ঢেকে রেখো হিংস্র ঢাল তলোয়ার। সৈনিক, এবার কলম চালাও...
আমি যখন চাকরীর জন্য প্রথম ভাইভা বোর্ডে ফেস করি তখন ছিলো ২০০৭ সাল। সেটা ছিল একটা কিন্ডারগার্টেন স্কূল। জীবনের প্রথম ভাইভা বোর্ডে ফেস করা। মডারেট মহোদয়গণ কি কি প্রশ্ন করতে পারেন সেই ভেবে পূর্বেকার রাতে আমার ঘুম হয়নি।
আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে সেদিন রাতে আমি প্রায় ঘুমিয়েই পড়ছিলাম। ভাইভা বোর্ডে তো বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। হঠাত করে মনে হলো- আচ্ছা, তারা যদি আমার কাছে জানতে চান, আমার প্রিয় সংগীত শিল্পী কে?
একজন প্রিয় গায়ক/গায়িকা সিলেক্ট করা দরকার। রাত জেগে, অনেক অংক কষে, বুঝে-শুনে নির্নয় করলাম তিনি একমাত্র ফরিদা পারভীন হতে পারে। যার কন্ঠে লালন শুনলে পৃথিবীটাকে স্বর্গ মনে হয়।
আর সেই ফরিদা পারভীন সম্পর্কে যদি কন্ঠশিল্পী আলহাজ্ব (তিনি হজ্জ করেছেন পরপর তিন বার) কুদ্দুছ বয়াতী মন্তব্য করেন যে, ‘ফরিদা পারভীন কোন শিল্পীই না’ তাহলে এই নিয়ে আমাকে দু’চারটা কথা বলতেই হয়।
ফরিদা যে কাজটা করেন তা হলো নিজেকে লালন চিন্তার ধারক ও বাহক মনে করেন। লালন সম্পর্কে যতটুকু জানি তিনি অত্যত্ন বিনয়ী প্রকৃতির ছিলেন। গুরু সিরাজ সাইকে য়থেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা বলতেন যা আমরা বিভিন্ন গানেই প্রমাণ পাই। কিন্তু ফরিদা এ কি করলেন?
লালনাদর্শের ছিটেফোটার মাথা খেয়ে যিনি একজন বাউল সম্রাটকে বাউল মানতে নারাজ তাকে অনুরোধ করব আপনি অন্তত একবারের জন্য হলেও আপনার ভক্তদের দিকে চেয়ে দেখেন তাদের কতটুকু আপনি নিরাশ করেছেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ফরিদা পারভীনকে অনুরোধ করব তিনি তার নিজ ভুলটুকু স্বীকার করে নিয়ে আমাদের মতো ভক্তদের প্রতি তার প্রাপ্য সম্মানটুকু বজায় রাখবেন।
ফেবু লিংক
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।