বেঁচে থাকি, আরও সুন্দরভাবে বাঁচার আশায়..
পিতামহ
স'ান, কাল, সময় বিস্মৃত আমি
এই ক্ষণে, বিদগ্ধ সময়ের সন্ধিক্ষণে
সুদূর কোন নষ্ট অতীতে
সুস্পষ্ট অবয়ব অবলোকন করে
অনুভব করি -
আমারই গহীন সত্ত্বায়
ভীষণ সফেদ, জ্যোতির্ময় তুমি
সি'র, বলিষ্ঠ রুপরেখায় দাঁড়িয়ে আছো -
প্রতিটি রক্তবিন্দুতে!
আমার অসি-ত্ত্বে তুমি ধ্রুব!
শেষ বিকেলের ভেজা বাতাসে
অজানে-ই শিউরে উঠি
আমার দীর্ঘশ্বাসের ভিতর বেজে উঠে
কার গম্ভীর দামামা?
তুমি আছ সুস্পষ্ট অনুভবে
প্রতিটি শিরা উপশিরায় তুমি
অদৃশ্য আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেছ
আমাকে, আমার সমস- সত্ত্বাকে!
হে পিতামহ!
আবর্তিত সময়ের মসৃণ কালিতে
লিখেছ,- লিখে যাচ্ছ -
শতবর্ষের উপকথা, ক্ষোভ, বেদনা
আর শ্বাশ্বত প্রেম, ভালবাসা ও মমতা।
তুমি আছ, ঠিক টের পাই
যখন মধ্যরাতে দেয়াল ঘড়িটা
টিক টিক করে বয়ে চলে রক্তের স্রোতে,
তুমি আছ, ঠিক টের পাই
যখন গলে যাওয়া জোছনার শীতলতা
নরোম স্পর্শ ছড়িয়ে দেয় নশ্বর দেহতে।
তুমি আজো আছো,
ঠিক যেমনটি ছিলে
এলায়িত আরাম কেদারায়!
দেহের প্রতিটি কোষেই আজ তোমার
অভিমানী পদচারণা॥
চারণ কবি
৪ঠা শ্রাবণ, ১৪০৮ বাং
২২শে জুলাই, ২০০১ ইং
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।