দ্বীন ইসলাম সেই ছেলেটি যে কিনা ফ্লাইং কিক মেরে আর্মির চক্ষুশূল হয়েছিল। সে এখন কারাগারে। অবস্থা আন্দাজ করতে পারেন নিশ্চয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণেযাগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছিল।
মাঝপথে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়..সে জেলে যায়..আর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহপাঠীরা ফিরলেও তার ফেরা অনিশ্চিত। আগামী ৬নভেম্বর বাকী পরীক্ষা শুরু করছে বিভাগ। তার বাবা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু অপরাধ!!! তো ভয়াবহ..পিতার ক্ষমায় তা লাঘব হবে কিভাবে? ভিসি বলেছেন..বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা হলে তিনি পদক্সেপ নিবেন নতুবা নয়। আমরা আপনারা এটুকু নিশ্চয় জানি..বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের হলেও তিনি একই কথা বলতেন.. হয়তো দাড়ি,কমা,সেমিকোলন ওলোট পালোট করে।
২২ আগষ্টের ভাঙচুর মামলায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হলো তারা কারা আমরা সবাই জানি। পুরো দেশের সকল ক্ষেত্রে সুফী কাদের দেখছি সেটাও স্পষ্ট। কিন্তু আমরা নিশ্চুপ। গৃহস্থের মতো চোরকে ঘরে ঢুকতে দেখেও অপেক্ষা করছি..দেখি না চোরটা কি করে..দেখতে দেখতে চোর সবই নিয়ে গেলো...লাভটা হলো কার? আটক ছাত্র-শিক্ষক আটকই থাকবেন..আমরা সব করে যাবো..ক্লাস হবে..পরীক্ষা হবে..সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। হতেই হবে।
শুধু যারা ঘটনার শিকার হলেন তারা পর্দার আড়ালে পড়বেন দিনকে দিন। আর আমরা সাহিত্য কপচাবো...নিজেদের বিপ্লবী দাবী করবো...আর বলবো..অপেক্ষা করো, সুদিন আসবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।