"চিলে কান নিয়েছে......"
আর কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছনে দৌড়ানোর সেই গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর বাস্তব কোন উদাহারন, আমি গতকালের আগে কখনো দেখিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং সম্পর্কে গতকাল রাত থেকে বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুক এবং সংবাদ মাধ্যমে যা লিখা হয়েছে, তার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এটা একটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বানোয়াট বিভ্রান্তি ছাড়া কিছুই না। কিন্তু কিছু অন্ধ ফেসবুক ব্যবহারকারী কোন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে না জেনে, না শুনে সারা দেশবাসীর মাঝে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে তা সত্যি ই দুঃখজনক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন র্যাগিং এর বিরুদ্ধে খুবি সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট এবং প্রতিটি হল গেইটে প্রশাসনের ফোন নাম্বার সহ র্যাগিং বিরুধি সাইন বোর্ড লাগানো আছে।
তাই আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বর্তমান ছাত্র হিসেবে সারা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে র্যাগিং এর কোন অস্তিত্ব নেই। কিন্তু কিছু নিয়ম-কানুন আগেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, যার কারনে জাহাঙ্গীরনগর বাংলাদেশের অন্য যে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটু আলাদা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র এবং জুনিয়রের মাঝে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান, তা বাংলাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
তাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের এই প্রানের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে "জান-বিবি" বলে সম্বোধন করে। আর সেই কারনেই, আমার জীবনের অন্যতম অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধরনের অপ-প্রচার আমরা মেনে নিতে পারিনা। সারা দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে কোন বিভ্রান্তিতে কান দিবেন না, সবকিছু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখবেন, কোন কিছু না জেনে, না শুনে কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এই ধরনের অপ-প্রচার চালাবেন না। আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে, কেননা আমরা জানি জাহাঙ্গিরনগরকে আমরা কতটা ভালবাসি.........
হাবিব-৩৯তম ব্যাচ-সি.এস.ই বিভাগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।