ইমরোজ
নতুন একটা যন্ত্রের নাম শুনছি আজকাল। পাকিস্তান ইন্ডিয়ায় এই যন্ত্রের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে নাকি হয়ে আসছে। সুতরাং বাংলাদেশেও এর প্রবেশ হয়েছে।
ইন্ডিয়া অথবা পাকিস্তানে যন্ত্রটি এভাবে কাজ করে যে সোজাযুজি বলতে গেলে যন্ত্রটি একজনের পশ্চাত দেশে সিল মেরে দেয় "ম্যাইড ইন ইন্ডিয়া", অথবা "মেইড ইন পাকিস্তান"।
তো এরকমই যন্ত্রটি এই তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কাজ করা শুরু করে।
যন্ত্রটি হলো আমাদের সরকারের ন্যাশন্যাল আইডি কার্ড নামে খ্যাত। যা প্রতিদিন নাকি ৪ লক্ষ মানুষের পশ্চাতদেশে সীল মেরে যাচ্ছে, "মেইড ইন বাংলাদেশ"।
মি. আলি আহসান মুজাহিদ সাহেবের সেই যন্ত্র থেকে ডাক পরলো। তিনি বিশিষ্ট নাগরিক কিনা। তখনই বুঝা গেল যন্ত্রের সিরিয়াস কিছু সমস্যা আছে।
মুজাহিদ সাহেব তো পশ্চাত দেশে সিল মেরে এসে খুব নিশ্চিন্তেই ঘুমাচ্ছিলেন, কিন্তু রাতের অন্ধকারে তার লুঙ্গি গেছে তেহরানে আর কম্বল পুরোটাই তার বউদের গায়ে(চার জন)। এমন সময় মুজাহিদের রাতের ঘুম ভাঙ্গাইয়া চিতকার করে উঠলো ছোট বউ।
ধরফর করে উঠে মুজাহিদ সাহেব ঘুম ঘুম চোখে জিজ্ঞেস করলেন "কি হইছে"? ছোট বউ টর্চ লাইট দিয়ে ওনার পশ্চাত দেশ দেখছিলেন।
ছোট বউ বললেন, "তোমার সীলে গরমিল হইছে"।
মুজাহিদ তো অবাক।
কি গরমিল হতে পারে? এক ঘায়ে পাইলস হয়ে গেলো না তো? না, পাইলস নয়, কিন্তু সিলে লেখা "মেইড ইন পাকিস্তান"।
মুজাহিদ সাহেব খুব চিন্তায় পরে গেলেন। এখন কি করা? পরের দিন তিনি সেই যন্ত্রের কারখানায় গেলেন। তার সীলের মাঝে আবার সীল মারা হলো। কিন্তু বার বার "মেইড ইন পাকিস্তান" ই লেখা উঠছে।
এভাবে ৪ বার। ঘা ফোরা যা হবার তা তো হলোই, কিন্তু "পাকিস্তান লেখাটা স্পষ্টই আছে"।
যন্ত্রের দোষ নাকি কিসের দোষ? মনে হয় গভীর ষড়যন্ত্র করেছে কেউ।
তারপরের দিন তিনি আবার গেলেন। কিন্তু যন্ত্রের অপারেটর একবার তার পশ্চাত দেশে তাকাচ্ছেন, আর একবার তার দিকে।
মুজাহিদ তো কিছুক্ষণ পর চেতে আগুন। "একবার আমার দিকে একবার পাছার দিকে কি দ্যাখো"?
"স্যার বেয়াদবি নেবেন না, এরপর তো আর পাইলস হওয়ারও জায়গা থাকবে না"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।