দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।
সবাই দেখছে যে,রাজা উলঙ্গ,
তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে
সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাশ শাবাশ !
কারও মনে সংস্কার, কারও ভয় ;
কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে
বন্ধক দিয়েছে ;
কেউ বা পরান্নভোজী , কেউ কৃপাপ্রার্থী ,
উমেদার ,প্রবঞ্চক ; কেউ ভাবছে ,
রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সুক্ষ্ম ,
চোখে পড়ছে না যদিও , তবুও আছে ,
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয় ।
গল্পটা সবাই জানে ।
কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
শুধুই প্রশস্তি-বাক্য-উচ্চারক কিছু
আপাদমস্তক ভীতু , ফন্দিবাজ অথবা
নির্বোধ স্তাবক ছিল না ।
একটি শিশুও ছিল ।
সত্যবাদী , সরল , সাহসী একটি শিশু ।
নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায় ,
আবার হাততালি উঠছে মুহূর্মুহূ ;
জমে উঠছে স্তাবকবৃন্দের ভিড় ।
কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
ভিড়ের ভিতরে কোথাও দেখছি না ।
শিশুটি কোথায় গেলো ?
কেউ কি কোথাও তাকে কোন
পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে ?
নাকি সে পাথর-ঘাষ-মাটি নিয়ে
খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে
কোন দূর নির্জন নদীর ধারে , কিংবা
কোন প্রান্তরের গাছের ছায়ায় ?
যাও , তাকে যেমন করেই হোক খুঁজে আনো ।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার
সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক ।
সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে
গলা তুলে জিঞ্জাসা করুক
রাজা , তোর কাপড় কোথায় ?
আজকের পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে বড়ও প্রাসঙ্গিক , নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর '' উলঙ্গ রাজা '' এই কবিতা । সবাই দেখছে যে,রাজা উলঙ্গ,
তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে
সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাশ শাবাশ !
কারও মনে সংস্কার, কারও ভয় ;
কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে
বন্ধক দিয়েছে ;
কেউ বা পরান্নভোজী , কেউ কৃপাপ্রার্থী ,
উমেদার ,প্রবঞ্চক ; কেউ ভাবছে ,স
রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সুক্ষ্ম ,
চোখে পড়ছে না যদিও , তবুও আছে ,
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয় ।
গল্পটা সবাই জানে ।
কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
শুধুই প্রশস্তি-বাক্য-উচ্চারক কিছু
আপাদমস্তক ভীতু , ফন্দিবাজ অথবা
নির্বোধ স্তাবক ছিল না ।
একটি শিশুও ছিল ।
সত্যবাদী , সরল , সাহসী একটি শিশু ।
নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায় ,
আবার হাততালি উঠছে মুহূর্মুহূ ;
জমে উঠছে স্তাবকবৃন্দের ভিড় ।
কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
ভিড়ের ভিতরে কোথাও দেখছি না ।
শিশুটি কোথায় গেলো ?
কেউ কি কোথাও তাকে কোন
পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে ?
নাকি সে পাথর-ঘাষ-মাটি নিয়ে
খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে
কোন দূর নির্জন নদীর ধারে , কিংবা
কোন প্রান্তরের গাছের ছায়ায় ?
যাও , তাকে যেমন করেই হোক খুঁজে আনো ।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার
সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক ।
সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে
গলা তুলে জিঞ্জাসা করুক
রাজা , তোর কাপড় কোথায় ?
আজকের পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে বড়ও প্রাসঙ্গিক , নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর '' উলঙ্গ রাজা '' এই কবিতা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।