আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতিমাত্রায় অসাধারণ সেইরকম মারাত্মক বিলা হওয়ার কাহিনী

আমার নাম দেখে যদি আমাকে খুব ভাবিস্ট মনে করেন তাহলে কিন্তু নিজেই ভুল করবেন বলে দিলাম :) ;)

আমরা তিন বন্ধু ফরিদপুর এ ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসার সময়ের কাহিনী- আমি ও সাথে দুই বন্ধু নাম সাবিত ও নাইম। তিনজন টিকেট কাটলাম গোল্ডেন লাইন বাস এ। সকাল ৮:১০ পর্যন্ত বাস গুলো শহরের মধ্যে পুরান বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ে। বলতে ভুলে গেছি ফরিদপুর শহরে দুইটা বাসস্ট্যান্ড।

একটা শহরের মধ্যে পুরান বাসস্ট্যান্ড ও অন্যটা বাইরের দিকে নতুন বাসস্ট্যান্ড। আমরা তিনজনই মেডিকেল স্টুডেন্ট। আমরা ওখানে রাফি নামের এক বন্ধুর বাসায় উঠেছিলাম। সকাল ৮ টার মধ্যে বাসে উঠলাম। বাসে আমি আর সাবিত একপাশের দুইটা সিটে ও অন্য সিঙ্গেল সিটে বসল নাইম।

ও বলে যে সিট চেঞ্জ করতে হবে কিন্তু নইলে আমি এই পাশে একা বসে থাকতে পারব না। আমরা ওর অবস্থা দেখে হাসাহাসি করলাম কিন্তু কেউ প্রস্তাবে রাজি হলাম না। বাস স্টার্ট নিচ্ছে তখনও নাইমের পাশের সিটে কেউ আসেনি। হঠাৎ একটা ছেলে উঠল বাসে। সে উঠে টিকেট দেখতে দেখতে কাকে যেন বলল এই সিট।

ছেলেটার পেছনে তাকিয়ে তো আমি চোখ বন্ধই করতে পারছিলাম না। অসম্ভব সুন্দরি একটা মেয়ে!!সাবিতেরও একই অবস্থা। বাট দুঃখটা আরো বাড়ল যখন দেখলাম সে নাইমের পাশের সিটে গিয়ে বসেছে। নাইম হারামজাদা মনে হয় আর সিট এক্সচেঞ্জ করবে না। ছেলেটা নেমে গেল।

যা বুঝলাম মেয়েটার ভাই ছিল সে। বাস চলতে শুরু করল। আমরা দুজন হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি আর নাইম এখন সিওর মেয়েটার সাথে ভাব জমিয়ে ফেলবে। ওর আবার এসব স্বভাব আছে। মেয়েদের সাথে তার তুমুল খাতির।

সে মেয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায়। তাদের খাওয়ায়। আবার যেসব মেয়ের ব্রেক আপ হয় তাদের সহানুভূতি দেখায়। এরকম ভাবেই আমার এক বান্ধবীর সাথে তার ভীষন খাতির হয়। যা হোক আসল কাহিনীতে আসি।

নাইম তার স্বভাব মত মেয়েটার সাথে কথা শুরু করল। আমরা শুধু দেখছিলাম ওই শালা কি করে। মেয়েটাকেও খেয়াল করলাম যে সে কিছুক্ষন পরপর ফোন ধরে হাসিমুখে কথা বলে ফোন রেখে দিচ্ছে। তারপর নাইমের সাথে আবার গল্প। মাঝে ফেরীতে পৌছে আমরা নামলাম তিনজন।

সাবিত আর আমি দুজনে চেপে ধরলাম নাইমকে। ও বলল,"দ্যাখ কি করি। " আমরা দুজন সাথে সাথেই"কি করবি কি করবি???" "মেয়েটার সম্ভবত আজকে জন্মদিন। সবাই ওকে ফোন করে উইশ করছে আর ও থ্যাংকস দিচ্ছে। আমার একটা প্লান আছে।

মেয়েটা পটে যাবে সিওর থাক" "অসভ্য তুই একটা। মেয়েবাজ শালা" "নাম কিরে ওর??" "সময় আসুক সব জানবি তোরা। "পার্ট নিয়ে কথাটা বলে নাইম চলে গেল। বাস এ ওঠার সময় সে কিছু চকলেট কিনে নিল ফেরীওয়ালার কাছ থেকে। আমরা দেখতে লাগলাম কি হয়।

কথা চলতে লাগল ওদের। বাট কি একটা কারনে নাইম সেই চকলেট গুলো আর ওকে দিচ্ছে না। বাস ১২:৪০ এর মধ্যে পৌছে গেল ঢাকা। আমরা গাবতলি বাসস্ট্যান্ড এ নামলাম। দুজনেরই প্রচন্ড কৌতুহলী কেন সে চকলেট কিনেছিল??? আর যদি মেয়েটার জন্য কিনেই থাকে তবে দিল না ক্যান??? "কিরে মেয়েটার জন্য চকলেট কিনলি,বাট ওরে দিলি না যে????" "কই চকলেট কিনলাম???" সাবিত ওর পকেটে হাত দিয়ে চকলেট জোর করে বের করে আনলো।

"ওই হারামজাদা কাহিনি কি হইছে ক???" মাথা গরম হইয়া গেলো আমার। একে তো মেয়েটার সাথে গল্প মারলো আমাদের দেখাইয়া দেখাইয়া তার উপর চকলেট কেনার কারন জিজ্ঞেস করছি বলছে না। অনেক চিল্লাপাল্লা গালাগালির পর শালা মুখ খুলছে। যা কইল তাতে আমরা দুইজনে হাসতে হাসতে গাবতলিতে লোক জড়ো কইরা ফালাইছিলাম। ও শুধু একটা কথাই কইল, "দোস্ত, ওই মেয়েটার আজকে ম্যারেজ ডে ছিল!!!!!!!"


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.