সুখীমানুষ
শুনেছি ঐ.. যে... পাহাড়, হেথায় দিগন্তে-
নাকি আঁকাশ ছোঁয়া যায়। রোদেলা দুপুরে-
গাঢ় নীল গগন-গঙ্গায় নাকি কাঁশ ফুলের মত
গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ আনন্দে ঘুরে ফিরে; ইচ্ছে-
করলেই হাত বাড়ায়ে সে শুভ্র, কোমল
শ্যামল মেঘ ধরা যায়। আদিগন্ত শুধু
সরিষা ফুলো মত নামহারা ফুল আর ফুল সে
পাহাড়ের গায়ে। আমার আজন্মের সাধ
ফুল দিয়ে একটা চাদর করে গায়ে দিবো। সে
সাধ আজও আমার পূর্ন হয়নি। সে পাহাড়ের গায়ে
ফুলের চাদড়, মাথায় কোমল কাশ ফুলের
মত শুভ্র মেঘমালা, হাতের কাছে নীল (!)
গাঢ় নীল (!!) অসীম আঁকাশ; ইস্ আমি কেন সেই
পাহাড় হলামনা? কি পেলাম মানব জন্ম নিয়ে?
এত টুকু মাটির এ ঘরে প্রাণ না দিয়ে যদি
অত বড় প্রাণহীন একটা মাটির স্তুপ আমায়-
করে পাঠাতো স্রষ্টা, তাহলেই কি সব চাওয়ার
অবসান মোর ঘটতনা? ঐ পাহাড় আমি দেখিনি।
কয়েকবার যেতে চেয়েছি হেথায়;
কভুবা ঘটেনি আর্থিক সংযোগ, কভুবা সহযাত্রী।
ঘরের দোরের ধানের শীষের শিশির বিন্দু
দেখতে দেখতে চোখ পচে গেছে; এবার ঐ রকম
একটা পাহাড় দেখতে ইচ্ছে করে। খুব ইচ্ছে, একেবারে
হৃদয়ের ষোলকলা থেকে হাক মারা একটা ইচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।