওয়্যারগুলো এতো ডিষ্ট্রিভিউটেট যে কাজের গতি অনেক কমে যায়। ইন্টার্নশিপ ও থিসিস করার পর যখন কাজে যোগদান করি তখন আগের বস বলেছিলো "welcome to the real world" । তখন বুঝতে পারিনি ঘটনা কি ঘটবে। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

সবাই ব্যস্ত। ম্যানেজারকে বর্তমান পরিস্হিতির কথা বলতে গিয়ে দেখি উনিও ছুটিতে। প্রজেক্টের ডেইটে ডেলিভারি কষ্ট হবে। শেষ বাঁশ ডলাটা মনে হচ্ছে আমার উপর দিয়েই যাবে। ছুটিগুলো এতো তাড়াতাড়ি চলে যায়।

আমার রুমের ছাদে বেশ বড়ো কাচের জানালা। বিছানায় শুয়ে আকাশ দেখা যায়। ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত সবই দেখা যায়। বৃষ্টি হলে টাপুর-টুপুর শব্দ হয়। বৃষ্টির শব্দে ঘুমও আসে ব্যাপক।

বাইরের আলো + চাঁদের আলো থেকে বাঁচতে বড়ো একটা পর্দা লাগানো থাকে। ঘুমানোর সময় চাঁদের আলোর মতো রোমান্টিম মুড থাকে না। যে কেউ বেড়াতে আসলেই বলে "কি সুন্দর তোমাদের রুম"। আমি বলি " সেটা প্রথম প্রথম মনে হবে। দু'দিন থাকলেই রোমান্স শেষ"।

ঘুমিয়ে শুনতে পাচ্ছিলাম বেশ ভালোই ফাজলামি বৃষ্টি হচ্ছে (শীতের সময় বৃষ্টিটা মারাত্মক হয়)। ভোর ৬টায় উঠে আবার ঘুমুতে ইচ্ছে হলো। নামায পড়ে আবার ঘুম। মা'কে বল্লাম সকাল ৮টায় উঠবো। অফিসের তাড়ায় সহজে ঘুম হলো না।

উঠে নিজে নিজে নাস্তা রেডি করলাম। একটা পরটা ভাজি সাথে চা। মা-বাবার জন্য চা বানিয়ে অফিস দৌড়। এখানেও বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ঐদিন এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলে " জানোস নাকি, আলদি/লিডিলে (সুপারমার্কেট) তেলে দাম বেড়েছে"।

বলি, আমি তো বছরখানেক হলো বাজার করি না। মা'কে জিজ্ঞেস করে জানলাম চাল, ডাল, আটা, তেল, সবজি সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। নতুন বছরে বাস, ট্রাম, ট্রেনের টিকিটের দাম বেড়েছে অন্যান্য বছরের মতোই। এখন আবার পানি, গ্যাস, ইলেকট্রিসিটিরও দাম বেড়েছে ১৭%। পেট্রোলের দামের জন্য মানুষজন গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিচ্ছে।

এতো কিছুর দাম একসাথে বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ বেশ চিন্তিত। কিন্তু বেতনের অঙ্কটা আগের মতোই। জার্মানির social system হয়তো ধীরে ধীরে আমেরিকার মতোই হয়ে যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.