আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নন্দীগ্রাম , রাজা তোমারে সেলাম !!!

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।

সবাই দেখছে যে,রাজা উলঙ্গ, তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাশ শাবাশ ! কারও মনে সংস্কার, কারও ভয় ; কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে ; কেউ বা পরান্নভোজী , কেউ কৃপাপ্রার্থী , উমেদার ,প্রবঞ্চক ; কেউ ভাবছে , রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সুক্ষ্ম , চোখে পড়ছে না যদিও , তবুও আছে , অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয় । গল্পটা সবাই জানে । কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে শুধুই প্রশস্তি-বাক্য-উচ্চারক কিছু আপাদমস্তক ভীতু , ফন্দিবাজ অথবা নির্বোধ স্তাবক ছিল না । একটি শিশুও ছিল ।

সত্যবাদী , সরল , সাহসী একটি শিশু । নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায় , আবার হাততালি উঠছে মুহূর্মুহূ ; জমে উঠছে স্তাবকবৃন্দের ভিড় । কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি ভিড়ের ভিতরে কোথাও দেখছি না । শিশুটি কোথায় গেলো ? কেউ কি কোথাও তাকে কোন পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে ? নাকি সে পাথর-ঘাষ-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে কোন দূর নির্জন নদীর ধারে , কিংবা কোন প্রান্তরের গাছের ছায়ায় ? যাও , তাকে যেমন করেই হোক খুঁজে আনো । সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক ।

সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে জিঞ্জাসা করুক রাজা , তোর কাপড় কোথায় ? আজকের পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে বড়ও প্রাসঙ্গিক , নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর '' উলঙ্গ রাজা '' এই কবিতা । সবাই দেখছে যে,রাজা উলঙ্গ, তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাশ শাবাশ ! কারও মনে সংস্কার, কারও ভয় ; কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে ; কেউ বা পরান্নভোজী , কেউ কৃপাপ্রার্থী , উমেদার ,প্রবঞ্চক ; কেউ ভাবছে ,স রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সুক্ষ্ম , চোখে পড়ছে না যদিও , তবুও আছে , অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয় । গল্পটা সবাই জানে । কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে শুধুই প্রশস্তি-বাক্য-উচ্চারক কিছু আপাদমস্তক ভীতু , ফন্দিবাজ অথবা নির্বোধ স্তাবক ছিল না । একটি শিশুও ছিল ।

সত্যবাদী , সরল , সাহসী একটি শিশু । নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায় , আবার হাততালি উঠছে মুহূর্মুহূ ; জমে উঠছে স্তাবকবৃন্দের ভিড় । কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি ভিড়ের ভিতরে কোথাও দেখছি না । শিশুটি কোথায় গেলো ? কেউ কি কোথাও তাকে কোন পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে ? নাকি সে পাথর-ঘাষ-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে কোন দূর নির্জন নদীর ধারে , কিংবা কোন প্রান্তরের গাছের ছায়ায় ? যাও , তাকে যেমন করেই হোক খুঁজে আনো । সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক ।

সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে জিঞ্জাসা করুক রাজা , তোর কাপড় কোথায় ? আজকের পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে বড়ও প্রাসঙ্গিক , নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর '' উলঙ্গ রাজা '' এই কবিতা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।