আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
"আমি আসলেই বোকা ছিলাম"
অচেনা শহরের অজানা নিঃসঙ্গতায় দেখি কুয়াশা ভেজা রাজপথ। দু' একজন পথে খেতা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে শীতের সাথে চলছে কথোপকথন। আমি এক নিশাচর পাখি দিনে তাই রাজ্যের ঘুম দু চোখে। হেটে চলি এক ঘুমন্ত শহরে পাহাড়ের গা বেয়ে নির্ঘুম অবচেতন।
কোনো এক রাতে স্বপ্নের মতো দেখেছিলাম তুমি পাশে বসে হলুদ শাড়ি পড়ে। আচলটা বাতাসে উড়ে ছিলো পাখির ডানায়, চোখে ছিলো চিকন কাজল পাতায় পাতায়, চুলে ছিলো মেহেদীর সোনালী রং ঢেউ খেলানো। তুমি হেসেছিলো চোখে শুভ্র অশ্রু গড়িয়ে। আমি সেদিন তোমার কান্নার প্রেমে পড়েছিলাম। সেটাই শেষ দেখা তোমায় আর সে কান্নাটাই ছিলো আমার শেষ বার প্রেমে পড়া।
আজকে হঠাত এ শহরটাকে ভালবাসতে মন চাইছে বুকে জড়িয়ে। তুমিহীনা এ শহরে কেন এত বিষন্নতা, জানি না জানি না!
হয়তো এ অনুযোগ নেবার কেউ নেই তুমি আমি দু' জন হারিয়ে গেছি অজানায়, মিলবার কোনো বিন্দু নাই। আসলে জীবনটাই অচেনা হয়ে গেলো আমাদের উদাসি নয়নে!
হেটে যাই আমার গন্তব্যের দিকে নীড়হারা পাখির মতো। যতটা এগুবো ভাবছি ততটাই নাগাল পাবো কাঙ্খিত আশ্রয়ের। কোনো এক উদ্যানে বস আছে এক নারী, গায়ে একটা লাল শাল জড়িয়ে।
চোখ ভরা ছিলো জগতের উদাসীনতা, মুখ ভর করেছে নগরীর বিষন্নতা! খুব জিজ্ঞেস করতে মন চাইলো,"তুমি কি পাওনি তুমার পদ্মগুলো, যা ছিলো শুধু তোমার জন্য?"
সাহস হয়নি বলার। আসলে যত দিন যাচ্ছে আমরা তত হারিয়ে যাচ্ছি নিজেদের কাছ থেকে দূরে বহুদূরে। অনুভব করি না কাছে আসার প্রয়োজনীয়তা, মুখোমুখি কথা বলার অনাবিল আকাঙ্খা। কত পরিচিত মুখ অচেনা হয়ে যায়, হারিয়ে যায় সময়ের কোনো কৃষ্ঞগহ্বরে। আমাদের আফসোস গুলো মাথা কুড়ে খায় কোনো অচেনা সৌরপরিবারে।
শুধু এগুতে শিখেছি, শিখিনি আপনে করে কাউকে কাছে টানতে।
অযাচিত ভাবনায় পৌছে যাই আমার গন্তব্যে কোনো যান্ত্রিক শকটের পদভারে। ছবির মতো মনে হয় পরিবেশটাকে, পাহাড়ে ঘেরা ছিমছাম। আকাশে কুয়াশার আড়ালে সূর্য্যের উকি ঝুকি। আমার সাথে সুর্য আর রাজপথের যেনো সখ্যতার আকিবুকি! নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে এরাই শুনেছে আমার সকল দুঃখ গাথা।
তোমাকে একবার বলেছিলাম,"তুমি বড় অদ্ভুত!তোমাকে ছাড়া মিস্টি লাগে আমার বিষন্নতা। অদ্ভুত নেশায় কাটাই সময়। তোমাকে দেখলেই মনে হয় পেয়ে গেছি জীবন, বেচে থাকার এক অনাবিল সার্থকতা। "
তুমি সেদিন কিছুই বলোনি, চুম্বন একে দিয়েছিলে দু'ঠোটে। সেই পরশ জড়িয়ে আছে আজো।
আজো সিগারেট টানিনি শুধু তোমার চুম্বন এ ঠোটে পড়েছে বলে। সেদিন ছিলো মেঘলা রাত। ডেকেছিলে তুমি সে রাতে কিছু কথা বলবে বলে। তুমি বলোনি, বলেছি আমি তোমার চোখে চোখ রেখে।
মনে করো আমি আজও কাটাই প্রতিদিন প্রতিটা সকাল তোমার ছবিটা বুকে রেখে।
ঘুমাতে যাই স্মৃতিতে রাখা তোমার হাসিটাকে মনে করে। যৌবন চলে যাচ্ছে আমাকে ফেলে, প্রোঢ়তা এগিয়ে আসছে অনুভব করি আমার মাংশল শরীরে। জানি না কতগুলো চুল সাদা হয়েছে আর কতো সাদা হবে আমার চিরূনিতে। একবার তুমি চুল ছুয়ে বলেছিলে তোমার নাকি কাশফুল খুব পছন্দের। হয়তো কাশফুলের মতো চুলগুলো সাদা হয়ে যাবে, শুধু আফসোস তুমি দেখতে পাবে না, পাবে না কাশফুলের ছোয়া ও দুটো ঠোটে; এই ভেবে মনটা ভারী হয়ে যায়।
আমি আসলেই বোকা ছিলাম, তোমাকে বলতে পারিনি আমার মনের কথা। তোমাকে চেয়েছিলাম আপন করে হাত দুটো ধরে কাটাবো শত জনম প্রজন্মান্তর এই ভেবে।
আসলেই আজব শহরের আজব অনুভূতি। সবার পদভারে বিষন্নতা আমাকেই গ্রাস করে। সবার বিষন্নতা বইবার ভার কি আমার কাধে এসে চেপেছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।