হেফাজত তো প্রথমে কিছুই বলেনি। জামাতী ফেসবুক পেজ বাশের কেল্লা প্রথম লাশের সংখ্যা বলে ২৫০০ জন। তারপর এই দাবী লুফে নেয় বিএনপি।
ফেসবুক এবং ব্লগে বিএনপি সমর্থকরা না বুঝেই এই কথা ছড়াতে শুরু করল। এমনকি বহু উচ্চ শিক্ষিত মানুষও এই সব কথা শেয়ার করেন।
এখনও ফেসবুকে ও ব্লগে এই মিথ্যাচার চলছেই। ধর্মের নামে মিথ্যা কথা বলে তারা কেবল নিজের আমলনামায় মহাপাপের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন। জেনে শুনে মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য এদের অবশ্যই আল্লাহর দরবারে কৈফিয়ত দিতে হবে।
এবার আমরা তাদের মিথ্যাচারের বিশ্লেষণ করি।
আমি তাদের দাবী মেনে নিলাম।
এবার নিখোজ ব্যক্তিদের তালিকা দেন। এরা তো মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছিল। মাদ্রাসার খাতায় তারা ছাত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত। সুতরাং তাদের তালিকা দেয়াটা খুব সহজ। কোন কোন মাদ্রাসা থেকে কারা কারা নিখোজ জানাক তারা।
সাভারে মানুষ মারা যা্ওয়ার পর তাদের হাজার হাজার স্বজনরা মৃত/আহতদের ছবি নিয়ে ছুটে এসেছিল, স্বজনদের সন্ধানে। অথচ এখানে একজন্ও লাশের দাবীদার নাই ?
মানুষ নিজের চেয়ে তার সন্তানকে বেশি ভালোবাসে। বাংলাদেশের বাবা-মায়েরা কি এত নিষ্ঠুর হয়ে গেল যে, তার সন্তানের লাশ নিতে আসবে না ? সন্তান নিখোজ হয়ে যা্ওয়ার পর তার সন্ধান করবে না ?
মিথ্যা বলা মহাপাপ বলে জানি। ধর্মের নামে মিথ্যা বলা কি তার চেয়ে বড় মহাপাপ না ? আল্লাহ এই সব মহাপাপীদের নিশ্চয়ই শাস্তি দেবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।