হয়তো আমি কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত নই
যদিও খুব বেশি সময় হাতে নেই, পূষণ জানে সে করতে পারবে না কিছুই। অদ্ভুত এক ছেলে পূষণ। তার রাগ অনেক, কিন্তু প্রকাশ নেই সেই রাগের। তার ক্ষোভ অনেক, কিন্তু যার ওপর ক্ষোভ, তাকে সে জানাতে দিতে চায় না কিছুই। সে আশা করে যা, ভাবে তা পাওয়া খুব কঠিন হবে না তার জন্য।
কিন্তু সে একই সাথে পৃথিবীর দ্বৈত ভূমিকার কথাও ভাবে। সে জানে বন্ধু হওয়ার আমন্ত্রণ জানালেই কেউ তার বন্ধু হবে না। ফেসবুকে সে মুখোমুখি হয় তাদেরই, যাদের সাথে তার সম্পর্ক হৃদয়ের নয়, মস্তিষ্কের। যাকে সে আমন্ত্রণ জানায়, সেই আমন্ত্রণের উত্তর পায় না। দেখে তার আমন্ত্রণ নিয়ে আমন্ত্রিতজন মিথস্ক্রিয়া চালায় অন্যদের সাথে।
যার অজানা ভূমিকার জন্য সে খুলে রাখে মেইলদুনিয়ার ইলেকট্রনিক ভার্সন, সেটি ব্যবহৃত হয় স্প্যামে। আমন্ত্রণের মেইল তো নয়ই, প্রত্যাখ্যানের জবাবও আসে না। আসে উপেক্ষা। সে সময় পায় অন্যদের সাথে কথা বলার, অন্যের সাথে নিজেকে মেলে ধরার। কিন্তু ইংরেজি অক্ষরগুলোর সাজানো বাক্য আশা করে যার কাছ থেকে, সে সেই বাক্য সাজিয়ে পাঠায় অন্যের ডালিতে।
পূষণ অভিযোগ করে না, অভিমান করে। পূষণ অনুযোগ করে না, ক্ষোভ-রাগ ঝাড়ে নিজের ওপর। সে জানে শিশুকে কাঁদতে হয় খাবারের জন্য, আশাবরীকে চাইতে হয় মুখ ফুটে। কিন্তু কিছু চাওয়ার ক্ষমতা নিয়ে সে জন্মায়নি। হৃদয় নিয়ে সহবাস যার, মস্তিষ্ক নিয়ে সে কতটুকু খেলবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।