আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন (!): আটটি বুলেট শরীরে নিয়ে শেষ হলো মেধাবী ছাত্র “আহমইদ্দ্যা” (শিবির রহস্য)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

কয়েকদিন আগে দেখলাম একজন জামাতের ছাত্র সংগঠনের ম্যানুয়াল পোস্ট করছিলো। তখন কয়েকজন ব্লগার আমাদের জানালেন যে - শিবির হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন - দলে দলে মেধাবী ছাত্ররা জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবিরে যোগ দিচ্ছে। ইউটিউবের বদৌলতে আমরা দেখেছি - বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন শিবিরে সন্মেলনে একই কথা বলছেন - শিবির মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন। এই বিষয়ে একটু খোঁজ খবরের জন্যে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে কিছু খবর পেলাম। তাতে মেধাবী ছাত্রদের সংগঠনের একটা ছবি এতে ফুঁটে উঠবে - পরে পাঠকগন বিবেচনা করে দেখবেন “মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন” বলতে কি বুঝানো হয়।

আজকের আলোচ্য মেধাবী ছাত্রটি নাম আহমাদুল হক চৌধুরী - যিনি “আহমইদ্দ্যা” হিসাবেই বেশী পরিচিত। এক রাতে আটটি বুলেট শরীরের ভিতরে নিয়ে চলে আসেন চট্রগাম মেডিকেল কলেজে - পরে ধরাধামের মায়া ত্যাগ করে মর্গে শুয়ে থাকেন কয়দিন। তার সাথে তার সাথে মিনহাজ নামে আরেকজন মারা যায়। ( ১০ই সেপ্টেম্বর ২০০৪) জানা যায় - মৃত মেধাবী ছাত্রটি শিবিরের নেতা - পরে জামাতের ক্যাডার ছিলেন - এক সময় সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। মৃত্যুর আগে উনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য তার দলত্যাগের সময়কালটি জামাত-বিএনপির ক্ষমতার মধুচন্দ্রিমার কাল হিসাবে বিবেচিত হয়। শিবিরের এই মেধাবী ছাত্রটির নামে এক ডজন মামলা ছিল - যার মধ্যে ১০টি খুনের মামলা ছিল বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে। রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার লে: ক: এমদাদুল হক বলছেন -“তার নামে একশত টি খুনের সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে - এবং সে ক্রশ ফায়ারে মারা গেছে”। (এরপর বলা হয়েছে ক্রশফায়ারে বহুল প্রচারিত গল্পটি) আহমইদ্দ্যা ১৯৯২ সাল থেকেই চট্রগাম জেলা - বিশেষ করে সাতকানিয়া এবং আশে পাশের নির্বাচনী এলাকাতে জামাতের একটা “ক্রাইম সিন্ডিকেট” চালাতো। বিনিময়ে জামাত তাকে নিরাপত্তা দিতো।

কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত জামাতের এমপির সাথে বিরোধের জের হিসাবে জামাত ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করে। তারপরই তার “ক্রশ ফায়ার” বরন করতে হয়। পত্রিকা সূত্রে জানা যায় - জামাত ত্যাগের পর তাকে হত্যার জন্যে শিবির ক্যাডাররা দুইবার চেষ্টা করে। এর মধ্যে একটা নেয় জামাতের স্থানীয় এমপির ভাতিজা মঞ্জুর আলম( এপ্রিল ৫, ২০০৪) আর অন্যটা শিবির নেতা আজরাইল দেলওয়ার (১৬ই জুলাই ২০০৪) দুইটি প্রচেষ্টা নেয় - কিন্তু ব্যর্থ হয়। এই অভিযানের সময় ১০ জন শিবিরের টপ টেররকে গ্রেফতার করা হয়।

কুখ্যাত “শিবির নাসির”, “সাজ্জাদ খান”, “ফাইভ স্টার জসিম”, “বাইট্টা আলমগীর”, “তাসলিমউদ্দিন মন্টু”, “বাইট্টা ইউসুফ”, “আজরাইল দেলওয়ার”, মনজুর আলম”, “সারওয়ার আলম”, “ভাগিনা রমজান” - নামক মেধাবী শিবির নেতারা আটকে জেলে ছিল। আর ক্রশ ফায়ারে মারা যায় - হুমায়ুন আর ইয়াকুব। হামিদুল্লাহ নামে আরেক মেধাবী ছাত্র এবং শিবির কর্মী পুলিশে গুলিতে আহত হয় - পরে আটকাবস্থায় মারা যায়। এছাড়া আরেক মেধাবী শিবির কর্মী মারা যায় তাদের মেধাবী ছাত্রনেতা “গিট্টু নাসির” এর গুলিতে। এই অবস্থায় - শিবিরের সন্ত্রাসী দলটি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় বলে পুলিশ সুত্রটি জানায়।

সেখানে নেতৃত্বে আছে “গিট্টু নাসির”, “হাবিব খান” আর “বিডিআর সেলিম”। গিট্টু নাসির তিন ডজন মামলার আসামী বলে জানা যায় - যার মধ্যে প্রিন্সিপাল গোপাল মুহুরী হত্যার মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছে। আর হাবিব খান কমিশনার লিয়াকত হত্যার আসামী এবং মুহুরী হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত। এই হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন শিবিরের একটা চিত্র। এরাই পরবর্তীতে “সতলোকের দল জামাত” এর নেতা হবে এবং বাংলাদেশে সতলোকের শাসন কায়েম করবে ! বি:দ্র: - যদি কেহ উপরের খবরগুলোর কোন আপডেট দিতে পারেন - তাহলে বাধিত হবো।

(সূত্র: ডেইলি স্টার, নিউ এজ এবং ইয়াহু নিউজ) (পূর্বে প্রকাশিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.