আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয়জনের ব্যপারে যাবতীয় তথ্য জানার ডিজুস তরিকা!!! (১৫+)

শারদশশীর অনন্ত অপেক্ষায় তোর চোখের সবুজ রঙ আকাশনীল হয়ে গেলে ঠিক ধরে নিস আমি হারিয়ে গেছি ঘাসেদের দলে... আন্ডা বাচ্চারা আগেই ফুটো! দুই বন্ধুর মধ্যে দারুণ খাতির। তো একদিন প্রাইভেট পড়তে গিয়ে এক বন্ধু একটি মেয়েকে পছন্দ করে ফেলল। তারপর দিনরাত শুধু ওই মেয়েই তার সব। স্যারের কাছ থেকে সহজেই নাম জানা গেল। ফলো করে মেয়ের বাসাও চিনে ফেলল।

কিন্তু বাকি কিছুই তো সে জানেনা। এখন উপায়? নতুন নতুন দুষ্ট বুদ্ধি উদ্ভাবনে দুই বন্ধুর জুড়ি ছিল না। তাই দুজন মিলে বানিয়ে ফেলল একটা ফুল প্রুফ প্ল্যান। কিন্তু কাজটা এমনই যে তারা নিজেরা করতে পারবে না। তাহলে? অন্য বন্ধুটির একটা কাজিন ছিল।

রাসেল ভাই। ওদের কিছু প্রিন্টিং এর কাজ ছিল। কাজটা শেষ করে ওরা রাসেল ভাইকে সব বুঝিয়ে সুঝিয়ে ম্যানেজ করে ফেলল। রাসেল ভাই একটা ভিলেনী হাসি দিয়ে বললঃ সবই তো বুঝলাম! কিন্তু আমার কি লাভ হইব?? ওনাকে ভুজুংভাজাং দিয়ে কোনমতে বোঝানো গেল যে এই কাজে তার ফায়দা হি ফায়দা! নির্দিষ্ট দিনে রাসেল ভাই তার এক বন্ধুকে নিয়ে অমুক স্যারের বাসায় হাজির হয়ে গেল। ক্লাস চলছিল।

দুই বন্ধু তখন ভেতরে বসে আছে। রাসেল ভাই এসে স্যার কে বলতে লাগলঃ স্লামালাইকুম স্যার। আমরা একটা নতুন আইটি কোম্পানী থেকে এসেছি। আমরা একটা জরিপ করছি। এর সাথে একটা ক্যুইজ ও আছে।

যে জিতবে সে পাবে অমুক। তো আমরা আপনার এই ব্যাচে জরিপ চালাতে চাইছিলাম। স্যার কি আর বলবেন, রাজী হয়ে গেলেন। তথাকথিত "জরিপ" শেষে রাসেল ভাই আর তার বন্ধু চলে গেল। দুই বন্ধুর ক্লাস শেষ হবার তর সইছিল না! ক্লাস শেষে কোন দিকে না গিয়ে দুই বন্ধু সোজা রাসেল মিয়ার বাসায়! রাসেল ভাই আবার সেই ভিলেনী হাসি ছেড়ে বললঃ বাকি গুলা তোমাগো দেওন যাইত না! একটা নেও, চামে চামে ফুটো! দুই বন্ধুর মেজাজ যা খারাপ হল বলার না।

কিন্তু বাকিগুলো তাদের দরকার ছিলনা। সাধু ভেবে বসবেন না আবার! নির্ভরযোগ্য গুজবে প্রকাশ- ওই ব্যাচে বাকি মেয়েরা নাকি তেমন সুন্দর ছিল না! নাহলে এতগুলো ডেটাবেইজের মায়া কেউ এত সহজে... তাই তারা আসল জিনিস পেয়ে গিয়েছে ভেবেই খুশি থাকল। ছেলেটি পেয়ে গেল তার কাঙ্খিত মানুষের মোবাইল নাম্বার, তার পছন্দ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক তথ্য। আর বাকি ডেটাবেইজ থেকে গেল রাসেল ভাইয়ের কাছে। পরে অবশ্য অতি গোপনে ডেটাবেইজটা রাসেল ভাইয়ের বাসা থেকে চুরি যায়।

কে চুরি করল তা অবশ্য জানা যায়নি। এতক্ষণ পড়ার পরে কয়েকটা প্রশ্ন মনে আসার কথা; ১। ক্যুইজে কে জিতল? আবার জিগায়! যার জন্য এত কিছু, সেই মেয়েটা। সময়মত তাকে উপহারও পৌছে দেয়া হয়েছিল। কিভাবে দেয়া হয়েছিল ওইটা বলতে গেলে আরেকটা পোস্ট লাগবে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা ওইখানেও বুদ্ধিবৃত্তির ব্যপক অপচয় করা হয়েছিল ২। ছেলেটা আর মেয়েটার মধ্যে পরে কি কিছু হয়েছিল? সেটা তো আবার আরেক কাহিনী। ওটা নাহয় থাক। ৩। আরে মিয়া মেয়েটারে গিয়া জিগাইলেই তো হইত! এত কাহিনীর দরকার কি? তা অবশ্য ঠিক।

কিন্তু এমন যুগান্তকারী ফর্মুলাটা ইউজ হত কিভাবে? আগেই বলা হয়েছে, দুই বন্ধু ছিল দুষ্ট বুদ্ধির খনি। তো এতক্ষণে আপনারা শিখে ফেলেছেন কিভাবে আপনার প্রিয় মানুষটির যাবতীয় তথ্য ডিজুস তরিকায় হাসিল করবেন! আর যারা বুঝেন নাই, কেম্নে কি হইল, অথবা আরো ডিটেইলে জানতে চান, তারা যোগাযোগ করতে পারেনঃ উইজার্ড কম্পিউটার্স লিমিটেড বাড়ি # ২২১, সেক্টর # ২ উপশহর হাউজিং এস্টেট রাজশাহী মোবাইলঃ ০১৭১১৮১৮৯৪৬. ফুন দিয়াই দেখেন! বহুল সমাদ্রিত এই তরিকা ওই দিনের পর আর কখনই কোথাও অ্যাপ্লাই করা হয়নাই। সতর্কীকরণঃ এই পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করতে চাইলে নিজ দায়িত্বে করবেন। এতে ভাল মন্দ দুটি দিকই আছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.