মামলার জালে বন্দি বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরে হাজার হাজার মামলা দায়ের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিএনপির একটি সূত্র দাবি করেছে, সারাদেশে এ মামলার সংখ্যা হবে প্রায় ২০ হাজার। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকা শহরেই প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। আর এসব মামলার আসামি প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখের মতো।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। এর ফলে কঠোর আন্দোলনে নামার মতো মনোবল পাচ্ছেন না তৃণমূলের নেতারা। এছাড়া বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশ কিছু মামলার বিচারও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আর এ নিয়ে সংশয়ে আছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
ক্ষমতায় আসার পরে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় সাড়ে সাত হাজারের মতো মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এছাড়া দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বিগত সরকার ও ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তী দায়ের করা প্রায় সব মামলা ও মামলায় দেয়া সাজার রায় হাইকোর্ট থেকে বাতিল হয়ে গেছে। আর এসব বাতিল রায়ের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই কোন আপিল করা হয়নি। অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কিছু মামলা হাইকোর্ট থেকে বাতিল হলেও পরক্ষণেই তার বিরুদ্ধে আপিল
দায়ের হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার আন্দোলন দমন করতে ও কিছু নেতাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কৌশল বেছে নিয়েছেন। আর এভাবে রাজনৈতিক কারণে একের পর এক মামলা দায়ের করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার লংঘন করা হচ্ছে।
এভাবে মামলা দিয়েও আন্দোলন দমানো যাবে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন যুগান্তরকে বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রক্ষীবাহিনী দিয়ে হাজার হাজার বিরোধী পক্ষকে হত্যা করেছিল। সেই বাকশালী আচরণ অব্যাহত রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক অথবা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমাতে সরকার একের পর এক মামলা দিয়েই চলেছে। মামলা দায়েরের অতীত সব রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে সরকার।
মামলা-হামলা দিয়ে বিএনপির ন্যায্য আন্দোলনকে দমানো যাবে না। আমরা আইনিভাবে ও রাজনৈতিকভাবে
এসব মামলা-হামলার মোকাবেলা করব।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ১/১১-এর ‘মঈনউদ্দীন-ফকরুদ্দীন’ সরকারের প্রতিচ্ছবি। কেননা ১/১১-এর সেই অসাংবিধানিক সরকারের মতো ঠিক একই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মহাজোট সরকার বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বিএনপির আন্দোলনকে বিঘিœত ও স্তব্ধ করার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস এ মামলা দায়ের।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়েই এ সরকার ক্ষ্যান্ত হয়নি বরং প্রশাসন ও বিচার বিভাগের ওপর ন্যক্কারজনক ও নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে দমনের এই ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ২৭ মামলা : বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো এবং তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে ২৭টি মামলা রয়েছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এসব মামলার মধ্যে সাতটি বর্তমান সরকার আমলে করা। বাকিগুলো গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা হয়।
আদালতের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাঁচটি এবং তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭টি ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান সাতটি মামলার আসামি। এছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই ছেলেকে এবং একটিতে তারেক ও কোকোকে আসামি করা হয়েছে। এই হিসাবে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২৭টি। মামলাগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেরই কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
তার পরও জিয়া পরিবারের আইনজীবী ও দলীয় নেতারা মনে করছেন, সরকার আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এসব মামলার কয়েকটির বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের আশংকা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটি মামলা গতি পাচ্ছে।
খালেদার পাঁচ মামলা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলাটির অভিযোগপত্র ১৫ জানুয়ারি আমলে নিয়েছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলাটির বিচারকাজ শুরু হবে। তবে এ মামলার বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আÍসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন : সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ অভিযোগ গঠন বিষয়ে মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
গ্যাটকো দুর্নীতি : কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য গ্যাটকো লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়া ও কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদারি কাজে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
নাইকো দুর্নীতি : নাইকো রিসোর্স কোম্পানিকে অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটি করে দুদক। এ মামলার কার্যক্রমও স্থগিত রয়েছে।
তারেকের ১৭ মামলা : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং তাতে ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি হত্যা ও আরেকটি বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে করা মামলা।
বর্তমান সরকারের আমলে এ দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়।
২০১১ সালের ৩ জুলাই সিআইডির দেয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ নিয়ে মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২।
এর আগে জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। তাতে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান, বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তখনকার আসামিদের বেশির ভাগই হুজির সদস্য। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চ আদালতের জামিন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।
এখনও তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তাকে পলাতক দেখিয়েই ২১ আগস্ট-সংক্রান্ত দুটি মামলার বিচারকাজ চলছে।
ইতিমধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষ হয়েছে। ৬৬তম সাক্ষীর জেরা চলছে। এ মামলায় ৪০০ জনের অধিক ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়েছে।
তবে এদের সবাইকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে না বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির একাধিক সূত্র মনে করছেন। প্রয়োজনীয় সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত হলে আসামিদের সাফাই সাক্ষী হাজির ও যুক্তিতর্ক পর্যায়ের পর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে। বর্তমানে সপ্তাহে দুদিন করে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। এ ছাড়া দুদক ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩-এ বিচারাধীন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
একই আদালতে থাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় মায়ের সঙ্গে তারেক রহমান আসামি রয়েছেন। বর্তমান সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় গত বছরের ২ অক্টোবর। ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করে সোনালী ব্যাংক। এটা এখন সমন জারির প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় আছে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতারের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। এগুলোর মধ্যে আটটি চাঁদাবাজির মামলা। ২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানায় মামলাগুলো করে। এ ছাড়া কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলা, দুদক বাদী হয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা (স্ত্রী জোবায়েদা রহমানও আসামি), একই বছর বসুন্ধরা গ্র“পের কর্মকর্তা সাব্বির হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে নিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদক আরেকটি মামলা করে। পরের বছরের ৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করে।
এছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা থাকলেও তার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে এবং তিনি জামিনে আছেন।
কোকোর সাত মামলা : সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কাফরুল থানায় আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের ছেলে সায়মন হোসেনকে আসামি করা হয়। ২০১১ সালের ২৩ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে পলাতক দেখিয়ে কোকোকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর পাচার করা অর্থের একটা অংশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোকো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। কোকোর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১০ সালের ১ মার্চ এনবিআর একটি মামলা করে।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোকোর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি চাঁদাবাজির মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক একটি মামলা করে। আর সোনালী ব্যাংকের ঋণখেলাপি মামলায় ভাইয়ের সঙ্গে এবং গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় মায়ের সঙ্গে কোকোও আসামি।
মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা কেউ জানেন না : মামলার ফাঁদে পড়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বিরুদ্ধে মোট কতটি মামলা আছে তা জানে না তার পরিবার ও তার আইনজীবীরা। একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরই আরেকটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
তাকে কারাগারে রাখতে সরকার মামলার ফাঁদ পেতেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, তাকে আটকের পর এ পর্যন্ত ছয়টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। দেখা গেছে একসঙ্গে দুটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে তাকে। গ্রেপ্তার দেখানো মামলাগুলোতে জামিন পাওয়ার পর আবার তাকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তাকে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে আটক রাখার স্বার্থে এ কৌশল নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গত বছর দুই দফায় কারাবরণ করতে হয়। বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২৯ এপ্রিল সারাদেশে হরতাল ডাকে বিএনপি। ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই দুই ঘটনায় তেজগাঁও ও রমনা থানায় দায়ের করা করা দুটি মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ১৮ দলের ৩৩ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে নেয়া হয়। পরে সবাই জামিনে মুক্তি পান।
দ্বিতীয় দফায় গত ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়। ওই দিন তাকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় এবং শেরেবাংলা নগর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ দুটি মামলা দায়ের করা হয় ৯ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচির দিন। ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৭টি মামলা করা হয়। এসব মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুলের নাম না থাকলেও মামলার বডিতে তার নাম রয়েছে।
আর সুযোগ বুঝে সরকার তাকে একের পর এক গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। অবশ্য রোববার তাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া আর কোন মামলায় গ্রেফতার না দেখাতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তীতে ৮টি এবং বর্তমান সরকারের আমলে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী মামলাগুলোর মধ্যে নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি এবং আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে।
এছাড়া তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী সুবিদ আলী ভুঁইয়ার আÍীয়-স্বজন ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে গত বছরের ২৯ এপ্রিল গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে এবং বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয় এবং সিরাগঞ্জে ট্রেন পোড়ানোর অভিযোগে আরও একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ : ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মোট দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি এবং সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলা দুটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সাদেক হোসেন খোকা : ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসির) সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোই বর্তমান সরকারের আমলে দায়ের হয়েছে। দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ডিসিসির অর্থ আÍসাতের অভিযোগে একটি, ডিসিসিতে আয়কর কর্মকর্তা নিয়োগে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একটি, ডিসিসির মার্কেটে কার পার্কিংয়ের বেইজমেন্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুটি, এছাড়া ইলিয়াস আলী গুমের প্রতিবাদে ডাকা হরতালে গত বছরের ২৯ এপ্রিল গাড়ি পোড়ানো ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পাশপাশি সম্পদের হিসাব বিরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের আরও একটি মামলা রয়েছে।
রিজভী আহমেদ : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন ও হরতাল অবরোধের পরে করা প্রায় প্রতিটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। । সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা অবরোধের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া রাজধানীতে দায়ের করা ৩৭টি মামলায়ও তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে বর্তমানে তিনি প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমানে গাড়ি পোড়ানোর ও সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনি করাভোগ করেছেন। পরে জামিনে বের হয়ে আসেন।
আ ন ম এহছানুল হক মিলন : সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে। হাস্যকর সব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩২টি মামলা রয়েছে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের আসনের এই সাবেক মন্ত্রী এখন মামলা আতঙ্কে রয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাকর এবং যারা বা যার ইন্ধনে এসব মামলা দায়ের হয়েছে, তাদের রুচিবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। মামলার অভিযোগের মধ্যে, চুরি, লুটতরাজ, ভাংচুর, ভ্যানিটি ব্যাগ হতে নগদ টাকা চুরি, স্বর্ণের নেকলেছ ছিনতাই, মোবাইল ছিনতাই, সিকোফাইভ ঘড়ি ছিনতাই, মোটরসাইকেল ছিনতাই, মারধর, আগুন লাগানো, স্কুলের পুকুর থেকে মাটি চুরি, চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, সিলিং ফ্যান ও টেলিভিশন চুরি, মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, মারধর ও হত্যা চেষ্টা, ৭০ বছরের বৃদ্ধকে ধর্ষণের পর হত্যাসহ নানা ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের বিরুদ্ধে ৩টি, ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) হান্নান শাহের বিরুদ্ধে ৫টি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৭টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ৩টি, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১১টি, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলনের বিরুদ্ধে ৫টি, নাজিমউদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে ১০টি, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে ৩৩টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ১৬টি, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এসবের অধিকাংশ মামলাই বিস্ফোরক আইন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা। এছাড়া স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি কারাগারে আটক রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে সর্বমোট ৩০টি মামলা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু। বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আটক রয়েছেন ঢাকা জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু, আবদুস সালাম পিন্টুসহ শতাধিক নেতা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার : বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে আইন প্রমিন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার মামলার আংশিক অথবা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন। আর এ মামলা প্রত্যাহার নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও চুরি, ডাকাতি, চোখ তুলে ফেলা, টাকা আÍসাৎ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
এসব মামলায় অভিযুক্ত কমবেশি প্রায় এক লাখের মতো অভিযুক্ত খালাস পেয়েছেন বা খালাসের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। অন্যদিকে মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ মিলছে না বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সরকারি কমিটির একচোখা নীতির সমালোচনা করেছেন অনেকে।
উচ্চ আদালত থেকে মামলা বাতিল : বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত সরকার ও ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রায় সবগুলোই উচ্চ আদালত থেকে বাতিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার ও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মোট ১৬টি মামলার মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে এ পর্যন্ত ৯টি মামলা বাতিল হয়েছে।
এছাড়া তিনটি মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। একটি মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া ৩টি মামলায় এখনও চার্জশিট দেয়া হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতাদের মধ্যে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা, বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দুদকের মামলায় দেয়া ১৩ বছরের সাজার রায়, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা দুটি মামলা, শেখ সেলিমের চাঁদাবাজির মামলা, শেখ হেলাল ও তার স্ত্রী রূপা চৌধুরীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দেয়া সাজার রায়, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, হাজী মকবুল, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দেয়া সাজার রায় হাইকোর্ট থেকে বাতিল করা হয়েছে।
কিন্তু এসব বাতিল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে কোন আপিল হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের মধ্যে শাহাজান সিরাজ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ নেতার মামলা বাতিল হলেও হাইকোর্টের ওইসব রায়ের আপিল বিভাগে দুদক আপিল করেছে বলে জানা গেছে। হেডলাইন- যুগান্তর । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।