আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
১.
কি চাও তোমরা? হে আত্বা
কি চাও, তব দাতাঁল অবয়বে, সে কিসের তবে ক্ষুধা?
কই বললে না, চাও কি? হে আত্বা, তোমায় আমি চিনেছি? তুমি সিরাজ!
বাংলা -বিহার-উড়িষ্যার সেই রক্তাক্ত গর্বিত ইতিহাস। কিন্তু
আমার কাছে কেন? আমি তব মহান পুরুষে বিভিষীকা, আমি পিপিলীকা।
না,না, না, না দেশপ্রেমিক সিরাজের উত্তরসুরী, আমি তোমায় জাগাতে এসেছি
তুমি ভীতু কেন? হে সাহসী বীরের এ প্রজন্ম, তুমি সংশয়ী কেন?
ঐ দেখ, বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার আকাশে বাতাসে আজ ঘণঘটা, ক্ষুধা
হাহাকার, হত্যা লুটতারাজ। মায়ের অঙ্গ আজ হায়নার থাবায় বন্দি। তবে
কেন তুমি সুখ নিদ্রায় ঐশ্বরিয়ার স্বপ্নে-বিভোর? কেন ,কেন, কেন,তোমায়
জাগতে হবে, পলাশীর সুর্য অস্ত গেছে বহুকাল, আজ নতুন শতাব্দির নব আলোয়
জাতির ভাগ্য আকাশে সমৃদ্ধির তিলক এঁকে দাও।
জাগাও, জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ঘুম-ভাঙ্গানো জাগরন ডাঙ্কার ঝড় তোল। ওঠ, হে বীরের বংশধর। ওঠ। সেই
পরাজয়ের আজ দ্বি-শত বছর পটল তুলেছে। এখনও সেই গোলামী কেন? হে জাতির বিবেক
তবে জাগাও এক্ষুনি, হে জাতির ভবিষ্যত, তুমি কেন ঘুমিয়ে? ওঠ, জাগ, জাগাও।
পথে পথে মিছিল
আর রথে রথে বানোয়াট যাত্রা করে তো জাতির আজ নি:শেষিত, জাতির কপালে অভিশপ্ত রেখা
ওঠ হে বীর, প্রেয়সীর বাহুধরে কতকাল সুখের গান শুনবে। এবার ওঠ। জাগ। জাগাও।
হে কবি, ওঠ
ওঠ; কি কবি ঘুমিয়ে কেন?
কে? কে? কে কথা বলে।
আমি নজরুল!আমি অন্যায়ের হিংস্র নয়নে ঝপিয়ে পড়া সত্যবাদি ভিমরুল।
জাতিয় কবি, আপনি!
হ্যাঁ, আমি?
কবি-আপনি ঘুমান নি, এত রাতে? কবরের গেট খুলে দিল কে?
জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে দেশপ্রেমিক ঘুমায় কি করে? কবরে যেয়েও শান্তি দিবে না প্রতিবাদ।
আমি যে প্রতিবাদি, অন্যায় আমায় কালে কালে জাগিয়ে রাখে প্রতিবাদে, আমায়।
কবি-তবে আমি, আমায় কেন জাগালেন? কিছু কাজ আছে কি?
তুমি জাগরনের গান গাও, মুক্তির কথা বল, তুমি সত্য ধরতে সাহস কর না কেন? তোমার কবিতার প্রেমের ক্ষুধাই শুধু হাটা চলা করে । জাতির কান্না তুমি লেখ না।
কেন? কেন ভালবাসার পুঁথি বুনে বুনে অসাড় করে ফেলছ জাতির সজিবতা। প্রেমের বাঁশী বাজিয়ে আর কতবার ঘুমিয়ে রবে
প্রেমিকার স্বপ্নে। কত কবিতায় চাটুকারিতার তৈল মর্দনে মাখু মাখু করবে সাহিত্য। এবার জাগরনের কবিতা লেখ। হে কবি, ধুমকেতু আন!আগুন।
না মহান কবি, এ সমাজে আমার বড় ভয়। এ জাতির স্বার্থে আমার বড় সংশয়।
তাতে কি? কি ক্ষতি, মানের সাথে যদি জরিমানার সংগম ঘটে। হোক না
হোক না,এই জীবনের অবসান, তাই বলে অন্যায়। না আগামীর কবি, না।
এ নতুন শতাব্দির আধারে তুমি ধ্রুব তারার আলো জালাও। জাগাও এ জাতির বিবেক ,সুপ্তিমগ্ন আগ্লেগিরিতে আবার বিস্ফোরন হোক, জ্বলে যাক ধুমকেতুর শিখায় আবার অন্তরের সুপ্ত জাগরন। টেউ উঠুক, সিন্দু হিল্লোল রক্তে রক্তে ভাসিয়ে তুলুক আন্দোলনের ফেনা। আজ কেন শেকলের গান বইয়ের পাতায় মুখ গুজে কান্নায় পড়ছে ভেঙ্গে। তাকে মুক্তি দাও ।
পথে নামাও। তার পদচারনায় মুখোর হয়ে উঠুক এ নতুন জাতি। ক্ষুধা-দারিদ্রতার বাঙ্কারে সত্যর পারমানবিক মার, ভাঙ্গ শেকল হিংস্রতার। ছেড় গরিব মারার সকল চাবুকের বন্ধন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।